
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স:-
আরও খবর

প্রধানমন্ত্রীর ওয়াশিংটন ডিসির উদ্দেশ্যে নিউইয়র্ক ত্যাগ

অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে দৃঢ় প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী

স্বাধীনতা বিরোধীরা যাতে ক্ষমতায় আসতে না পারে সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে : রাষ্ট্রপতি

বিশ্ব মেরিটাইম দিবসের সাফল্য কামনায় রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী

ভোক্তাপিছু কম ব্যয় করে বাংলাদেশ

‘বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার সময় মানবতা কোথায় ছিল’

ভোক্তা অধিদপ্তরের তদারকি: বিভিন্ন অনিয়মে ৮৬টি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা
পুলিশের বিশেষ মনিটরিং সেল হচ্ছে

সারাদেশের যেসব ভয়ংকর ধরনের অপরাধী জামিনে মুক্তি পেয়ে কারাগার থেকে বের হয়ে যাচ্ছে কিংবা পালিয়ে বেড়াচ্ছে তাদের বিষয়ে তদারকি, নজরদারি ও তথ্য ভা-ার গড়ে তোলার জন্য গঠন করা হচ্ছে ‘বিশেষ মনিটরিং সেল’। মনিটরিং সেলের প্রধান অফিস হবে রাজধানী ঢাকায়। দেশের ৬৪ জেলায় হবে শাখা অফিস। বিশেষ মনিটরিং সেলের প্রধান হবেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন যুগ্ম সচিব।
ডিআইজি পদমর্যাদার থাকবেন একজন পুলিশ কর্মকর্তা। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশ সদর দপ্তরের এই উদ্যোগ সফল করার জন্য সব ধরনের সহায়তা করবে আইন মন্ত্রণালয়। খুব শীঘ্রই বিশেষ মনিটরিং সেলের কার্যক্রম শুরু করার পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে এ খবর জানা গেছে।
পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে
জানা গেছে, পর্যাপ্ত তথ্যের অভাবে ঢাকার আদালত থেকে ছিনিয়ে নেওয়া দুই জঙ্গিসহ সহযোগী জঙ্গিদের দীর্ঘ এক মাসেও গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। গত নভেম্বর মাসে ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণ থেকে পুলিশের চোখে-মুখে পিপার স্প্রে মেরে দুই জঙ্গি ছিনিয়ে নেওয়ার এক মাস পরও তাদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। প্রকাশক দীপন হত্যা মামলার মৃত্যুদ-প্রাপ্ত দুই আসামি ও জেএমবি সদস্য আবু সিদ্দিক ও মইনুলকে ঢাকার আদালতের সামনে থেকে ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়েছে অন্য জঙ্গিরা। এ অপারেশনে অংশ নেয় ১০ থেকে ১২ জন জঙ্গি। সহযোগী জঙ্গিদের গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ, পলাতক জঙ্গিদের গ্রেপ্তারের জন্য চেকপোস্ট, তল্লাশি, সতর্ক অবস্থায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে রাখা হয়। কিন্তু দীর্ঘ
এক মাস ধরে পলাতক ও ছিনিয়ে নেওয়া জঙ্গিরা কে কোথায় আছে তার পর্যাপ্ত তথ্য নেই। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন এই তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, গ্যাস স্প্রে করে জেএমবির দুই সদস্যকে ছিনতাই করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। দুর্বৃত্তদের ধরতে আমরা তাৎক্ষণিক চেষ্টা চালাই। কিন্তু ধরা সম্ভব হয়নি। আমাদের চেষ্টা চলছে। এনিয়ে একাধিক টিম কাজ করছে। এ ছাড়াও গত এক বছরে জামিন নিয়ে কারাগার থেকে বের হয়ে গেছে শতাধিক ভয়ংকর অপরাধী। জামিন নিয়ে বের হয়ে যাওয়া এই ধরনের অপরাধী কারা কখন কিভাবে বের হয়ে কোথায় আছে তার কোন তথ্য পায় না পুলিশ। যেসব ভয়ংকর
ধরনের অপরাধী জামিনে কারাগার থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে তার মধ্যে আছে জঙ্গি, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, ডাকাত, মাদক কারবারি, চোরাকারবারি ধরনের দুর্ধর্ষ অপরাধী। এই জন্য উদ্বিগ্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংস্থাগুলো। পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, দুর্র্ধর্ষ অপরাধীরা কে কখন কিভাবে জামিনে মুক্ত হয়ে কোথায় অবস্থান করছে সেই তথ্য পাচ্ছে না আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা। অপরাধীরা কিভাবে জামিন পাচ্ছে সেটাও জানে না তারা। ফলে কে কখন জামিন নিয়ে আত্মগোপন করছে বা দেশের বাইরে চলে যাচ্ছে, তা সংস্থাগুলোর নজরের বাইরেই থাকছে। এতে গুরুতর ধরনের অপরাধ সংঘটিত হওয়া আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে। এই ধরনের আশঙ্কা থেকে গঠন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বিশেষ মনিটরিং সেল। বিশেষ মনিটরিং সেলটি গঠন হলে বিশেষ সুবিধায়
কোনো অপরাধী জামিন পাচ্ছে কি না, জামিন পাওয়ার পর এসব আসামি কি করছে এবং মামলায় নিয়মিত হাজিরা দিচ্ছে কি না এসব বিষয় জানতে পারবে এবং তদারকি করার সুযোগ হবে। কতজন তালিকাভুক্ত অপরাধী জামিনে রয়েছে এবং তাদের সর্বশেষ অবস্থা তাও তদারকি করবে বিশেষ এই মনিটরিং সেলটি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বিশেষ মনিটরিং সেল গঠনের বিষয়ে কয়েকদফা বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে আইনের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে দুর্র্ধর্ষ অপরাধীরা জামিন পাচ্ছে কি না তা বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে মনিটরিংয়ে সরকারি আইনজীবীদের আরও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি আইন মন্ত্রণালয়কে যথাযথ পদক্ষেপ নিতেও অনুরোধ করা হয়। ওইসব বৈঠকে বলা হয়, বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক সহিংসতায় জড়িত
আসামি, দুর্র্ধর্ষ জঙ্গি ও তালিকাভুক্ত অপরাধীদের মধ্যে কতজন জামিনে রয়েছে সুনির্দিষ্টভাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে সেই হিসাব নেই। এমনকি কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর কতজন নিয়মিত হাজিরা দিচ্ছে আর কতজন গা ঢাকা দিয়েছে তাও কেন্দ্রীয়ভাবে আইনশৃঙ্খলা সংস্থাগুলো জানতে পারছে না। প্রতিদিন দেশের মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ও জেলাগুলোর জজ আদালত থেকে কে কখন জামিন পাচ্ছে, সে হিসাবও নিয়মিত রাখা হচ্ছে না। কারা জামিন পাচ্ছে বা কারা কারাগার থেকে বের হয়ে যাচ্ছে সেই হিসাব থাকা খুবই জরুরি। বিশেষ দুর্বলতার কারণে জামিনের দৈনন্দিন পরিসংখ্যান রাখা সম্ভব হচ্ছে না। সমন্বয় ও নজরদারি না থাকায় একাধিক মামলার আসামি একটি মামলাতেই জামিন নিয়ে কারাগার থেকে
বেরিয়ে যায়। তবে এ সংখ্যা আগের চেয়ে কমে এসেছে। বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, খুব শীঘ্রই মনিটারিং সেলের কার্যক্রম শুরু হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকে বলা হয়েছে, গত এক বছরে অন্তত শতাধিক দুর্র্ধর্ষ অপরাধী জামিন নিয়ে কারাগার থেকে বের হয়ে গেছে। অথচ পুলিশ ওইসব সন্ত্রাসীর জামিনের বিষয়ে কিছু জানে না। অপরাধীরা পুনরায় একই ধরনের অপরাধমূলক কর্মকা- চালাচ্ছে। তাদের তালিকা করতে বৈঠক থেকে নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। পুলিশ সদর দপ্তরের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, ভয়ংকর দুর্বৃত্ত, দুর্র্ধর্ষ জঙ্গি, তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী, একাধিক মামলার আসামি ও মাদক কারবারি, স্মাগলারসহ গুরুতর ধরনের অপরাধে অভিযুক্ত অপরাধীরা পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে জামিন নিয়ে কারাগার থেকে বের হয়ে যাচ্ছে। এসব অপরাধী
জামিনে বের হয়ে আবারও অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। কেউ কেউ সরকারবিরোধীদের সঙ্গে মিলে দেশে নানা নাশকতা চালানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। দুর্র্ধর্ষ অপরাধীরা কারাগার ছাড়ার আগে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলো আগাম তথ্য পাওয়ার রেওয়াজ থাকলেও বিশেষ কারণে তা পাচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। আদালতের সরকারের নিয়োগ করা আইনজীবী থেকে শুরু করে কারাগারের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের ফাঁকি দিয়ে ওরা বেরিয়ে যাচ্ছে। এসব কারণে পুলিশসহ অন্যান্য সংস্থাগুলো সমালোচনার মধ্যে পড়েছে। যেসব দাগি অপরাধী জামিন নিয়ে কারাগার থেকে বের হয়ে গেছে তাদের তালিকা করা হচ্ছে। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই পুরনো পেশায় সক্রিয় আছে বলে আমাদের কাছে তথ্য এসেছে। মনিটরিং সেলটির কার্যক্রম শুরু হলে অপরাধীরা জামিন পাওয়ার পরপরই তথ্য চলে আসবে। কোন
কোন পথ অনুসরণ করে তারা জামিন পেয়েছে সেই তথ্যও আসবে সেলে। তাছাড়া কারাগার থেকে বের হয়ে যাওয়ার আগে আগাম তথ্য মনিটরিং সেলের কাছে চলে আসবে। আর যেসব অপরাধী, জঙ্গি পালিয়ে বেড়াচ্ছে তাদের গ্রেপ্তারের বিষয়েও মনিটরিং সেলে ভা-ারে থাকা তথ্যানুযায়ী আইন শৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালাবে।
জানা গেছে, পর্যাপ্ত তথ্যের অভাবে ঢাকার আদালত থেকে ছিনিয়ে নেওয়া দুই জঙ্গিসহ সহযোগী জঙ্গিদের দীর্ঘ এক মাসেও গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। গত নভেম্বর মাসে ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণ থেকে পুলিশের চোখে-মুখে পিপার স্প্রে মেরে দুই জঙ্গি ছিনিয়ে নেওয়ার এক মাস পরও তাদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। প্রকাশক দীপন হত্যা মামলার মৃত্যুদ-প্রাপ্ত দুই আসামি ও জেএমবি সদস্য আবু সিদ্দিক ও মইনুলকে ঢাকার আদালতের সামনে থেকে ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়েছে অন্য জঙ্গিরা। এ অপারেশনে অংশ নেয় ১০ থেকে ১২ জন জঙ্গি। সহযোগী জঙ্গিদের গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ, পলাতক জঙ্গিদের গ্রেপ্তারের জন্য চেকপোস্ট, তল্লাশি, সতর্ক অবস্থায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে রাখা হয়। কিন্তু দীর্ঘ
এক মাস ধরে পলাতক ও ছিনিয়ে নেওয়া জঙ্গিরা কে কোথায় আছে তার পর্যাপ্ত তথ্য নেই। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন এই তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, গ্যাস স্প্রে করে জেএমবির দুই সদস্যকে ছিনতাই করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। দুর্বৃত্তদের ধরতে আমরা তাৎক্ষণিক চেষ্টা চালাই। কিন্তু ধরা সম্ভব হয়নি। আমাদের চেষ্টা চলছে। এনিয়ে একাধিক টিম কাজ করছে। এ ছাড়াও গত এক বছরে জামিন নিয়ে কারাগার থেকে বের হয়ে গেছে শতাধিক ভয়ংকর অপরাধী। জামিন নিয়ে বের হয়ে যাওয়া এই ধরনের অপরাধী কারা কখন কিভাবে বের হয়ে কোথায় আছে তার কোন তথ্য পায় না পুলিশ। যেসব ভয়ংকর
ধরনের অপরাধী জামিনে কারাগার থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে তার মধ্যে আছে জঙ্গি, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, ডাকাত, মাদক কারবারি, চোরাকারবারি ধরনের দুর্ধর্ষ অপরাধী। এই জন্য উদ্বিগ্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংস্থাগুলো। পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, দুর্র্ধর্ষ অপরাধীরা কে কখন কিভাবে জামিনে মুক্ত হয়ে কোথায় অবস্থান করছে সেই তথ্য পাচ্ছে না আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা। অপরাধীরা কিভাবে জামিন পাচ্ছে সেটাও জানে না তারা। ফলে কে কখন জামিন নিয়ে আত্মগোপন করছে বা দেশের বাইরে চলে যাচ্ছে, তা সংস্থাগুলোর নজরের বাইরেই থাকছে। এতে গুরুতর ধরনের অপরাধ সংঘটিত হওয়া আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে। এই ধরনের আশঙ্কা থেকে গঠন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বিশেষ মনিটরিং সেল। বিশেষ মনিটরিং সেলটি গঠন হলে বিশেষ সুবিধায়
কোনো অপরাধী জামিন পাচ্ছে কি না, জামিন পাওয়ার পর এসব আসামি কি করছে এবং মামলায় নিয়মিত হাজিরা দিচ্ছে কি না এসব বিষয় জানতে পারবে এবং তদারকি করার সুযোগ হবে। কতজন তালিকাভুক্ত অপরাধী জামিনে রয়েছে এবং তাদের সর্বশেষ অবস্থা তাও তদারকি করবে বিশেষ এই মনিটরিং সেলটি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বিশেষ মনিটরিং সেল গঠনের বিষয়ে কয়েকদফা বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে আইনের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে দুর্র্ধর্ষ অপরাধীরা জামিন পাচ্ছে কি না তা বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে মনিটরিংয়ে সরকারি আইনজীবীদের আরও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি আইন মন্ত্রণালয়কে যথাযথ পদক্ষেপ নিতেও অনুরোধ করা হয়। ওইসব বৈঠকে বলা হয়, বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক সহিংসতায় জড়িত
আসামি, দুর্র্ধর্ষ জঙ্গি ও তালিকাভুক্ত অপরাধীদের মধ্যে কতজন জামিনে রয়েছে সুনির্দিষ্টভাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে সেই হিসাব নেই। এমনকি কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর কতজন নিয়মিত হাজিরা দিচ্ছে আর কতজন গা ঢাকা দিয়েছে তাও কেন্দ্রীয়ভাবে আইনশৃঙ্খলা সংস্থাগুলো জানতে পারছে না। প্রতিদিন দেশের মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ও জেলাগুলোর জজ আদালত থেকে কে কখন জামিন পাচ্ছে, সে হিসাবও নিয়মিত রাখা হচ্ছে না। কারা জামিন পাচ্ছে বা কারা কারাগার থেকে বের হয়ে যাচ্ছে সেই হিসাব থাকা খুবই জরুরি। বিশেষ দুর্বলতার কারণে জামিনের দৈনন্দিন পরিসংখ্যান রাখা সম্ভব হচ্ছে না। সমন্বয় ও নজরদারি না থাকায় একাধিক মামলার আসামি একটি মামলাতেই জামিন নিয়ে কারাগার থেকে
বেরিয়ে যায়। তবে এ সংখ্যা আগের চেয়ে কমে এসেছে। বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, খুব শীঘ্রই মনিটারিং সেলের কার্যক্রম শুরু হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকে বলা হয়েছে, গত এক বছরে অন্তত শতাধিক দুর্র্ধর্ষ অপরাধী জামিন নিয়ে কারাগার থেকে বের হয়ে গেছে। অথচ পুলিশ ওইসব সন্ত্রাসীর জামিনের বিষয়ে কিছু জানে না। অপরাধীরা পুনরায় একই ধরনের অপরাধমূলক কর্মকা- চালাচ্ছে। তাদের তালিকা করতে বৈঠক থেকে নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। পুলিশ সদর দপ্তরের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, ভয়ংকর দুর্বৃত্ত, দুর্র্ধর্ষ জঙ্গি, তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী, একাধিক মামলার আসামি ও মাদক কারবারি, স্মাগলারসহ গুরুতর ধরনের অপরাধে অভিযুক্ত অপরাধীরা পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে জামিন নিয়ে কারাগার থেকে বের হয়ে যাচ্ছে। এসব অপরাধী
জামিনে বের হয়ে আবারও অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। কেউ কেউ সরকারবিরোধীদের সঙ্গে মিলে দেশে নানা নাশকতা চালানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। দুর্র্ধর্ষ অপরাধীরা কারাগার ছাড়ার আগে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলো আগাম তথ্য পাওয়ার রেওয়াজ থাকলেও বিশেষ কারণে তা পাচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। আদালতের সরকারের নিয়োগ করা আইনজীবী থেকে শুরু করে কারাগারের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের ফাঁকি দিয়ে ওরা বেরিয়ে যাচ্ছে। এসব কারণে পুলিশসহ অন্যান্য সংস্থাগুলো সমালোচনার মধ্যে পড়েছে। যেসব দাগি অপরাধী জামিন নিয়ে কারাগার থেকে বের হয়ে গেছে তাদের তালিকা করা হচ্ছে। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই পুরনো পেশায় সক্রিয় আছে বলে আমাদের কাছে তথ্য এসেছে। মনিটরিং সেলটির কার্যক্রম শুরু হলে অপরাধীরা জামিন পাওয়ার পরপরই তথ্য চলে আসবে। কোন
কোন পথ অনুসরণ করে তারা জামিন পেয়েছে সেই তথ্যও আসবে সেলে। তাছাড়া কারাগার থেকে বের হয়ে যাওয়ার আগে আগাম তথ্য মনিটরিং সেলের কাছে চলে আসবে। আর যেসব অপরাধী, জঙ্গি পালিয়ে বেড়াচ্ছে তাদের গ্রেপ্তারের বিষয়েও মনিটরিং সেলে ভা-ারে থাকা তথ্যানুযায়ী আইন শৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালাবে।