
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স:-
আরও খবর

ক্রেনের আঘাতে লাইনচ্যুত ট্রেন, ঢাকার সঙ্গে সারাদেশের যোগাযোগ বন্ধ

টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

ঢাকার সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ

৪১তম বিসিএসের নন-ক্যাডারে সুপারিশ পেলেন ৩১৬৪ জন

নির্বাচনে বিদেশী কোন চাপ নেই : ইসি আলমগীর

প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়ায় যাচ্ছেন বৃহস্পতিবার

দেশের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিকল্প নেই
বস্তিতে ৩১, বাইরে ৫৯% প্রসব অস্ত্রোপচারে

দেশের শহর অঞ্চলে অপ্রয়োজনীয় অস্ত্রোপচারের (সিজারিয়ান বা সি-সেকশন) মাধ্যমে শিশু জন্মের হার অনেক বেশি। মহানগরে বস্তির বাইরে থাকা জনগোষ্ঠীর ৫৯ দশমিক ৪ শতাংশ, বস্তির ৩১ দশমিক ৩ শতাংশ এবং অন্যান্য শহরে ৫০ দশমিক ৫ শতাংশ সন্তান প্রসব হচ্ছে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে। নগরের উচ্চবিত্তের পাশাপাশি এখন সন্তান প্রসবে সিজারের দিকে ঝুঁকছে বস্তিবাসীও।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব পপুলেশন রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিংয়ের (নিপোর্ট) গবেষণায় উঠে এসেছে এমন তথ্য।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে নিপোর্টের দেশব্যাপী তৃতীয় বাংলাদেশ আরবান হেলথ সার্ভে-২০২১ (বিইউএইচএস)-এর ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে এ তথ্য দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক সাঈদ সাহাদাত হোসেন। জরিপটি ১১টি সিটি করপোরেশনে বস্তি, বস্তিবহির্ভূত এবং
জেলা-পৌরসভা ও বড় শহরের (অন্তত ৪৫ হাজার বাসিন্দা) জনগোষ্ঠীর ওপর করা হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সুপারিশ অনুযায়ী, একটি দেশে অস্ত্রোপচারে সন্তান প্রসবের হার ১০ থেকে ১৫ শতাংশ হওয়া উচিত। তবে বাংলাদেশে সেভ দ্য চিলড্রেনের ২০১৯ সালের হিসাব বলছে- এই হার ৫১ শতাংশ। সেই হিসাবে দেশে বিশ্বব্যাপী অনুমোদিত হারের চেয়ে তিন গুণেরও বেশি শিশুর জন্ম হচ্ছে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে। নিপোর্টের জরিপে উঠে এসেছে, অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় প্রাতিষ্ঠানিক চিকিৎসাসেবা নেওয়া নারীদের মধ্যে সিজারে সন্তান জন্মদানের হার বেশি। ঘরের বাইরে বিভিন্ন হাসপাতাল কিংবা স্বাস্থ্যসেবার আওতায় আসা অধিকাংশ শিশুর জন্মই হয়েছে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে। স্বাস্থ্যসেবা পাওয়া মহানগরের ৭৭ শতাংশ, অন্যান্য শহরে ৭৫ শতাংশ এবং মহানগরের বস্তির ৫৮ দশমিক ৩
শতাংশ নারী সিজারের মাধ্যমে সন্তান জন্ম দেন। সরকারি হাসপাতালের তুলনায় বেসরকারি ও এনজিওভিত্তিক হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সন্তান জন্মদানের হার বেশি। বেসরকারি হাসপাতালে সবচেয়ে বেশি ৮৩ শতাংশ প্রসবেই অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। এনজিওতে সিজারের হার ২৫ শতাংশ। এ বিষয়ে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, অন্তঃসত্ত্বা নারীদের প্রথম দিকে সেবা নেওয়ার হার কিছুটা আশা দেখালেও চতুর্থ ধাপ খুবই হতাশাজনক। করোনা মহামারিতে কম বয়সে গর্ভধারণ বেড়েছে এটা ঠিক, কিন্তু স্বাভাবিক সময়ে যে খুব একটা ভালো অবস্থা ছিল তা নয়। উপজেলা ও জেলা শহরে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে বড় একটি গ্যাপ রয়েছে। এর উন্নতি জরুরি। এ বিষয়ে আলাদা পরিকল্পনা করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ
মালেক বলেন, অন্যান্য দেশের তুলনায় অপ্রয়োজনীয় অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে শিশু জন্মের হার অনেক বেশি। চিকিৎসার জন্য অন্তঃসত্ত্বারা বেসরকারি কোনো হাসপাতালে গেলেই তাদের সিজার করা হয়। সিজার হলেই অতিরিক্ত সুবিধা। বেসরকারি হাসপাতালগুলো সব সময় ব্যবসায়িক স্বার্থ লালন করে। তিনি আরও বলেন, আমাদের স্বাভাবিক ডেলিভারি আরও বাড়াতে হবে। তাহলে শিশু ও মাতৃমৃত্যু কমে যাবে। এজন্য ২৪ ঘণ্টা সেবাদানের ব্যবস্থা করতে হবে। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহান আরা বানু, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. টিটো মিঞা।
জেলা-পৌরসভা ও বড় শহরের (অন্তত ৪৫ হাজার বাসিন্দা) জনগোষ্ঠীর ওপর করা হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সুপারিশ অনুযায়ী, একটি দেশে অস্ত্রোপচারে সন্তান প্রসবের হার ১০ থেকে ১৫ শতাংশ হওয়া উচিত। তবে বাংলাদেশে সেভ দ্য চিলড্রেনের ২০১৯ সালের হিসাব বলছে- এই হার ৫১ শতাংশ। সেই হিসাবে দেশে বিশ্বব্যাপী অনুমোদিত হারের চেয়ে তিন গুণেরও বেশি শিশুর জন্ম হচ্ছে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে। নিপোর্টের জরিপে উঠে এসেছে, অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় প্রাতিষ্ঠানিক চিকিৎসাসেবা নেওয়া নারীদের মধ্যে সিজারে সন্তান জন্মদানের হার বেশি। ঘরের বাইরে বিভিন্ন হাসপাতাল কিংবা স্বাস্থ্যসেবার আওতায় আসা অধিকাংশ শিশুর জন্মই হয়েছে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে। স্বাস্থ্যসেবা পাওয়া মহানগরের ৭৭ শতাংশ, অন্যান্য শহরে ৭৫ শতাংশ এবং মহানগরের বস্তির ৫৮ দশমিক ৩
শতাংশ নারী সিজারের মাধ্যমে সন্তান জন্ম দেন। সরকারি হাসপাতালের তুলনায় বেসরকারি ও এনজিওভিত্তিক হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সন্তান জন্মদানের হার বেশি। বেসরকারি হাসপাতালে সবচেয়ে বেশি ৮৩ শতাংশ প্রসবেই অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। এনজিওতে সিজারের হার ২৫ শতাংশ। এ বিষয়ে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, অন্তঃসত্ত্বা নারীদের প্রথম দিকে সেবা নেওয়ার হার কিছুটা আশা দেখালেও চতুর্থ ধাপ খুবই হতাশাজনক। করোনা মহামারিতে কম বয়সে গর্ভধারণ বেড়েছে এটা ঠিক, কিন্তু স্বাভাবিক সময়ে যে খুব একটা ভালো অবস্থা ছিল তা নয়। উপজেলা ও জেলা শহরে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে বড় একটি গ্যাপ রয়েছে। এর উন্নতি জরুরি। এ বিষয়ে আলাদা পরিকল্পনা করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ
মালেক বলেন, অন্যান্য দেশের তুলনায় অপ্রয়োজনীয় অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে শিশু জন্মের হার অনেক বেশি। চিকিৎসার জন্য অন্তঃসত্ত্বারা বেসরকারি কোনো হাসপাতালে গেলেই তাদের সিজার করা হয়। সিজার হলেই অতিরিক্ত সুবিধা। বেসরকারি হাসপাতালগুলো সব সময় ব্যবসায়িক স্বার্থ লালন করে। তিনি আরও বলেন, আমাদের স্বাভাবিক ডেলিভারি আরও বাড়াতে হবে। তাহলে শিশু ও মাতৃমৃত্যু কমে যাবে। এজন্য ২৪ ঘণ্টা সেবাদানের ব্যবস্থা করতে হবে। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহান আরা বানু, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. টিটো মিঞা।