
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স:-
আরও খবর

ইসিতে ৩৩৮ ওসির বদলির তালিকা

বিদেশিদের কমিশনের ওপর চাপ দেওয়ার কোনো অধিকার নেই: ইসি আলমগীর

ঢাকা-কক্সবাজার রুটে আরও একজোড়া নতুন ট্রেন

এবার ডিবি অফিসে ভাত খেলেন ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর

বর্তমান সংসদ-সদস্যদের সম্পদ বেড়েছে

সরকার দেশে গণতন্ত্রের ভিত্তি সুদৃঢ় করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী

প্রার্থিতা ফিরে পেতে ইসিতে ৪২ জনের আপিল
বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে সব পক্ষকেই ভূমিকা পালন করতে হবে

বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে কার্যকর উদ্যোগ চান বিশিষ্ট আইনজীবীরা। তারা মনে করেন, কেবল সরকারের আন্তরিকতার ওপর বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নির্ভর করে না। বিচারকদেরও এক্ষেত্রে আরও দায়িত্ববান হতে হবে। তাদের সাহস, আন্তরিকতা এবং দক্ষতার ওপরও অনেকাংশে নির্ভর করে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার বিষয়টি। তাই বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে সব পক্ষকেই কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে।
মঙ্গলবার আইন কমিশন তাদের এক প্রতিবেদনে বলেছে, দেশের সংবিধান বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগ থেকে পৃথক ও স্বাধীন সত্তা হিসাবে থাকবে বলে ঘোষণা দিলেও কার্যক্ষেত্রে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ‘সোনার হরিণ’ হয়েই থাকে। তাছাড়া দুঃখজনক হলেও এই বিভাগ কোনো সময়ই সরকারের কাছ থেকে যথাযথ গুরুত্ব পায়নি।
জানতে
চাইলে এ প্রসঙ্গে বিশিষ্ট আইনজীবী এবং সাবেক আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেন, আমি দীর্ঘ পাঁচ বছর আইনমন্ত্রী ছিলাম। আমরা বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে অনেক উদ্যোগ নিয়েছি। বিচার বিভাগ যাতে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে-এ রকম নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। যার সুফল দেশের মানুষ পাচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, আমি সব সময় বলেছি, এটা আমি বিশ্বাসও করি-বিচার বিভাগের স্বাধীনতা না থাকলে সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করা যাবে না। দেশে আইনের শাসনও প্রতিষ্ঠা করা যাবে না। তবে এটাও ঠিক, এই স্বাধীনতা কেবল সরকারের একার পক্ষে নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। সরকার, বিচারক এবং আইনজীবী-সবাইকে মিলে স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে
হবে। এ প্রসঙ্গে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক ও সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, বিচারকের মেরুদণ্ড আছে কিনা তার ওপর বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নির্ভর করে। অযোগ্য, মেরুদণ্ডহীন, নিজের বিবেকের ওপর দায়বদ্ধ না থেকে সে ফ সরকারের দিকে তাকিয়ে থাকা বিচারকদের দিয়ে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা যাবে না। আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে এই প্রতিবেদনটি উত্থাপন করেন আইন কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক। দীর্ঘ ৪২ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনটির শিরোনাম হচ্ছে ‘মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি ও মামলা জট হ্রাসকরণে আইন কমিশনের সুপারিশ সংবলিত প্রতিবেদন’। দেশের বিদ্যমান বিভিন্ন আইনি জটিলতা ও নানারকম পারিপার্শ্বিক কারণে মামলা নিষ্পত্তিতে দীর্ঘসূত্রতা এবং মামলাজট সমস্যা
উদ্বেগজনকভাবে জটিল আকার ধারণ করছে বলে আইন কমিশন দাবি করে। তারা বলেছে, এতে করে জনগণ তাদের ন্যায়বিচার লাভের সাংবিধানিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। জানতে চাইলে এ প্রসঙ্গে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট শহীদুজ্জামান সরকার বলেন, আইন কমিশন কমিটির বৈঠকে প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করে। সংসদীয় কমিটির পরবর্তী বৈঠকে প্রতিবেদনটি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করে প্রয়োজনীয় সুপারিশ করা হবে। আইন কমিশন মামলাজট এবং বিচারাধীন মামলার বিষয় নিয়েও তাদের মতামত দিয়েছে প্রতিবেদনটিতে। মামলা নিষ্পত্তিতে দীর্ঘসূত্রতার জন্য বিচারক সংকটসহ বেশ কিছু কারণ তুলে ধরেছে তারা। আইন কমিশন বলেছে, দেশের আদালতগুলোতে ৪০ লাখের বেশি মামলা ঝুলছে। প্রতিবছরই মামলার সংখ্যা বাড়ছে। ১৫ বছরের ব্যবধানে
উচ্চ ও নিম্ন আদালত মিলিয়ে বিচারাধীন মামলার জট দ্বিগুণ হয়েছে। এর প্রধান কারণ বিচারকের স্বল্পতা। দেশে ৯৪ হাজার ৪৪৪ জনের বিপরীতে বিচারক একজন। তারা বলেছে, জনসংখ্যার বিবেচনায় বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে বিচারক নিতান্তই কম। যুক্তরাজ্যে বিচারকপ্রতি জনসংখ্যা ৩ হাজার ১৮৬, যুক্তরাষ্ট্রে ১০ হাজার, ভারতে ৪৭ হাজার ৬১৯ এবং পাকিস্তানে প্রায় ৫০ হাজার। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত উচ্চ আদালতসহ জেলা আদালতগুলোতে বিচারাধীন মামলা ছিল ৪১ লাখ ৯৬ হাজার ৬০৩টি। ২০০৮ সালে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগে বিচারাধীন মামলা ছিল ৬ হাজার ৮৯২টি। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে বিচারাধীন মামলা ছিল ১৯ হাজার ৯২৮টি। হাইকোর্ট বিভাগে ২০০৮ সালে বিচারাধীন মামলা ছিল ২
লাখ ৯৩ হাজার ৯০১টি। ২০২২ সালে তা বেড়ে হয় ৫ লাখ ১৬ হাজার ৬৭৪। জেলা ও দায়রা জজসহ অধস্তন আদালতগুলোতে ২০০৮ সালে মামলা ছিল ১৪ লাখ ৮৯ হাজার ১২১টি। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে বিচারাধীন মামলা বেড়ে হয় ৩৬ লাখ ৬০ হাজার ১টি। মামলাজট নিরসনে দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে বিচার ব্যবস্থার ওপর সাধারণ মানুষের শুধু আস্থাই হারিয়ে যাবে না, বরং বিচার ব্যবস্থাই ভেঙে পড়ার উপক্রম হবে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বিচারপ্রার্থী জনগণকে হয়রানির শিকার হতে হয়। এ ধরনের অনাকাক্সিক্ষত হয়রানি থেকে উত্তরণের জন্য যেসব আদালতে অধিক মামলা বিচারাধীন, ওই সব আদালতের ওপর চাপ কমানোর জন্য প্রয়োজন অনুপাতে আরও অতিরিক্ত আদালত প্রতিষ্ঠা করে বিচারক
নিয়োগ দেওয়া জরুরি। বিভিন্ন পর্যায়ে জরুরি ভিত্তিতে পদ সৃজন করে কমপক্ষে পাঁচ হাজার বিচারক নিয়োগ করা হলে মামলার জট কমিয়ে সহনীয় পর্যায়ে আনা সম্ভব হবে। মামলার দীর্ঘসূত্রতার কারণ সম্পর্কে আইন কমিশন আটটি কারণ তুলে ধরে।
চাইলে এ প্রসঙ্গে বিশিষ্ট আইনজীবী এবং সাবেক আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেন, আমি দীর্ঘ পাঁচ বছর আইনমন্ত্রী ছিলাম। আমরা বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে অনেক উদ্যোগ নিয়েছি। বিচার বিভাগ যাতে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে-এ রকম নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। যার সুফল দেশের মানুষ পাচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, আমি সব সময় বলেছি, এটা আমি বিশ্বাসও করি-বিচার বিভাগের স্বাধীনতা না থাকলে সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করা যাবে না। দেশে আইনের শাসনও প্রতিষ্ঠা করা যাবে না। তবে এটাও ঠিক, এই স্বাধীনতা কেবল সরকারের একার পক্ষে নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। সরকার, বিচারক এবং আইনজীবী-সবাইকে মিলে স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে
হবে। এ প্রসঙ্গে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক ও সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, বিচারকের মেরুদণ্ড আছে কিনা তার ওপর বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নির্ভর করে। অযোগ্য, মেরুদণ্ডহীন, নিজের বিবেকের ওপর দায়বদ্ধ না থেকে সে ফ সরকারের দিকে তাকিয়ে থাকা বিচারকদের দিয়ে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা যাবে না। আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে এই প্রতিবেদনটি উত্থাপন করেন আইন কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক। দীর্ঘ ৪২ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনটির শিরোনাম হচ্ছে ‘মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি ও মামলা জট হ্রাসকরণে আইন কমিশনের সুপারিশ সংবলিত প্রতিবেদন’। দেশের বিদ্যমান বিভিন্ন আইনি জটিলতা ও নানারকম পারিপার্শ্বিক কারণে মামলা নিষ্পত্তিতে দীর্ঘসূত্রতা এবং মামলাজট সমস্যা
উদ্বেগজনকভাবে জটিল আকার ধারণ করছে বলে আইন কমিশন দাবি করে। তারা বলেছে, এতে করে জনগণ তাদের ন্যায়বিচার লাভের সাংবিধানিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। জানতে চাইলে এ প্রসঙ্গে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট শহীদুজ্জামান সরকার বলেন, আইন কমিশন কমিটির বৈঠকে প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করে। সংসদীয় কমিটির পরবর্তী বৈঠকে প্রতিবেদনটি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করে প্রয়োজনীয় সুপারিশ করা হবে। আইন কমিশন মামলাজট এবং বিচারাধীন মামলার বিষয় নিয়েও তাদের মতামত দিয়েছে প্রতিবেদনটিতে। মামলা নিষ্পত্তিতে দীর্ঘসূত্রতার জন্য বিচারক সংকটসহ বেশ কিছু কারণ তুলে ধরেছে তারা। আইন কমিশন বলেছে, দেশের আদালতগুলোতে ৪০ লাখের বেশি মামলা ঝুলছে। প্রতিবছরই মামলার সংখ্যা বাড়ছে। ১৫ বছরের ব্যবধানে
উচ্চ ও নিম্ন আদালত মিলিয়ে বিচারাধীন মামলার জট দ্বিগুণ হয়েছে। এর প্রধান কারণ বিচারকের স্বল্পতা। দেশে ৯৪ হাজার ৪৪৪ জনের বিপরীতে বিচারক একজন। তারা বলেছে, জনসংখ্যার বিবেচনায় বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে বিচারক নিতান্তই কম। যুক্তরাজ্যে বিচারকপ্রতি জনসংখ্যা ৩ হাজার ১৮৬, যুক্তরাষ্ট্রে ১০ হাজার, ভারতে ৪৭ হাজার ৬১৯ এবং পাকিস্তানে প্রায় ৫০ হাজার। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত উচ্চ আদালতসহ জেলা আদালতগুলোতে বিচারাধীন মামলা ছিল ৪১ লাখ ৯৬ হাজার ৬০৩টি। ২০০৮ সালে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগে বিচারাধীন মামলা ছিল ৬ হাজার ৮৯২টি। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে বিচারাধীন মামলা ছিল ১৯ হাজার ৯২৮টি। হাইকোর্ট বিভাগে ২০০৮ সালে বিচারাধীন মামলা ছিল ২
লাখ ৯৩ হাজার ৯০১টি। ২০২২ সালে তা বেড়ে হয় ৫ লাখ ১৬ হাজার ৬৭৪। জেলা ও দায়রা জজসহ অধস্তন আদালতগুলোতে ২০০৮ সালে মামলা ছিল ১৪ লাখ ৮৯ হাজার ১২১টি। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে বিচারাধীন মামলা বেড়ে হয় ৩৬ লাখ ৬০ হাজার ১টি। মামলাজট নিরসনে দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে বিচার ব্যবস্থার ওপর সাধারণ মানুষের শুধু আস্থাই হারিয়ে যাবে না, বরং বিচার ব্যবস্থাই ভেঙে পড়ার উপক্রম হবে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বিচারপ্রার্থী জনগণকে হয়রানির শিকার হতে হয়। এ ধরনের অনাকাক্সিক্ষত হয়রানি থেকে উত্তরণের জন্য যেসব আদালতে অধিক মামলা বিচারাধীন, ওই সব আদালতের ওপর চাপ কমানোর জন্য প্রয়োজন অনুপাতে আরও অতিরিক্ত আদালত প্রতিষ্ঠা করে বিচারক
নিয়োগ দেওয়া জরুরি। বিভিন্ন পর্যায়ে জরুরি ভিত্তিতে পদ সৃজন করে কমপক্ষে পাঁচ হাজার বিচারক নিয়োগ করা হলে মামলার জট কমিয়ে সহনীয় পর্যায়ে আনা সম্ভব হবে। মামলার দীর্ঘসূত্রতার কারণ সম্পর্কে আইন কমিশন আটটি কারণ তুলে ধরে।