ভারতের অভিযোগ কাল্পনিক: টিকটক সিইও – U.S. Bangla News




ভারতের অভিযোগ কাল্পনিক: টিকটক সিইও

ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স:-
আপডেটঃ ২৪ মার্চ, ২০২৩ | ১০:০৬
ভারত যে অভিযোগ তুলে টিকটক নিষিদ্ধ করেছে তা কাল্পনিক বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাপটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শাও জি চিউ। তিনি বলেন, ভারতের তথ্যপাচারের অভিযোগ অনুমানমূলক। আমি কোনো প্রমাণ দেখিনি। বৃহস্পতিবার মার্কিন কংগ্রেসে আইনপ্রণেতাদের জেরার মুখে এ কথা বলেন চিউ। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের। যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবহারকারীদের তথ্য সংগ্রহ করে টিকটক জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকি তৈরি করছে- এটি ‍যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের অভিযোগ। এছাড়া এ অ্যাপের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের তথ্য চীন সরকারের কাছে চলে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা দেশটির। এসব কারণে যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক নিষিদ্ধ করতে আগ্রহী অনেক মার্কিন আইনপ্রণেতা। এর পরিপ্রেক্ষিতে টিকটকের কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানাতে মার্কিন হাউস এনার্জি অ্যান্ড কমার্স

কমিটির সামনে উপস্থিত হন চিউ। এসময় যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করেন চিউ। তিনি আরও বলেন, চীন সরকারের অনুরোধে টিকটকের কোনো আধেয় মুছে ফেলা বা প্রচারণা চালানো হয় না। জিজ্ঞাসাবাদের সময় ভারত ও অন্যান্য দেশের উদ্ধৃতি দিয়েছেন মার্কিন আইনপ্রণেতা ডেবি লেসকো। যারা সম্প্রতি কোনো না কোনোভাবে টিকটক নিষিদ্ধ করেছে। ডেবি লেসকো বলেন, এটি (টিকটক) এমন একটি অ্যাপ যা শেষ পর্যন্ত চীন সরকারের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। জাতীয় নিরাপত্তা উদ্বেগ নিয়ে এসব দেশ ও আমাদের এফবিআই কীভাবে ভুল হতে পারে? জবাবে টিকটক সিইও বলেন, আমি মনে করি, উল্লিখিত অনেকগুলো অভিযোগ কাল্পনিক ও তাত্ত্বিক ঝুঁকি। আমি কোনো প্রমাণ দেখিনি। এদিকে, গত ২১ মার্চ ফোর্বসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়- টিকটকের

এক কর্মী বলেছেন, চীনের কাছে ভারতের কতজনের তথ্য রয়েছে, এ বিষয়ে দেশটির ধারণা নেই। সংস্থার যে কোনো কর্মী, যাদের কাছে ন্যূনতম ‘অ্যাক্সেস’ রয়েছে তারাই ওই তথ্য হাতিয়ে নিতে পারবেন। সেই তালিকায় তারকা থেকে সাধারণ মানুষ,সবাই রয়েছেন। তবে এ অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে দাবি করেছে টিকটক। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, তাদের কাছে কোনো ভারতীয় ব্যবহারকারীর তথ্য নেই। ২০২০ সালের জুনে লাদাখ সীমান্তে চীন ও ভারতের সেনাবাহিনীর মধ্যে এক সংঘর্ষে ভারতের ২০ সেনা নিহত হন। এরপরই ভারতে চীনের পণ্য ও বিভিন্ন ধরনের অ্যাপ নিষিদ্ধ করতে বিভিন্ন দল ও সংগঠন আন্দোলন করে। পরে ৫৯টি চীনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করে ভারত সরকার। অ্যাপগুলোর বিরুদ্ধে তথ্যপাচারের অভিযোগ আনা

হয়। এরপর আরও কয়েক দফায় শতাধিক চীনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করে ভারত। এসব অ্যাপের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ছিল টিকটক। তবে সংস্থাগুলোকে গোপনীয়তা এবং সুরক্ষার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কিত প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। পরে নিষেধাজ্ঞাটি ২০২১ সালের জানুয়ারিতে স্থায়ী করা হয়।
ট্যাগ:

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
কারফিউ তুলে নেওয়ার বিষয়ে যা জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজস্ব আদায়ে ৫ চ্যালেঞ্জ চার দিনে খান ইউনিস ছেড়েছেন পৌনে ২ লাখ ফিলিস্তিনি দেশে আর কতদিন কারফিউ থাকবে? কোটা সংস্কার আন্দোলন ক্ষতিগ্রস্তদের চোখে শুধুই নীরব অশ্রু গ্রেফতার আতঙ্কে ঘরছাড়া বহু সাধারণ শিক্ষার্থী জনজীবন স্বাভাবিক হলে কারফিউ প্রত্যাহার: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কারা অধিদপ্তরে জরুরি সিকিউরিটি সেল সীমিত আকারে চলছে দূরপাল্লার বাস, যাত্রী কম ডিবি হেফাজতে কোটা আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ১০ দিনে কারাগারে ৩৩০ চট্টগ্রামে গ্রেফতার আতঙ্কে ঘরছাড়া বিএনপি নেতাকর্মীরা ‘তারেক রহমানের হামলার নির্দেশনার অডিও সরকারের কাছে’ সরকার দিশেহারা হয়ে বিরোধীদের ওপর দোষ চাপাচ্ছে: জামায়াত সব দল নিয়ে জাতীয় ঐক্যের আহ্বান বিএনপির মাঠে থাকার অঙ্গীকার আ.লীগ নেতাদের ওয়াইফাই নেটওয়ার্কে নিরবচ্ছিন্ন সুবিধা পেতে যা করবেন কী হয়েছিল জাহ্নবীর? সহিংসতায় আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করবে সরকার: প্রধানমন্ত্রী পুলিশকে দুর্বল করতেই পরিকল্পিতভাবে হামলা-ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে: ডিবিপ্রধান প্রকৃত কোনো ছাত্রই এই হামলায় জড়িত ছিল না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী