ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স:-
আরও খবর
রাজস্ব আদায়ে ৫ চ্যালেঞ্জ
এক দিনে ২৫ হাজার কোটি টাকা ধার দিল বাংলাদেশ ব্যাংক
২০২৩ সালে সাড়ে ৪ কোটির বেশি চকলেট খেয়েছেন এমিরেটস যাত্রীরা
হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ পেছাল কেদ্রীয় ব্যাংক
অর্থ বিভাগের ‘কর্মসম্পাদন’ প্রতিবেদন: ঋণ পরিশোধ ও ব্যয় হ্রাস প্রধান চ্যালেঞ্জ
নতুন মুদ্রানীতিতে নীতি সুদহার বাড়বে
নতুন মুদ্রানীতিতে নীতি সুদহার বাড়বে
নিত্যপণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে জোর
আসন্ন রমজানে নিত্যপণ্যের পর্যাপ্ত মজুত সরবরাহ ও ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করার ওপর সর্বোচ্চ জোর দেওয়া হয়েছে। রমজান মাস ও ঈদ সামনে রেখে অসাধু সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের দিকে নজরদারি বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছে সরকার। যাতে করে পণ্যের দাম বাড়িয়ে বাজার অস্থির করতে না পারে ব্যবসায়ী গোষ্ঠী। একইসঙ্গে পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগে মানুষের ঈদযাত্রা যানজটমুক্ত ও স্বাচ্ছন্দ্যময় করার লক্ষ্যে বেশকিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। এ লক্ষ্যে ১৬ মন্ত্রণালয় এবং বিভাগের সঙ্গে রবিবার জরুরি বৈঠক করে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ ও শান্তিপূর্ণভাবে ঈদ উদ্যাপনের প্রস্তুতি নিতে ২৮ নির্দেশনা দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ডলার সংকটের কারণে আমদানির এলসি (ঋণপত্র) করার ক্ষেত্রে ব্যাংকসমূহের অতিমাত্রায় নিয়ন্ত্রণ থাকায়
এবার ভোগ্যপণ্যের আমদানি হ্রাস পেয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যসমূহের মূল্য বেশি থাকায় স্থানীয় বাজারে মূল্য বেশি, ফলে অভ্যন্তরীণ মার্কেটে চাহিদা হ্রাস পেয়েছে। আমদানি কমে যাওয়ার কারণে ইফতার তৈরিতে বেশি ব্যবহার এমন পণ্য যেমন- চিনি, ভোজ্যতেল, মসুর ডাল, ছোলা, খেজুর, পেঁয়াজ ও আটার দাম এখন সবচেয়ে বেশি। চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের মুরগি, গরু-খাসির মাংস এবং মাছও। তবে মসুর ডাল, সরিষা ও পেঁয়াজের স্থানীয় উৎপাদন মৌসুম সদ্য শেষ হওয়ায় এ সকল পণ্যের স্থানীয় সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। শাক-সবজির দাম ইতোমধ্যে বাড়তে শুরু করেছে। গত বছরের ডিসেম্বর-ফেব্রুয়ারি মাসের তুলনায় এবার একই সময়ে প্রায় ২০ লাখ টন
গম আমদানি কম হয়েছে। এর নেতিবাচক প্রভাবে বাজারে সব ধরনের আটা ও ময়দার দাম বেড়ে গেছে। এ ছাড়া অন্যান্য নিত্যপণ্যের আমদানিও কম হয়েছে। এদিকে, রোজার সময় ইফতার সামগ্রী তৈরিতে অন্যান্য পণ্যের সঙ্গে আটার ব্যবহার বৃদ্ধি পায়। বর্তমানে খুচরা বাজারে প্রতিকেজি আটা মানভেদে ৬৫-৭২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এই দাম এ যাবৎকালের রেকর্ড বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। রমজান সামনে রেখে ভোগ্যপণ্যের দাম আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দিতে দ্রব্যমূল্য কমানোর তাগিদ দিয়েছেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদরা। এ প্রসঙ্গে অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমেদ বলেন, এবার রোজার আগে থেকে দ্রব্যমূল্য মানুষকে ভোগাচ্ছে। তবে রমজানে যাতে বাজার স্বাভাবিক থাকে সেই উদ্যোগ এখনই নেওয়া প্রয়োজন।
তিনি বলেন, বড় সমস্যা ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট। এদের নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। চিনি, ভোজ্যতেল এবং অন্যান্য পণ্যের দাম কমাতে সরকারি উদ্যোগ থাকলেও বাজারে তার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না। জানা গেছে, এবার কেনাকাটা ও ঘরে ফেরা নির্বিঘœ, চুরি-ছিনতাই বন্ধ এবং নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ-গ্যাসের সরবরাহ বাড়ানোর মতো পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এ লক্ষ্যে ২৮টি নির্দেশনা দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। এসব নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে নিত্যপণ্যের মজুত সরবরাহ ও ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা, খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধ, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, বিপণি বিতান, বাস-ট্রেন-লঞ্চ, স্টেশনসহ জনপরিসরের নিরাপত্তায় গৃহীত পদক্ষেপ বাস্তবায়ন, গণ উপদ্রব (প্রতারণা, ছিনতাই প্রভৃতি প্রতিরোধ), ঢাকা চট্টগ্রামসহ সকল মহানগরীর যানজট নিরসন, রমজান মাসে বিশেষ করে ইফতার, তারাবির নামাজ ও সেহরির সময়ে নিরবচ্ছিন্ন
বিদ্যুৎ ও সার্বক্ষণিক পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা, রেলের টিকিট প্রাপ্তি সহজলভ্য করার পদক্ষেপ, টিকিট কালোবাজারি প্রতিরোধ, সিডিউল বিপর্যয় নিরসন, বাস স্টেশনসমূহের নিরাপত্তা, মহাসড়কে শৃঙ্খলা আনয়ন ও যানজট নিরসন করা, বিভিন্ন রুটে বিআরটিসির বাস সংখ্যা বাড়ানো ও বাসের টিকিট প্রাপ্তি সহজ করা। এ ছাড়া ঈদের আগে রাস্তা ও সেতু সংস্কার, ফেরি চলাচলে ফেরির সংখ্যা বাড়ানো, নৌ-রুট ও ফেরিঘাট ব্যবস্থাপনা, নৌযানের মান নিয়ন্ত্রণ, অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন রোধ, ঝুঁকিমুক্ত নৌ-চলাচল নিশ্চিত করা ও টিকিট প্রাপ্তির ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অভ্যন্তরীণ রুটে বিমানের ফ্লাইট সংখ্যা বাড়ানো, টিকিটের ন্যায্যমূল্য, গার্মেন্টস কর্মীদের বেতন যথাসময়ে প্রদান ও তাদের ছুটি পর্যায়ক্রমে দেওয়া ও পাটকল শ্রমিকদের মজুরি যথাসময়ে
প্রদান করার পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, রমজান ও ঈদ সামনে রেখে ভোগ্যপণ্যের সরবরাহ ও ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করার ওপর জোর দিবে সরকার। ডলার সংকটের কারণে বেশ কয়েকটি পণ্যের আমদানি কম হলেও এখনো যে সময় আছে তাতে আশা করি আমদানিকৃত পণ্য দেশে নিয়ে আসা সম্ভব। তিনি বলেন, চিনির শুল্ক কমানো হলেও বাজারে দাম কমছে না। কারণ শুল্ক সুবিধার চিনি পেতে আরও ১৫ দিন সময় লাগবে। এ কারণে আশা করছি, রোজায় চিনির দাম আরও কমবে। তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি ঈদে ঘরে ফেরা ও কেনাকাটা নিশ্চিত করতে আরও বেশকিছু কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
যেগুলো সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগ থেকে বাস্তবায়ন করার নির্দেশনা রয়েছে।
এবার ভোগ্যপণ্যের আমদানি হ্রাস পেয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যসমূহের মূল্য বেশি থাকায় স্থানীয় বাজারে মূল্য বেশি, ফলে অভ্যন্তরীণ মার্কেটে চাহিদা হ্রাস পেয়েছে। আমদানি কমে যাওয়ার কারণে ইফতার তৈরিতে বেশি ব্যবহার এমন পণ্য যেমন- চিনি, ভোজ্যতেল, মসুর ডাল, ছোলা, খেজুর, পেঁয়াজ ও আটার দাম এখন সবচেয়ে বেশি। চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের মুরগি, গরু-খাসির মাংস এবং মাছও। তবে মসুর ডাল, সরিষা ও পেঁয়াজের স্থানীয় উৎপাদন মৌসুম সদ্য শেষ হওয়ায় এ সকল পণ্যের স্থানীয় সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। শাক-সবজির দাম ইতোমধ্যে বাড়তে শুরু করেছে। গত বছরের ডিসেম্বর-ফেব্রুয়ারি মাসের তুলনায় এবার একই সময়ে প্রায় ২০ লাখ টন
গম আমদানি কম হয়েছে। এর নেতিবাচক প্রভাবে বাজারে সব ধরনের আটা ও ময়দার দাম বেড়ে গেছে। এ ছাড়া অন্যান্য নিত্যপণ্যের আমদানিও কম হয়েছে। এদিকে, রোজার সময় ইফতার সামগ্রী তৈরিতে অন্যান্য পণ্যের সঙ্গে আটার ব্যবহার বৃদ্ধি পায়। বর্তমানে খুচরা বাজারে প্রতিকেজি আটা মানভেদে ৬৫-৭২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এই দাম এ যাবৎকালের রেকর্ড বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। রমজান সামনে রেখে ভোগ্যপণ্যের দাম আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দিতে দ্রব্যমূল্য কমানোর তাগিদ দিয়েছেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদরা। এ প্রসঙ্গে অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমেদ বলেন, এবার রোজার আগে থেকে দ্রব্যমূল্য মানুষকে ভোগাচ্ছে। তবে রমজানে যাতে বাজার স্বাভাবিক থাকে সেই উদ্যোগ এখনই নেওয়া প্রয়োজন।
তিনি বলেন, বড় সমস্যা ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট। এদের নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। চিনি, ভোজ্যতেল এবং অন্যান্য পণ্যের দাম কমাতে সরকারি উদ্যোগ থাকলেও বাজারে তার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না। জানা গেছে, এবার কেনাকাটা ও ঘরে ফেরা নির্বিঘœ, চুরি-ছিনতাই বন্ধ এবং নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ-গ্যাসের সরবরাহ বাড়ানোর মতো পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এ লক্ষ্যে ২৮টি নির্দেশনা দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। এসব নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে নিত্যপণ্যের মজুত সরবরাহ ও ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা, খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধ, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, বিপণি বিতান, বাস-ট্রেন-লঞ্চ, স্টেশনসহ জনপরিসরের নিরাপত্তায় গৃহীত পদক্ষেপ বাস্তবায়ন, গণ উপদ্রব (প্রতারণা, ছিনতাই প্রভৃতি প্রতিরোধ), ঢাকা চট্টগ্রামসহ সকল মহানগরীর যানজট নিরসন, রমজান মাসে বিশেষ করে ইফতার, তারাবির নামাজ ও সেহরির সময়ে নিরবচ্ছিন্ন
বিদ্যুৎ ও সার্বক্ষণিক পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা, রেলের টিকিট প্রাপ্তি সহজলভ্য করার পদক্ষেপ, টিকিট কালোবাজারি প্রতিরোধ, সিডিউল বিপর্যয় নিরসন, বাস স্টেশনসমূহের নিরাপত্তা, মহাসড়কে শৃঙ্খলা আনয়ন ও যানজট নিরসন করা, বিভিন্ন রুটে বিআরটিসির বাস সংখ্যা বাড়ানো ও বাসের টিকিট প্রাপ্তি সহজ করা। এ ছাড়া ঈদের আগে রাস্তা ও সেতু সংস্কার, ফেরি চলাচলে ফেরির সংখ্যা বাড়ানো, নৌ-রুট ও ফেরিঘাট ব্যবস্থাপনা, নৌযানের মান নিয়ন্ত্রণ, অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন রোধ, ঝুঁকিমুক্ত নৌ-চলাচল নিশ্চিত করা ও টিকিট প্রাপ্তির ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অভ্যন্তরীণ রুটে বিমানের ফ্লাইট সংখ্যা বাড়ানো, টিকিটের ন্যায্যমূল্য, গার্মেন্টস কর্মীদের বেতন যথাসময়ে প্রদান ও তাদের ছুটি পর্যায়ক্রমে দেওয়া ও পাটকল শ্রমিকদের মজুরি যথাসময়ে
প্রদান করার পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, রমজান ও ঈদ সামনে রেখে ভোগ্যপণ্যের সরবরাহ ও ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করার ওপর জোর দিবে সরকার। ডলার সংকটের কারণে বেশ কয়েকটি পণ্যের আমদানি কম হলেও এখনো যে সময় আছে তাতে আশা করি আমদানিকৃত পণ্য দেশে নিয়ে আসা সম্ভব। তিনি বলেন, চিনির শুল্ক কমানো হলেও বাজারে দাম কমছে না। কারণ শুল্ক সুবিধার চিনি পেতে আরও ১৫ দিন সময় লাগবে। এ কারণে আশা করছি, রোজায় চিনির দাম আরও কমবে। তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি ঈদে ঘরে ফেরা ও কেনাকাটা নিশ্চিত করতে আরও বেশকিছু কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
যেগুলো সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগ থেকে বাস্তবায়ন করার নির্দেশনা রয়েছে।