
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স:-
আরও খবর

ঐতিহাসিক যে মসজিদে এখন আর নামাজ আদায় হয় না

স্বর্ণ উদ্ধারের নামে থানায় যুবককে মারধর, দু’একদিনের মধ্যেই পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদন

বিমানের ই-মেইল সার্ভার হ্যাক: ৫০ লাখ ডলার মুক্তিপণ দাবি

সুলভ মূল্যের পণ্য যেন সোনার হরিণ

বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে নবনিযুক্ত প্রধান তথ্য কমিশনারের শ্রদ্ধা

ওসির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগকারী নারীর বিচার চেয়ে মানববন্ধন

‘হৃদিতার প্রেমের ফাঁদ’ থেকে সাবধান!
বিজয় দিবসে পুলিশের সামনেই ছাত্রলীগের হামলার শিকার নূরের অনুসারীরা

মাগুরায় বিজয় দিবস উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিতে গিয়ে পুলিশের সামনেই ছাত্রলীগের হামলার শিকার হয়েছেন ডাকসুর সাবেক ভিপি নূরুল ইসলাম নূরের রাজনৈতিক সংগঠনের নেতারা।
এ ঘটনায় রাজনৈতিক সংগঠনটির মাগুরা সদর উপজেলা যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি রাজিব মোল্যা, জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি এজাজ আহমেদ এবং সদর উপজেলা শাখার সভাপতি আরিফ বিল্লাহকে বেদম মারধর করা হয়েছে।
দলীয় নেতাকর্মীরা জানান, সকাল ৭টায় মাগুরা শহরের নোমানী ময়দানে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের আয়োজন করা হয়। সে লক্ষ্যে মাগুরা জেলা গণঅধিকার পরিষদের ব্যানারে শতাধিক নেতাকর্মী সাড়ে ৭টার দিকে স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে ফিরে আসছিল। পথে মধুমতি রেস্ট হাউজের সামনে পৌঁছলে ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি আশিকুল ইসলাম বনির নেতৃত্বে অতর্কিত হামলা চালানো হয়।
এ সময় তারা কাঠের লাঠি দিয়ে যুব ও ছাত্র অধিকারের নেতাদেরকে বেধড়ক মারধরে করে। ঘটনাস্থলে অসংখ্য পুলিশ মোতায়েন করা থাকলেও পুলিশ ছাত্রলীগ কর্মীদের কোনো প্রকার বাধা দেয়নি। গুরুতর আহত জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি এজাজ আহমেদকে পুলিশ আটক করেছে।
মাগুরা জেলা গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ এহসানুল কবির শিবলু বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা কারো একক অর্জন নয়। আমরাও শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্যে ফুল নিয়ে গিয়েছিলাম। এটি আমাদের অপরাধ হতে পারে না। অথচ পুলিশের সামনেই যুব ও ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের ওপর ন্যাক্কারজনকভাবে হামলা চালানোর থানায় আটকে রাখা হয়েছে। অথচ তাদের চিকিৎসার প্রয়োজন।
তবে এ ঘটনায় নিজের সম্পৃক্ততার অভিযোগ অস্বীকার করে মাগুরা জেলা ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি আশিকুল ইসলাম বনি বলেন, সরকার বিরোধী স্লোগান দেওয়ার ঘটনা নিয়ে ছাত্রলীগের জুনিয়র ছেলেদের সঙ্গে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে বলে জানতে পেরেছি।
এ বিষয়ে সদর থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ছাত্রলীগের ছেলেরা একজনকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। বর্তমানে সে থানায় রয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।