ধুয়েমুছে প্রস্তুত করা হচ্ছে রায়েরবাজার স্মৃতিসৌধ

ধুয়েমুছে প্রস্তুত করা হচ্ছে রায়েরবাজার স্মৃতিসৌধ

ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স:-
আপডেটঃ ২১ ডিসেম্বর, ২০২২ | ১০:১২
কাল শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস। দিবসটিকে সামনে রেখে রায়েরবাজার শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে চলছে ধুয়েমুছে পরিষ্কার করার কাজ। পুরো স্মৃতিসৌধটির ভেতর-বাইরে আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হচ্ছে। সোমবার সরেজমিনে দেখা গেছে, মূল দুটি ফটক বন্ধ রেখে স্মৃতিসৌধ পরিষ্কারের পাশাপাশি মেরামত ও সংস্কারের কাজও চলছে। গণপূর্ত অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে সার্বিক কার্যক্রম তদারকি করা হচ্ছে। রায়েরবাজার বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধের দায়িত্বে থাকা গণপূর্ত অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমদাদুল হক রিপন জানান, পুরো এলাকার নিরাপত্তার জন্য ৬৪টি সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। আলোকসজ্জার জন্য অন্য বছরের তুলনায় এ বছর লাইট বসানো হয়েছে আরও বেশি। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের শেষ মুহূর্তে দখলদার পাকিস্তানি বাহিনী বুঝতে পারে তাদের পরাজয় অনিবার্য, তখন তারা তালিকা করে জাতির বরেণ্য সন্তানদের হত্যার জন্য তাদের এ দেশীয় দোসর ঘাতক বাহিনী আলবদর-আলশামসকে লেলিয়ে দেয়। পরাজয়ের আগমুহূর্তে তারা চূড়ান্ত আঘাত হানে স্বাধীন বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করার অভিপ্রায়ে। মুক্তিযুদ্ধের প্রথম প্রহর থেকে বিজয়ের আগমুহূর্ত পর্যন্ত যেসব বরেণ্য বুদ্ধিজীবীকে আমরা হারিয়েছি, তাদের মধ্যে আছেন অধ্যাপক গোবিন্দ চন্দ্র দেব, মুনীর চৌধুরী, জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা, ড. মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, রাশীদুল হাসান, ড. আবুল খায়ের, ড. আনোয়ার পাশা, সিরাজুদ্দীন হোসেন, শহীদুল্লা কায়সার, আলতাফ মাহমুদ, নিজামুদ্দীন আহমদ, গিয়াসউদ্দিন আহমদ, ডা. ফজলে রাব্বী, ডা. আলীম চৌধুরী, আ ন ম গোলাম মোস্তফা, সেলিনা পারভীন প্রমুখ। যৌথবাহিনীর কাছে পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের মাত্র দুদিন আগে ১৪ ডিসেম্বর সর্বোচ্চসংখ্যক হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। সেই রাতে ২০০ বুদ্ধিজীবীকে ঢাকায় একত্র করে চোখ বেঁধে নিয়ে যাওয়া হয় শহরের বিভিন্ন স্থানে নির্যাতন সেলে। পরে রায়েরবাজারে নিয়ে হত্যা করা হয়। তাদের স্মরণে ১৪ ডিসেম্বর পালন করা হয় শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস। পাকিস্তানি দুঃশাসনের দিনগুলোয় আমাদের লেখক, সাংবাদিক, শিল্পী ও বুদ্ধিজীবীরা বিবেকের কণ্ঠস্বর হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তারা অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছেন। নিজেদের জ্ঞান-মনীষা ও অধ্যবসায়ের মাধ্যমে জাতিকে পথ দেখিয়েছেন, আলোকিত করেছেন। এসব কারণেই তারা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসরদের জিঘাংসার শিকার হয়েছেন। এত কম সময়ে এত বেশিসংখ্যক বুদ্ধিজীবী নিধন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ছাড়া আর কখনো ঘটেনি।
ট্যাগ:

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
পরিবারের সবাই কোটিপতি তিন কারণে প্রাথমিকের পাঠ্যবই ছাপাবে অধিদপ্তর প্রবাসীদের উন্নয়নে জিহাদ ঘোষণা করলেও সিস্টেমের কারণে পারছি না: মন্ত্রী সুপ্রিমকোর্ট বারের নতুন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা, আ.লীগপন্থিদের প্রত্যাখ্যান ইউপি চেয়ারম্যানের উদ্যোগে অর্ধেক দামে নিত্যপণ্য বিক্রি হজ নিবন্ধনের সময় আবার বাড়ল স্মার্ট প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত হচ্ছে পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট আবার সরকার গঠন করতে পারেন শেখ হাসিনা পাকিস্তানে আটা নিতে গিয়ে পদদলিত হয়ে নিহত ৫ আলোচনায় বসতে আরও ৮ দলকে চিঠি দিল ইসি রাশিয়ার অর্থনীতিতে মন্দার শঙ্কা বৈশ্বিকভাবে জ্বালানির দাম কমলে দেশেও কমবে: তৌফিক-ই-ইলাহী ঈদেও পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল নিষিদ্ধ, বিকল্প রুটের ব্যবস্থা হচ্ছে ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে যা করতে যাচ্ছে সরকার যুগান্তরের লাবলুর বিরুদ্ধে মামলার নিন্দায় যা বললেন ফখরুল কূটনীতিকদের সম্মানে বিএনপির ইফতারে ছিলেন যারা শিশুর নামে অসত্য লিখে স্বাধীনতাকে কটাক্ষ করা কি অপরাধ নয়, প্রশ্ন মন্ত্রীর বিশ্বের বৃহত্তম বিস্কুট কারখানার মালিক জিন্নাহর নাতি! র‌্যাব হেফাজতে জেসমিনের মৃত্যুর পর মামলা আইনের অপব্যবহার: আইনমন্ত্রী তোশাখানা মামলা থেকে মুক্তি পেলেন ইমরান খান