মহান বিজয় দিবস




ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স:-
প্রকাশিতঃ ১৬ ডিসেম্বর, ২০২২
৭:৪৮ পূর্বাহ্ণ

মহান বিজয় দিবস

মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত মূল্যবোধ রক্ষা করতে হবে

ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স:-
আপডেটঃ ১৬ ডিসেম্বর, ২০২২ | ৭:৪৮
মহান বিজয় দিবস আজ। ১৯৭১ সালের এই দিনে নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধ শেষে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) আত্মসমর্পণ করেছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। চূড়ান্ত বিজয়ের মধ্য দিয়ে অভ্যুদয় ঘটে বাঙালির স্বাধীন রাষ্ট্র বাংলাদেশের। বিজয়ের অনুভূতি সব সময়ই আনন্দের। তবে একই সঙ্গে দিনটি বেদনারও, বিশেষ করে যারা স্বজন হারিয়েছেন, তাদের জন্য। অগণিত মানুষের আত্মত্যাগের ফসল আমাদের স্বাধীনতা। আমরা গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করি মুক্তিযুদ্ধের শহিদদের; যেসব নারী ভয়াবহ নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন, তাদের। এ দেশের মানুষের আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক অধিকার তথা স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে সফল নেতৃত্ব দেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। কোটি কোটি মানুষকে তিনি স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করে তুলেছিলেন। তার সঙ্গে ছিলেন

একই লক্ষ্যে অবিচল একদল রাজনৈতিক নেতা। তাদের সবাইকেই আমরা গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি। আজ আমাদের বিচার-বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন স্বাধীনতা অর্জনের পাঁচ দশক পেরিয়ে এসে আমরা কতটা এগিয়েছি, কী ছিল আমাদের লক্ষ্য ও প্রত্যাশা, পূরণ হয়েছে কতটা। কোথায় আমাদের ব্যর্থতা, কী এর কারণ। স্বাধীনতার অন্যতম লক্ষ্য যদি হয় ভৌগোলিকভাবে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র বা ভূখণ্ডের অধিকারী হওয়া, তাহলে তা অর্জিত হয়েছে। তবে শুধু এটুকুই মানুষের প্রত্যাশা ছিল না। পাকিস্তানের শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হয়ে দেশে একটি কার্যকর গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা এবং জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তিসহ মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রত্যাশাও ছিল ব্যাপকভাবে। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনের রায় মেনে না নেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের দাবি

প্রবল হয়ে ওঠে বাঙালির মধ্যে। তবে স্বাধীনতার পর দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা পেলেও তা হোঁচট খেয়েছে বারবার। বজায় থাকেনি এর ধারাবাহিকতা। ফলে আজও প্রাতিষ্ঠানিকতা পায়নি গণতন্ত্র। রাজনীতিতে ঐকমত্যের অভাব ও অসহিষ্ণুতাও এর বড় কারণ। অন্তত জাতীয় ইস্যুগুলোয় সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে ঐক্য থাকা প্রয়োজন হলেও কোনো শাসনামলেই তা দেখা যায়নি। এক্ষেত্রে দেশের চেয়ে দলের স্বার্থই হয়ে উঠেছে মুখ্য। এটা সত্য-দারিদ্র্য বিমোচন, শিক্ষার প্রসার, নারী উন্নয়ন, শিশুমৃত্যুর হার কমানো ইত্যাদি ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সাফল্য রয়েছে আমাদের। মাথাপিছু আয় বেড়েছে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে। স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বেরিয়ে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে শামিল হতে যাচ্ছে দেশ। এ অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে হবে। জঙ্গিবাদের অপতৎপরতা ঠেকিয়ে রাখা গেছে। এর

মূল কৃতিত্বের দাবিদার জনগণ। এ দেশের মানুষ ধর্মের নামে সহিংসতা সমর্থন করে না। তা সত্ত্বেও এ ব্যাপারে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। সরকারকে মানবাধিকারের প্রশ্নে হতে হবে অঙ্গীকারবদ্ধ। স্বাধীনতাকে অর্থবহ করে তুলতে সব বিভেদ ভুলে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। সেই ঐক্যের ভিত্তিতে বিদ্যমান সমস্যাগুলো আমরা দ্রুত কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হব-এ প্রত্যাশা সবার। আমাদের পাঠক, লেখক, শুভানুধ্যায়ীসহ পুরো দেশবাসীর প্রতি রইল মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা।
ট্যাগ:

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
অফশোর ব্যাংকিংয়ে ডলার আমানতের সুদ মিলবে ৯ শতাংশ মার্কিন শ্রম অধিকার নীতির লক্ষ্যবস্তু হতে পারে বাংলাদেশ শত বছর ধরে কুখ্যাত অপরাধীদের পেছনে ইন্টারপোল ৮০ বছর পর্যন্ত অভিনয় চালিয়ে যাব: রানি ২৮০ আসনে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা ঋণ-আমানতের সুদহারে সীমা প্রত্যাহার বিশ্বকাপে ‘হিংসা-শয়তানি করে দেশকে বঞ্চিত করলে’ কেউ ছাড় পাবে না সোনার দাম আরও বাড়ল গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি: ইইউকে সিইসি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি: ইইউকে সিইসি ইলন মাস্ককে গাজায় আমন্ত্রণ জানাল হামাস ‘এক মাসে বিএনপির ২০ হাজার নেতাকর্মী গ্রেফতার’ ইসির সঙ্গে দুই ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক, যে বার্তা দিল ইইউ দুই মাস বাড়ল রিটার্ন জমার সময় বরিশাল-৩ আসনে মনোনয়নপত্র নিলেন রাশেদ খান মেনন বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের কেন্দ্রে আনতে বললেন মন্ত্রী মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় বাড়তে পারে ৩ দিন ‘নির্বাচন বাধাগ্রস্তকারী বিএনপির ওপর নিষেধাজ্ঞা আসা উচিত’ স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ মিছিলে গুলির অভিযোগ সংঘাত শুরুর পর ইসরাইলিদের হাতে গ্রেফতার ৩২৯০ ফিলিস্তিনি