নির্বাচন ঘিরে সরব আওয়ামী লীগ আত্মগোপনে বিএনপি নেতারা – U.S. Bangla News




নির্বাচন ঘিরে সরব আওয়ামী লীগ আত্মগোপনে বিএনপি নেতারা

ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স:-
আপডেটঃ ২৩ নভেম্বর, ২০২৩ | ৬:৪৮
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তফশিল ঘোষণায় আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। দলীয় মনোনয়ন ফরম জমা দেওয়ার পর কার ভাগ্যে নৌকা জুটবে এনিয়ে এখন আলোচনা। এ অবস্থায় চট্টগ্রামের বিভিন্ন আসনে নৌকার সম্ভাব্য প্রার্থীরা দৌড়ঝাঁপ করছেন। কেন্দ্রীয় হাইকমান্ডের কাছে তদবিরে ব্যস্ত রয়েছেন তারা। তবে নির্বাচনে যাওয়ার ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত না আসায় বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা এখনো নীরব। মামলার কারণে আত্মগোপনে রয়েছেন প্রার্থীদের অনেকে। যদিও নির্বাচনের বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত এলে মাঠে নামার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন তারা। চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বলেন, তফশিল ঘোষণা হয়ে গেছে। তাই এখন ঘরে বসে থাকার সুযোগ নেই। নির্বাচনে কোন দল আসবে

না আসবে তাও দেখার সুযোগ নেই। চট্টগ্রাম দক্ষিণের সবকটি আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী অনেক নেতা রয়েছেন। দল অবশ্যই ত্যাগী ও যোগ্যতাসম্পন্ন নেতাকে মনোনয়ন দেবে এটা আমার বিশ্বাস। চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এনামুল হক এনাম বলেন, সরকার পতনের একদফা দাবিতে আমরা এখনো অনড়। কেন্দ্র থেকে নির্বাচনে যাওয়ার বিষয়ে কোনো নির্দেশনা আসেনি। তবে সংসদীয় আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীরা স্বল্প সময়ের প্রস্তুতিতে মাঠে নামতে পারবেন। (সরেজমিন প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন-সৈয়দ মাহফুজ উননবী খোকন-সাতকানিয়া, আবিদুর রহমান বাবুল-চন্দনাইশ, আবেদুজ্জামান আমিরী পটিয়া, সিরাজুল ইসলাম-বোয়ালখালী ও আবু বক্কর বাবুল-বাঁশখালী) চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও আংশিক) : আওয়ামী লীগের বর্তমান এমপি নোমান আল মাহমুদের এ আসনে এক মেয়াদে দুটি উপনির্বাচন হয়েছে। শরিক দল

জাসদের মাঈনুদ্দিন খান বাদলের মৃত্যুর পর এখানে মোছলেম উদ্দিন আহমেদ উপনির্বাচনে এমপি নির্বাচিত হন। তার মৃত্যুর পর চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ এমপি হয়েছেন চার মাসেরও কম সময়ের জন্য। এমপি নোমান ছাড়াও এ আসনে এবার নৌকার মনোনয়ন চান সাবেক মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসির ছেলে আওয়ামী লীগের উপকমিটির সদস্য ও সানোয়ারা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুজিবুর রহমান, সাবেক রাষ্ট্রদূত এসএম আবুল কালাম, চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরামের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন, সিটি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি, ব্যবসায়ী মোহাম্মদ খোরশেদ আলম, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক আবদুল কাদের সুজন, সাবেক এমপি মোছলেম উদ্দিন আহমদের মেয়ে কাজী শারমিন আক্তার

সুমি, সাবেক এমপি মঈনউদ্দিন খান বাদলের স্ত্রী সেলিন খান। মুজিবুর রহমান বলেন, আশা করছি এবার আমি নৌকার মনোনয়ন পাব। জননেত্রী শেখ হাসিনা যদি আমাকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেন তবে বিপুল ভোটে বিজয়ী হব বলে আশা করি। হাইকমান্ড থেকে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত হলে ধানের শীষের মনোনয়ন চাইতে পারেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান ও নগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক এরশাদ উল্লাহ। জাতীয় পার্টি থেকে নগর জাতীয় পার্টি নেতা এয়াকুব হোসেন ও আমান উল্লাহ আমান মনোনয়ন প্রত্যাশী। চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) : ১৭টি ইউনিয়ন একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত এ আসনের বর্তমান এমপি সামশুল হক চৌধুরী। তিনি জাতীয় সংসদে সরকারদলীয় হুইপের দায়িত্ব পালন করছেন। বিএনপির দুর্গ

হিসাবে খ্যাত এই আসনে পরপর তিনবার আওয়ামী লীগের মনোনয়নে এমপি নির্বাচিত হন তিনি। চতুর্থ দফায় মনোনয়নের প্রত্যাশায় আওয়ামী লীগের দলীয় ফরম কিনেছেন তিনি। এম সামশুল হক ছাড়াও এ আসনে নৌকার মনোনয়নপ্রত্যাশীরা হলেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংস্কৃতিক সম্পাদক ও বিজিএমইএ নেতা মোহাম্মদ নাছির, যুবলীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম বদি, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, পটিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক হারুনুর রশীদ, আমেরিকা প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা জুলকারনাইন চৌধুরী জীবন, সাবেক ফুটবলার সত্যজিত দাশ রূপু। এর বাইরে ১৫ বছর ধরে হুইপের পিএস হিসাবে দায়িত্ব পালন করা হাবিবুল হক চৌধুরীও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম

কিনেছেন। এমপির সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হওয়ায় তিনি নৌকার মনোনয়ন চান বলে জানা গেছে। হুইপ সামশুল হক চৌধুরী বলেন, আমি মনোনয়ন পাব কি পাব না সেটা বড় কথা নয়। প্রধানমন্ত্রী চাইছেন একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিয়ে বিশ্ববাসীকে দেখিয়ে দিতে। নির্দেশনা মেনেই আমি পটিয়ায় নির্বাচনি মাঠ গুছিয়েছি। আশা করি, জননেত্রী শেখ হাসিনা আবারও আমার ওপর আস্থা রাখবেন। বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এনামুল হক এনাম ধানের শীষের ভাইটাল প্রার্থী হতে পারেন। এদিকে সাবেক এমপি বিএনপি নেতা গাজী শাহজাহান জুয়েল থাকলেও দুঃসময়ে গা বাঁচিয়ে চলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। রাজপথে আন্দোলন-সংগ্রামে দেখা না গেলেও নির্বাচনের আগে মনোনয়ন পেতে

গ্রুপিং-কোন্দলে দলকে অস্থির করে তোলেন। এবার বিএনপি নির্বাচনে না গেলে শাহজাহান তৃণমূল বিএনপি থেকে প্রার্থী হতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে। জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী ও দক্ষিণ জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক নুরুচ্ছাফা সরকার এ আসন থেকে দলীয় মনোনয় চাইবেন। চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা) : এ আসনে ২০০৮ সালে এমপি নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আক্তারুজ্জামান চৌধুরী বাবু। ওই মেয়াদের শেষ দিকে তার মৃত্যুর পর উপনির্বাচনে এমপি হন তার ছেলে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ। ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনেও তিনি এ আসনে নৌকা প্রতীকে নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালে ভূমি প্রতিমন্ত্রী এবং ২০১৮ সালে ভূমি মন্ত্রণালয়ের পূর্ণমন্ত্রীর দায়িত্ব পান তিনি। ভূমি

আইন সংস্কারসহ নানা উদ্যোগের কারণে তিনি বেশ প্রশংসিতও হন। তিনি আবারও নৌকার মনোনয়ন চেয়েছেন। তবে এ আসনে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহজাদা মহিউদ্দিন দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। বিএনপি থেকে এ আসনে সাবেক এমপি সরওয়ার জামাল নিজাম, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আলী আব্বাস, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক জিয়াউদ্দিন আহমদ চৌধুরী আশফাক ও সাবেক ছাত্রদল নেতা মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী মনোনয়ন চাইতে পারেন। জাতীয় পার্টি থেকে সুজন দে, আবদুর রব চৌধুরী টিপু, আবদুস সাত্তার রনি মনোনয়ন চাইতে পারেন। চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ-সাতকানিয়া আংশিক) : এ আসনে নজরুল ইসলাম চৌধুরী টানা দুইবার এমপি হওয়ার পর এবারও নৌকার

মনোনয়ন চাইছেন। যদিও এই দুই মেয়াদে সরকারের উন্নয়ন নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে সমন্বয় না করায় অনেকে তার ওপর বিরক্ত। আশপাশের আসনে বড় বড় মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন হলেও চন্দনাইশে উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে অপেক্ষাকৃত কম। তাই এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী পরিবর্তন চান আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। বর্তমান এমপির দুর্বলতার সুযোগ কাজে লাগাতে চান সাবেক এমপি ইঞ্জিনিয়ার আফছার উদ্দিন আহমেদের ছেলে ব্যারিস্টার ইমতিয়াজ উদ্দিন আহমেদ আসিফ। ২০১৮ সালেও তিনি এ আসনে মনোনয়ন চেয়েছিলেন। তিনি চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার সরকার পক্ষের কৌঁসুলি হিসাবেও কাজ করেন। আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের জুনিয়র হিসাবেও কাজ করছেন। সরকারের আন্তর্জাতিক বিভিন্ন চুক্তি ও মামলা পরিচালনার ক্ষেত্রে আইনি দিকগুলো দেখভাল করেন। এসব কারণে সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের ‘নেকনজর’ তার ওপর রয়েছে বলে জানা গেছে। উল্লিখিত দুজন ছাড়াও এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম জাহাঙ্গীর, চন্দনাইশ উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল জব্বার, হোটেল কক্স-টুডের এমডি আবদুল কৈয়ুম চৌধুরী, আওয়ামী লীগ নেতা আফতাব মাহমুদ, মীর মোহাম্মদ মহিউদ্দিন। এ আসনে এলডিপি চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহম্মদ বীর বিক্রম শক্তিশালী প্রার্থী হতে পারেন। তাকে হারাতে আওয়ামী লীগের দুর্বল প্রার্থী দিলে সেক্ষেত্রে আসনটি হাতছাড়া হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে সংশ্লিষ্টদের অভিমত। এ আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন চাইতে পারেন ডা. মহসিন জিল্লুর করিম, অ্যাডভোকেট মিজানুল হক চৌধুরী, নুরুল আনোয়ার। এছাড়া জাতীয় পার্টি থেকে আ জা ম অলিউল্লাহ চৌধুরী মাসুদ, সোনা মিয়া ও একেএম বাদশা মিয়া মনোনয়নপ্রত্যাশী। চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) : জামায়াত-শিবিরের ঘাঁটি হিসাবে পরিচিত ছিল এ আসন। এ আসনে ১৯৯১ সাল থেকে তিন মেয়াদে নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী জয়লাভ করেন। এবার নির্বাচনি মাঠে পুরোদমে কাজ করছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। কৌশলে ভোটের প্রচারে আছেন জামায়াতের প্রার্থীরা। তবে কোন্দলে নড়বড়ে অবস্থানে আছে বিএনপি। বিগত ১৫ বছরে এখানে জামায়াতের ভিত অনেকটাই নড়বড়ে হয়ে গেছে। জামায়াতের এক সময়ের ‘পৃষ্ঠপোষক’ হিসাবে পরিচিত ড. আবুরেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দীন নদভী আওয়ামী লীগের টিকিটে মনোনয়ন পাওয়ার পর তিন মেয়াদে এখানকার এমপি হিসাবে আছেন। গত ১৫ বছরে নিজের অবস্থানও মজবুত করেছেন তিনি। তবে এলাকায় নদভীবিরোধী শক্তি একাট্টা। আওয়ামী লীগের লোকজনকে তিনি কোণঠাসা করে রেখেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। নিজের আত্মীয়-স্বজনদের সব জায়গায় সম্পৃক্ত করেছেন। জামায়াত-বিএনপি-এলডিপিকেই তিনি বেশি সুবিধা দিয়েছেন বলে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের অভিযোগ। মূলত এই বৃত্ত থেকে বের হতেই মনোনয়ন বদল চান আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। নদভী ছাড়াও এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চান কেন্দ্রীয় ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি আবু সুফিয়ান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাতকানিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান এমএ মোতালেব সিআইপি, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাঈনুদ্দীন হাছান চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য কেন্দ্রীয় স্বাচিপ নেতা ডা. আ ম ম মিনহাজুর রহমান। এ আসন থেকে শাহাজাহান চৌধুরী এক মেয়াদে এবং মাওলানা শামসুল ইসলাম দুই মেয়াদে জামায়াতের টিকিটে এমপি হয়েছিলেন। সাবেক এই দুই এমপি এবার অন্য কোনো ব্যানারে নির্বাচনে আসবেন কিনা সেটাও দেখার বিষয়। বিএনপি যদি নির্বাচনে অংশ নেয়, সেক্ষেত্রে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি শেখ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, সাতকানিয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সম্পাদক মুজিবুর রহমান, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক জামাল উদ্দীন, যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল গাফফার চৌধুরী ও লোহাগাড়া উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুল মোস্তফা আমিন মনোনয়ন চাইতে পারেন। চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) : বিএনপির ঘাঁটি হিসাবে পরিচিত এ আসনে বর্তমান এমপি মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী এবারও নৌকার মনোনয়ন চাইছেন। তবে নির্বাচন কর্মকর্তা পেটানো, সাংবাদিকদের হুমকি-ধমকি, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে গালাগালের ভিডিও ভাইরাল হওয়া, উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে অনিয়ম-দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। এই সুযোগটি কাজে লাগাতে চান দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মুজিবুর রহমান সিআইপি। উল্লিখিত দুজন ছাড়াও এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এএইচএম জিয়াউদ্দিন, সাবেক এমপি সুলতানুল কবিরের ছেলে বাঁশখালী উপজেলা চেয়ারম্যান চৌধুরী গালিব সাদলি, আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল্লাহ কবির লিটন, মোকাম্মেল হক চৌধুরী আলাল ও ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন। বিএনপি থেকে সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরীর ছেলে জহিরুল ইসলাম চৌধুরী আলমগীর, তার ছোট ভাই মিশকাতুল ইসলাম চৌধুরী বাপ্পা, সাবেক মেয়র কামরুল ইসলাম হোসাইনি, আলোচিত ইউপি চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী, ইফতেখার হোসেন চৌধুরী মহসিন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলমগীর কবির চৌধুরী মনোনয়নপ্রত্যাশী। জাতীয় পার্টি থেকে সাবেক সিটি মেয়র ও সাবেক এমপি মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী, জামায়াতে ইসলামী থেকে বাঁশখালী উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম চৌধুরী নির্বাচন করতে পারেন।
ট্যাগ:

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
কারফিউ তুলে নেওয়ার বিষয়ে যা জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজস্ব আদায়ে ৫ চ্যালেঞ্জ চার দিনে খান ইউনিস ছেড়েছেন পৌনে ২ লাখ ফিলিস্তিনি দেশে আর কতদিন কারফিউ থাকবে? কোটা সংস্কার আন্দোলন ক্ষতিগ্রস্তদের চোখে শুধুই নীরব অশ্রু গ্রেফতার আতঙ্কে ঘরছাড়া বহু সাধারণ শিক্ষার্থী জনজীবন স্বাভাবিক হলে কারফিউ প্রত্যাহার: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কারা অধিদপ্তরে জরুরি সিকিউরিটি সেল সীমিত আকারে চলছে দূরপাল্লার বাস, যাত্রী কম ডিবি হেফাজতে কোটা আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ১০ দিনে কারাগারে ৩৩০ চট্টগ্রামে গ্রেফতার আতঙ্কে ঘরছাড়া বিএনপি নেতাকর্মীরা ‘তারেক রহমানের হামলার নির্দেশনার অডিও সরকারের কাছে’ সরকার দিশেহারা হয়ে বিরোধীদের ওপর দোষ চাপাচ্ছে: জামায়াত সব দল নিয়ে জাতীয় ঐক্যের আহ্বান বিএনপির মাঠে থাকার অঙ্গীকার আ.লীগ নেতাদের ওয়াইফাই নেটওয়ার্কে নিরবচ্ছিন্ন সুবিধা পেতে যা করবেন কী হয়েছিল জাহ্নবীর? সহিংসতায় আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করবে সরকার: প্রধানমন্ত্রী পুলিশকে দুর্বল করতেই পরিকল্পিতভাবে হামলা-ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে: ডিবিপ্রধান প্রকৃত কোনো ছাত্রই এই হামলায় জড়িত ছিল না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী