
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স:-
আরও খবর

৫ এপ্রিল থেকে মেট্রোরেল চলবে ৮টা থেকে ২টা

‘ইনস্টিটিউশনাল প্রাক্টিস’ চালু সরকারি হাসপাতালে

জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি সম্পর্কে সর্বসম্মত প্রস্তাব

প্রবাসীদের উন্নয়নে জিহাদ ঘোষণা করলেও সিস্টেমের কারণে পারছি না: মন্ত্রী

স্মার্ট প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত হচ্ছে পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট

আবার সরকার গঠন করতে পারেন শেখ হাসিনা

আলোচনায় বসতে আরও ৮ দলকে চিঠি দিল ইসি
বাংলাদেশে তুরস্কের আরও বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী

রোহিঙ্গাদের টেকসই প্রত্যাবাসনে সহযোগিতার পাশাপাশি বাংলাদেশে তুরস্কের বৃহত্তর বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তুরস্কের বিদায়ি রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরান মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ আহ্বান জানান।
এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণকারী রোহিঙ্গাদের দেশে ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমার সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য তুরস্ক সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান।
এ সময় তুরস্কের রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বাংলাদেশে ব্যাপক অবকাঠামোগত উন্নয়ন বিশেষ করে অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের কারণে তার দেশের ব্যবসায়ীরা আরও বেশি বিনিয়োগের আগ্রহ দেখাচ্ছেন। দুটি তুর্কি কোম্পানি এ বছর অর্থনৈতিক অঞ্চলে ৮৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে।’ এ সময় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাসও দেন তিনি।
সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী পরবর্তী বাংলাদেশ-তুরস্ক জয়েন্ট ইকোনমিক গ্রুপের বৈঠক দ্রুত আয়োজনের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন, যেখানে সহযোগিতা বাণিজ্য, ব্যবসা ও অন্যান্য বিষয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। কমিশনের আগের বৈঠকটি ২০১৯ সালে ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রী তুরস্কের কাছ থেকে আর্থ-সামাজিক দিকগুলোর পাশাপাশি প্রতিরক্ষা বিষয়ে সহযোগিতা কামনা করেন। তুর্কি রাষ্ট্রদূত প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য তার দেশের আগ্রহ প্রকাশ করেন। মোস্তফা ওসমান তুরান বাংলাদেশে একটি সুপার স্পেশাল হাসপাতাল স্থাপনে তার দেশের আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং এর জন্য উপযুক্ত জায়গা চেয়েছেন।
জবাবে প্রধানমন্ত্রী পূর্বাচলে অথবা পদ্মা সেতুর পাশে জমি দেওয়ার প্রস্তাব করেন। তুর্কি রাষ্ট্রদূত স্মার্ট বাংলাদেশের ধারণাটি গ্রহণে এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে এক সঙ্গে কাজ করার ব্যাপারে তার দেশের আগ্রহের কথা প্রকাশ করেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসবেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আধুনিক তুরস্কের প্রতিষ্ঠাতা মোস্তফা কামাল আতাতুর্ক বাংলাদেশে অত্যন্ত জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব এবং কামাল আমাদের ঘরে ঘরে পরিচিত নাম। আমার ছোট ভাই শেখ কামালের নাম তার (কামাল আতাতুর্ক) কাজ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে রাখা হয়েছিল।
অনুষ্ঠানে অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ এম জিয়াউদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।