মতিয়া চৌধুরীর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন – ইউ এস বাংলা নিউজ




মতিয়া চৌধুরীর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ১৬ অক্টোবর, ২০২৪ | ৬:০২ 86 ভিউ
আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেতা ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদের উপনেতা মতিয়া চৌধুরীর চিরপ্রস্থান হয়েছে। তার ব্যক্তিগত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন প্রবীণ এই রাজনীতিক। তিনদিন আগে হাসপাতাল থেকে তাকে বাসায় নেওয়া হয়েছিলো। আজ বুধবার সকাল আটটার দিকে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে আবার এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরপর বেলা ১ টার দিকে তিনি মারা যান বলে তার একজন সহকারী জানিয়েছেন। বাম ধারার রাজনীতি দিয়ে রাজনৈতিক জীবন শুরু করা মতিয়া চৌধুরী ১৯৪২ সালের ত্রিশে জুন পিরোজপুরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি শেরপুর-২ আসন থেকে ছয় বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন এবং সর্বশেষ সংসদের উপনেতা ছিলেন। ছাত্ররাজনীতি থেকে জাতীয় রাজনীতিতে উত্থান মতিয়ার। ঢাকার ইডেন কলেজে

পড়ার সময় ছাত্র রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন তিনি। ১৯৬১-৬২ মেয়াদে তিনি ছিলেন ইডেন কলেজ ছাত্রী সংসদের ভিপি। ১৯৬৫ সালে ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি হন। ১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছয় দফার আন্দোলনে জোরালো ভূমিকা ছিল মতিয়া চৌধুরীর। আন্দোলন-সংগ্রামে অগ্নিঝরা বক্তৃতার জন্য তাকে বলা হত ‘অগ্নিকন্যা’। ১৯৬৭ সালে পূর্ব পাকিস্তান ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টিতে যোগ দেন মতিয়া। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের যৌথ গেরিলা বাহিনী গঠনে তিনি একজন সংগঠকের ভূমিকা পালন করেন। উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানে ভূমিকার জন্য তিনি রাজনৈতিক অঙ্গনে ‘অগ্নিকন্যা’ হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠেছিলেন। ১৯৬৭ সালে পূর্ব পাকিস্তান ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টিতে যোগ দেন মতিয়া চৌধুরী। পরে কার্যকরী কমিটির সদস্য হন। ১৯৭১ সালে ওই দলের

সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৭৯ সালে ন্যাপ ছেড়ে মতিয়া যোগ দেন আওয়ামী লীগে। এর আগে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমালোচক হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ১৯৮৬ সালে দলের কৃষিবিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পান। এক সময় তাকে দলের নীতি নির্ধারণী পর্ষদে অন্তর্ভুক্ত করে নেওয়া হয়। পাকিস্তান বিরোধী সংগ্রামকালে ও পরে স্বাধীন বাংলাদেশে সামরিক শাসনামলে অনেকবার গ্রেফতার হয়েছিলেন। আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রিসভায় তিনি তিন বার কৃষি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন। মতিয়া চৌধুরী ১৯৯১ সালে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৯৬ সালেও একই আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। ২০০১ সালে বিএনপি প্রার্থী মরহুম জাহেদ আলী চৌধুরীর কাছে পরাজিত হন তিনি। পরবর্তীতে ২০০৮ সালে জাহেদ আলী

চৌধুরীকে হারিয়ে তৃতীয় বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ২০১৪, ২০১৮ এবং সবশেষ ২০২৪-এর নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন মতিয়া চৌধুরী; যদিও এসব নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। ১৯৯৬ ও ২০০৯ এবং ২০১৩ সালে আওয়ামী লীগ শাসনামলে কৃষিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন মতিয়া চৌধুরী। সর্বশেষ তিনি আওয়ামী লীগের ১ নং প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। রাজনৈতিক সহকর্মীদের কাছে সারাজীবনই সাধারণ বেশভূষা আর সাদামাটা জীবনযাপনের জন্য পরিচিত ছিলেন মতিয়া চৌধুরী। সর্বশেষ তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভূমিকার জন্য ২০২১ সালে বাংলা একাডেমি তাকে সম্মানসূচক ফেলোশিপ দেয়।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
২২ বছরের সংসার ভাঙল জনপ্রিয় অভিনেত্রীর এইচআরসি গ্রুপের চেয়ারম্যান সাঈদ হোসেন চৌধুরীর ইন্তেকাল বাংলাদেশিদের জন্য মিসরের ভিসায় নিষেধাজ্ঞা নেই যে কারণে বরখাস্ত হলেন এনবিআরের ৮ কর্মকর্তা নিবন্ধন আবেদন: সব দলই প্রাথমিক বাছাইয়ে ‘ফেল’ ৫৫৬ কোটি ব্যয়ে এক কার্গো এলএনজি কিনছে সরকার সিরিয়া ও লেবাননে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল বিমানবন্দর থেকে ৯৬ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাল মালয়েশিয়া যুক্তরাষ্ট্রসহ ৫ দেশে ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু সুদানে আরএসএফ-র হামলায় নিহত ৩০০ বিটকয়েনের ইতিহাসে রেকর্ড দাম যুদ্ধবিরতিতে আস্থা নেই, নতুন করে প্রস্তুত ইরান সরকার মাতারবাড়ীতে পেট্রোকেমিক্যাল কমপ্লেক্স করবে দুপুরের মধ্যে ঢাকাসহ ১৩ জেলায় হতে পারে ঝড়বৃষ্টি মঙ্গলবার রাজধানীর যেসব এলাকার মার্কেট বন্ধ ‘খেলা ছাড়ার সময় এখনো আসেনি’ ক্লাব বিশ্বকাপকে কি সফল বলা যায়? সৌদিতে বিদেশিদের জন্য নতুন নির্দেশনা মোহাম্মদপুরে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ৩৫ চরমপন্থিদের হাতে খুন, জেলে বসে পরিকল্পনা!