ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স:-
আরও খবর
আন্দোলনকারীসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগের মামলা
অনতিবিলম্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দিতে হবে: শিক্ষার্থী মঞ্চ
ত্রিশ দিনের আলটিমেটাম, রাবিতে ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি প্রত্যাহার
এইচএসসি পরীক্ষা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু হবে কবে জানালেন মন্ত্রী
এইচএসসির আরও ৪ পরীক্ষা স্থগিত
জেনে নিন কোন জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কখন খুলবে
সহপাঠীদের সঙ্গে আর ক্লাসে ফিরবে না রুদ্র
পদে থেকেও ক্ষমতা না থাকার ক্ষোভ
হলের অতিথিকক্ষে বসাকে কেন্দ্র করে শনিবার রাতভর সংঘর্ষে জড়ায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের দুপক্ষ। এ ধরনের তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মাঝে মাঝেই ছাত্রলীগের মধ্যে ছোট ছোট ঝামেলার সৃষ্টি হয়। অন্য সময় কয়েকজনের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা কিংবা হাতাহাতির ঘটনা ঘটলেও এবারের ঘটনা ভিন্নমাত্রা পেয়েছে। কারণ হিসাবে এর নেপথ্যে রয়েছে রাবি শাখা ছাত্রলীগের অন্তঃকোন্দল, নেতাদের মধ্যে বিভাজন, হলে আধিপত্য বিস্তার এবং পদে থেকেও ক্ষমতা না থাকার ক্ষোভ। গত দুদিন (রবি ও সোমবার) ছাত্রলীগের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
শনিবার রাত ১০টায় ঘটনার সূত্রপাত হয় হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের অতিথিকক্ষে বসাকে কেন্দ্র করে। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও হল শাখা
ছাত্রলীগের সভাপতি নিয়াজ মোর্শেদের সঙ্গে হল ছাত্রলীগের সহসভাপতি আতিকুর রহমান আতিকের বাগ্বিতণ্ডা থেকেই ঘটনা প্রকাণ্ড আকার ধারণ করে। আতিক বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর অনুসারী হওয়ায় সভাপতির সব নেতাকর্মী আতিকের পক্ষে অবস্থান নেন। তাদের সঙ্গে যোগ দেন সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিবের অনুসারীরাও। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি শাহিনুল ইসলাম সরকার ডনকে নিয়াজ মোর্শেদের পক্ষে অবস্থান নিতে দেখা গেছে। রাত ১১টায় শুরু হওয়া এই সংঘর্ষ স্তিমিত হয় রাত ৩টার দিকে। এ সময় উভয়পক্ষকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে দেখা যায়। এছাড়াও নেতাকর্মীদের হাতে রামদা, রডসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দেখা গেছে। সংঘর্ষ চলাকালে ৬টি ককটেল বিস্ফোরণের শব্দও শোনা যায়। তবে ককটেল বিস্ফোরণের দায় নিতে চায়নি
কোনো পক্ষই। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত বছরের ২১ অক্টোবর রাবি শাখা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি গঠন করা হলে পদবঞ্চিত নেতারা নতুন কমিটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে বিক্ষোভ করেন। অবাঞ্ছিত ঘোষণাকারী নেতাদের মধ্যে অন্যতম নিয়াজ মোর্শেদ। সেই থেকেই বিরোধ শুরু। ওই সময় থেকে ছাত্রলীগের একাংশের সঙ্গে বিভাজন সৃষ্টি হয় নতুন কমিটির। একাধিক ছাত্রলীগ নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি হওয়ার পর হল ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক থাকা সত্ত্বেও নতুন করে দুজনকে দায়িত্ব দেন নতুন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। ফলে হল সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে ডিঙিয়ে হলে আধিপত্য বিস্তার করতে থাকেন নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা। সেই ক্ষোভ ধীরে ধীরে অগ্নিকুণ্ডে
রূপান্তরিত হতে থাকে। আবাসিক হল ও ছাত্রলীগ সূত্রে জানা গেছে, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলে মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর পক্ষের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা ফজলে রাব্বি জুনিয়র হওয়ায় হলে প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করেন বাবুর ঘনিষ্ঠ আতিকুর রহমান আতিক। বিষয়টি ভালোভাবে নেননি হল ছাত্রলীগের সভাপতি নিয়াজ মোর্শেদ। হলের আসন ভাগাভাগি নিয়েও তাদের মধ্যে ঝামেলা চলছিল। শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মোর্শেদ বলেন, হলের বর্তমান সভাপতি-সম্পাদক থাকা অবস্থায় হলে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা দেওয়া হয়েছে। আমাদের রাজনীতি থেকে নিষ্ক্রিয় করে দেওয়ার জন্যই মূলত দায়িত্বপ্রাপ্ত সভাপতি-সম্পাদক সৃষ্টি করা হয়েছে। ছাত্রলীগের কোথাও দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতার বিষয়ে বলা নেই। তারা চাইলে হল কমিটি বিলুপ্ত করে ভারপ্রাপ্ত নেতা দিতে পারে। এছাড়া আমরা জাতীয় কর্মসূচিতে
গিয়ে যথাযথ সম্মান পাই না। যা মেনে নেওয়া আমাদের জন্য কষ্টকর। জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু বলেন, আবাসিক হলের অনেক নেতাই ক্যাম্পাস ত্যাগ করায় সাংগঠনিক গতিশীলতা বৃদ্ধির জন্য আমরা হলে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা সৃষ্টি করেছি। আর যারা ক্যাম্পাসে অবস্থান করছেন তারা সক্রিয় রাজনীতি করছেন না। ফলে তাদের হলেও দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা দেওয়া হয়েছে। আর আমরা তাদের সর্বোচ্চ সুবিধা দিয়ে রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছি। কিন্তু তারা আমাদের সঙ্গে রাজনীতি না করে বিরোধ সৃষ্টি করেছে।
ছাত্রলীগের সভাপতি নিয়াজ মোর্শেদের সঙ্গে হল ছাত্রলীগের সহসভাপতি আতিকুর রহমান আতিকের বাগ্বিতণ্ডা থেকেই ঘটনা প্রকাণ্ড আকার ধারণ করে। আতিক বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর অনুসারী হওয়ায় সভাপতির সব নেতাকর্মী আতিকের পক্ষে অবস্থান নেন। তাদের সঙ্গে যোগ দেন সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিবের অনুসারীরাও। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি শাহিনুল ইসলাম সরকার ডনকে নিয়াজ মোর্শেদের পক্ষে অবস্থান নিতে দেখা গেছে। রাত ১১টায় শুরু হওয়া এই সংঘর্ষ স্তিমিত হয় রাত ৩টার দিকে। এ সময় উভয়পক্ষকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে দেখা যায়। এছাড়াও নেতাকর্মীদের হাতে রামদা, রডসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দেখা গেছে। সংঘর্ষ চলাকালে ৬টি ককটেল বিস্ফোরণের শব্দও শোনা যায়। তবে ককটেল বিস্ফোরণের দায় নিতে চায়নি
কোনো পক্ষই। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত বছরের ২১ অক্টোবর রাবি শাখা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি গঠন করা হলে পদবঞ্চিত নেতারা নতুন কমিটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে বিক্ষোভ করেন। অবাঞ্ছিত ঘোষণাকারী নেতাদের মধ্যে অন্যতম নিয়াজ মোর্শেদ। সেই থেকেই বিরোধ শুরু। ওই সময় থেকে ছাত্রলীগের একাংশের সঙ্গে বিভাজন সৃষ্টি হয় নতুন কমিটির। একাধিক ছাত্রলীগ নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি হওয়ার পর হল ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক থাকা সত্ত্বেও নতুন করে দুজনকে দায়িত্ব দেন নতুন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। ফলে হল সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে ডিঙিয়ে হলে আধিপত্য বিস্তার করতে থাকেন নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা। সেই ক্ষোভ ধীরে ধীরে অগ্নিকুণ্ডে
রূপান্তরিত হতে থাকে। আবাসিক হল ও ছাত্রলীগ সূত্রে জানা গেছে, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলে মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর পক্ষের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা ফজলে রাব্বি জুনিয়র হওয়ায় হলে প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করেন বাবুর ঘনিষ্ঠ আতিকুর রহমান আতিক। বিষয়টি ভালোভাবে নেননি হল ছাত্রলীগের সভাপতি নিয়াজ মোর্শেদ। হলের আসন ভাগাভাগি নিয়েও তাদের মধ্যে ঝামেলা চলছিল। শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মোর্শেদ বলেন, হলের বর্তমান সভাপতি-সম্পাদক থাকা অবস্থায় হলে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা দেওয়া হয়েছে। আমাদের রাজনীতি থেকে নিষ্ক্রিয় করে দেওয়ার জন্যই মূলত দায়িত্বপ্রাপ্ত সভাপতি-সম্পাদক সৃষ্টি করা হয়েছে। ছাত্রলীগের কোথাও দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতার বিষয়ে বলা নেই। তারা চাইলে হল কমিটি বিলুপ্ত করে ভারপ্রাপ্ত নেতা দিতে পারে। এছাড়া আমরা জাতীয় কর্মসূচিতে
গিয়ে যথাযথ সম্মান পাই না। যা মেনে নেওয়া আমাদের জন্য কষ্টকর। জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু বলেন, আবাসিক হলের অনেক নেতাই ক্যাম্পাস ত্যাগ করায় সাংগঠনিক গতিশীলতা বৃদ্ধির জন্য আমরা হলে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা সৃষ্টি করেছি। আর যারা ক্যাম্পাসে অবস্থান করছেন তারা সক্রিয় রাজনীতি করছেন না। ফলে তাদের হলেও দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা দেওয়া হয়েছে। আর আমরা তাদের সর্বোচ্চ সুবিধা দিয়ে রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছি। কিন্তু তারা আমাদের সঙ্গে রাজনীতি না করে বিরোধ সৃষ্টি করেছে।