মলমূত্র ত্যাগেই লাগত ৪৫ মিনিট!




মলমূত্র ত্যাগেই লাগত ৪৫ মিনিট!

ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স:-
আপডেটঃ ২৬ আগস্ট, ২০২৩ | ৮:৪৬
ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর বিশ্বনন্দিত সাফল্যে পৃথিবীতে আবার ফিরে আসছে প্রায় ৫০ বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রের চন্দ্রাভিযানের স্মৃতি। অ্যাপোলো ১১ মিশনে চাঁদে প্রথমবারের মতো মানুষ পাঠিয়েছিল নাসা। অ্যাপোলো ১১ চাঁদে অবতরণ করে ১৯৬৯ সালের ২০ জুলাই। তার ৬ ঘণ্টা পর চাঁদের মাটিতে প্রথম পা রাখেন নীল আর্মস্ট্রং। পরবর্তী ১৯ মিনিটের মাথায় দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসাবে চাঁদ স্পর্শ করেন এডুইন অলড্রিন। কী আছে চাঁদে? কী দেখেছেন তারা? চাঁদ থেকে ঘুরে এসে একাধিক সাক্ষাৎকারে এমন বহু কৌতূহল নিরসন করেছেন দুই মহাকাশচারী। চাঁদে মোট ২১ ঘণ্টা ৩৬ মিনিট কাটিয়েছিলেন আর্মস্ট্রং ও অলড্রিন। তার পর থেকে ১৯৭২ সালের ১৯ ডিসেম্বর (অ্যাপোলো-১৭) পর্যন্ত ১২ জন নভোচারী চাঁদের মাটিতে

হাঁটাহাঁটি করেছেন। সেখানে নানা অসুবিধার মোকাবিলা করতে হয়েছিল তাদের। তবে সবচেয়ে বড় যে সমস্যা সেটি ছিল ‘মলমূত্র ত্যাগ’। যে মহাকাশযানে চাঁদে পৌঁছেছিলেন আর্মস্ট্রং এবং অলড্রিন সেখানে কোনো শৌচাগার ছিল না। মলমূত্র ত্যাগের জন্য বিশেষ ভাবে তৈরি প্লাস্টিকের ব্যাগ পাঠিয়েছিল নাসা। আনন্দবাজার পত্রিকা, নাসা। মূত্রত্যাগের জন্য নিরোধকের মতো একপ্রকার নলের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তার মাধ্যমে প্লাস্টিক পর্যন্ত পৌঁছত তরল। তবে শুধু পুরুষদের জন্যই এই বিশেষ ব্যবস্থা করেছিল নাসা। মলত্যাগের জন্য আলাদা প্লাস্টিকের ব্যাগের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। পরবর্তীকালে যারা চাঁদে গিয়েছেন, তারাও এই পদ্ধতিতেই কাজ করেন। মলভর্তি সেই ব্যাগগুলো চাঁদের মাটিতেই ফেলে এসেছিলেন মহাকাশচারীরা। নাসা বলছে, সব মিলিয়ে মানুষের ব্যবহার করা বর্জ্য, মলসহ ৯৬টি ব্যাগ

পড়ে রয়েছে চাঁদে। চন্দ্রপৃষ্ঠে যেহেতু হাওয়া চলাচল করে না, তাই ওই বর্জ্য পদার্থ-সহ ব্যাগগুলো ৫০ বছর ধরে পড়ে রয়েছে একই অবস্থায়। আর্মস্ট্রং, অলড্রিনরা যখন চাঁদে নেমেছিলেন, তারা ডায়াপার পরেছিলেন। অলড্রিন পরে নিজেই জানিয়েছেন, তিনি প্যান্টে প্রস্রাব করে ফেলেছিলেন। তবে ডায়াপার পরা ছিল। এ প্রসঙ্গের পৃথক একটি বিবৃতিতে নাসার বক্তব্য, ফেরার সময়ে মহাকাশচারীরা মল ভর্তি সেই ব্যাগগুলো পৃথিবীর মাটিতে ফেরত আনলেও সঙ্গে আনতে পারেননি তাদের ব্যবহার করা ডায়াপার এবং অন্যান্য বর্জ্য পদার্থ। সেগুলোর ছবিই ধরা পড়েছে ক্যামেরায়। চাঁদে গিয়ে আর্মস্ট্রংদের মেনুও ছিল বেশ মজাদার। প্রথমে তারা খেয়েছিলেন কফি এবং বেকন। এ ছাড়া, সবজি এবং গোমাংস খেয়েছিলেন দুই মহাকাশচারী। মেনুতে ছিল আঙুর, কমলালেবুর রস, স্ট্রবেরি

এবং পিচ ফল। আর্মস্ট্রংদের চন্দ্রযাত্রায় অনেক ঝুঁকি ছিল। কোথাও কোনো সিস্টেমে সামান্যতম ক্রুটিও ডেকে আনতে পারত প্রাণঘাতী বিপদ। চাঁদেই নেমে আসতে পারত মৃত্যু। সে কথা ভেবে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন মৃত্যুপরবর্তী ভাষণও তৈরি করে রেখেছিলেন। ৩০ বছর পর সেই ভাষণ প্রকাশ করা হয়। পৃথিবীতে ফিরে এসে সঙ্গে সঙ্গে মাটি ছুঁতে পারেননি আর্মস্ট্রংরা। ২১ দিন তাদের মহাকাশযানে নিভৃতবাসে রাখা হয়েছিল। চাঁদ থেকে কোনো জীবাণু তারা বহন করছেন কিনা, সেই সম্ভাবনার কথা ভেবে নিভৃতবাসের বন্দোবস্ত করেছিল নাসা। সেখানেই আর্মস্ট্রং ৩৯তম জন্মদিন পালন করেন।
ট্যাগ:

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
ক্রেনের আঘাতে লাইনচ্যুত ট্রেন, ঢাকার সঙ্গে সারাদেশের যোগাযোগ বন্ধ বিচারকদের সতর্ক করে আপত্তিকর বক্তব্য ভিপি নুরের বিএনপির মিছিলে পুলিশের বাধা, সংঘর্ষে আহত ৩৫ আমাদের মূল্য তখনও ছিলো না এখনও নাই: সৈয়দ ইবরাহিম টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিসহ গ্রেফতার ৫৪ মালয়েশিয়ায় ৫ দিনে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় পাসপোর্ট দেবে বাংলাদেশ হাইকমিশন নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল-এর কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ নাজমুল হুদার সাথে প্রিন্ট, অনলাইন ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকসহ মিডিয়া ব্যক্তিত্বদের মতবিনিময় সভা যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা কতটা কাজে লাগে? ঢাকার সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ ধামরাইয়ে ব্যাংক কর্মকর্তাসহ নিহত ২, আহত ১ ডায়রিয়া আক্রান্তের পর গাজায় দৃষ্টিশক্তি হারাচ্ছে ইসরাইলি সৈন্যরা ৪০ দিনে ২৬৬টি যানবাহন ও স্থাপনায় অগ্নিসংযোগ ৪১তম বিসিএসের নন-ক্যাডারে সুপারিশ পেলেন ৩১৬৪ জন জাতীয় পার্টির সঙ্গে সুষ্ঠু নির্বাচন ও রাজনৈতিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে : কাদের নির্বাচনে বিদেশী কোন চাপ নেই : ইসি আলমগীর মানুষের হাতে থাকা ডলার ব্যাংকে টানার উদ্যোগ রাজধানীসহ সারাদেশে ৯ গাড়িতে আগুন জামিনে মুক্তি পেলেন বক্তা আমির হামজা প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়ায় যাচ্ছেন বৃহস্পতিবার