
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স:-
ধান-চাল সংগ্রহের সময় ১৪ দিন বৃদ্ধি

খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ধান-চাল ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ কারণে আরও ১৪ দিন সংগ্রহ অভিযান অব্যাহত থাকবে। পূর্বনির্ধারিত অভিযানের শেষ দিন বৃহস্পতিবার।
তবে শুক্রবার থেকে নতুন করে ধান কেনা শুরু হবে। ইউক্রেন ও রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তায় এক ধরনের সংকট তৈরি হয়েছে। ইতোমধ্যে বিশ্বের ১৯ দেশ তাদের ২৫টি পণ্য রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। পাশের দেশ ভারত চাল রপ্তানির ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। ফলে আগামী দিনে খাদ্য নিয়ে সংকট তৈরির প্রবল আশঙ্কা রয়েছে। এমন বাস্তবতায় ধান, চাল ও গম সংগ্রহের প্রতি সরকার গুরুত্ব দিয়েছে।
জানতে চাইলে খাদ্যসচিব মো. ইসমাইল হোসেন বলেন,
গত বছর বোরো ধানের উৎপাদন ভালো হয়েছে। যে কারণে আমরা ভালো অবস্থানে আছি। ফসলের মৌসুম শেষ না হলে বোঝা যাবে না কী পরিমাণ ধান উৎপাদন হবে। তাই খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি। কারণ সংকটে খাদ্যশস্য পেতে অনেক সমস্যা হয়। এক্ষেত্রে আগাম প্রস্তুতির অংশ হিসাবে আরও ২ লাখ টন চাল ক্রয়ের জন্য সংগ্রহ অভিযানের সময় ১৪ দিন বাড়িয়েছি। তিনি বলেন, ‘ধরুন আমন ধান কাক্সিক্ষত মাত্রায় উৎপন্ন হলো না। সাধারণ ও নিম্ন আয়ের মানুষ এবং বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যদের রেশন কোথা থেকে হবে। সরকারের সংগ্রহে ধান, চাল ও গম না থাকলেও রেশনিং করা যাবে না।’ খাদ্য অধিদপ্তর সূত্র জানায়, দেশের সরকারি খাদ্যগুদামের ধারণক্ষমতা সাড়ে ২১
লাখ টন। বুধবারের তথ্য অনুসারে, সরকারি গুদামে ১৮ লাখ ৮ হাজার ৮১৪ মেট্রিক টন ধান-চাল ও গম মজুত আছে। আরও প্রায় সাড়ে ৩ লাখ মেট্রিক টন ধান, চাল ও গম ধারণক্ষমতার গুদাম খালি আছে। এ কারণে সংগ্রহের সময় আরও ১৪ দিন বাড়ানো হয়েছে। খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাখাওয়াত হোসেনও ধান, চাল ও গম রাখার মতো পর্যাপ্ত গুদাম রয়েছে বলে জানিয়েছেন। খাদ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জলবায়ুর বিরূপ প্রভাবে বিশ্বে খাদ্যশস্যের উৎপাদন কমেছে। এদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলমান আছে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত চাল রপ্তানির ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। ফলে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বাজারে চাল ও
গমের দাম আরও বাড়তে পারে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দেশে যাতে সংকট না হয়, সেজন্যই মজুত নিশ্চিত করতে চায়। খাদ্য অধিদপ্তর সূত্র জানায়, চলতি বোরো মৌসুমে অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে ১৬ লাখ ৫০ হাজার টন ধান ও চাল কেনার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। ৭ মে থেকে শুরু হওয়া সংগ্রহ অভিযান আজ পর্যন্ত অব্যাহত আছে। শুক্রবার থেকে আরও ১৪ দিন ধান, চাল ও গম সংগ্রহ অব্যাহত থাকবে। এ বছর প্রতি কেজি ধানের ক্রয়মূল্য নির্ধারণ করা হয় ৩০ টাকা। প্রতি কেজি সিদ্ধ চালের মূল্য নির্ধারণ করা হয় ৪৪ ও গম ৩৫ টাকা। এছাড়া এ বছর ৬ লাখ টন গম এবং ৫ লাখ টন চাল আমদানির
বাজেট বরাদ্দ আছে। দুটি আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে ইতোমধ্যে ১ লাখ টন গম আনার প্রক্রিয়া চলছে। পর্যায়ক্রমে আরও দরপত্র আহ্বান করা হবে। অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে আরও ২ লাখ টন চাল সংগ্রহ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। দেশের বাজারে চাল পাওয়া যাওয়ার পরও কেন বিদেশ থেকে ৬ লাখ টন চাল আমদানির বাজেটে রাখা হলো- এমন প্রশ্নের জবাবে খাদ্যসচিব বলেন, দেশে পর্যাপ্ত চাল উৎপাদন হয়। কোনো ধরনের সংকটও নেই। তবে বাজার অস্থির করতে একশ্রেণির মানুষ তৎপর থাকে। তাদের অপতৎপরতা রুখতেই আমরা আমদানির জন্য বরাদ্দ রাখি। আনেক সময় বিদেশ থেকে আনা লাগে, আবার অনেক সময় লাগে না। আমদানির সুযোগ না রাখলে যে কোনো সময়
বাজার অস্থির হয়ে উঠতে পারে। তাছাড়া উৎপাদনও অনেক সময় কম হয়। সেসময় সংকট থাকে। তিনি আরও বলেন, ‘গম আমদানি করেই চাহিদা মেটাতে হয়। আমাদের গমের ফসল তেমন নেই বললেই চলে। বিভিন্ন বাহিনীকে রেশন দিতে হয়। ওএমএসে আটা বিক্রি করতে হয়। সুতরাং গম আমদানি করতেই হবে।’ খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এ বছর ভারত, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামে উৎপাদন কম হয়েছে। এতে বিশ্ববাজারে চালের দাম ঊর্ধ্বমুখী। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ববাজারে গমের দামও ঊর্ধ্বমুখী। এ অবস্থায় বোরো মৌসুমে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে সর্বোচ্চ পরিমাণ চাল সংগ্রহে তৎপর সরকার। ইতোমধ্যে বিভিন্ন বাহিনী নিয়ন্ত্রণকারী মন্ত্রণালয়ের কাছে দুই মাসের রেশন অগ্রিম নিতে চিঠি দিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। যাতে গুদামে
জায়গা খালি হয় এবং মজুত বাড়ানো যায়। খাদ্য পরিস্থিতি নিয়ে সাবেক কৃষিসচিব আনোয়ার ফারুক বলেন, বিশ্বের সব দেশ খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে উৎপাদন ও মজুতে মনোযোগ দিয়েছে। আমাদেরও সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। নিজের চাহিদা পূরণ ছাড়া কেউ খাদ্য রপ্তানি করবে না- এমন সিদ্ধান্ত বিভিন্ন দেশের সরকারের। সরকারকে খাদ্য নিরাপত্তাসংক্রান্ত সব বিষয়ে খোঁজখবর রাখার পরামর্শ দেন এই বিশেষজ্ঞ।
গত বছর বোরো ধানের উৎপাদন ভালো হয়েছে। যে কারণে আমরা ভালো অবস্থানে আছি। ফসলের মৌসুম শেষ না হলে বোঝা যাবে না কী পরিমাণ ধান উৎপাদন হবে। তাই খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি। কারণ সংকটে খাদ্যশস্য পেতে অনেক সমস্যা হয়। এক্ষেত্রে আগাম প্রস্তুতির অংশ হিসাবে আরও ২ লাখ টন চাল ক্রয়ের জন্য সংগ্রহ অভিযানের সময় ১৪ দিন বাড়িয়েছি। তিনি বলেন, ‘ধরুন আমন ধান কাক্সিক্ষত মাত্রায় উৎপন্ন হলো না। সাধারণ ও নিম্ন আয়ের মানুষ এবং বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যদের রেশন কোথা থেকে হবে। সরকারের সংগ্রহে ধান, চাল ও গম না থাকলেও রেশনিং করা যাবে না।’ খাদ্য অধিদপ্তর সূত্র জানায়, দেশের সরকারি খাদ্যগুদামের ধারণক্ষমতা সাড়ে ২১
লাখ টন। বুধবারের তথ্য অনুসারে, সরকারি গুদামে ১৮ লাখ ৮ হাজার ৮১৪ মেট্রিক টন ধান-চাল ও গম মজুত আছে। আরও প্রায় সাড়ে ৩ লাখ মেট্রিক টন ধান, চাল ও গম ধারণক্ষমতার গুদাম খালি আছে। এ কারণে সংগ্রহের সময় আরও ১৪ দিন বাড়ানো হয়েছে। খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাখাওয়াত হোসেনও ধান, চাল ও গম রাখার মতো পর্যাপ্ত গুদাম রয়েছে বলে জানিয়েছেন। খাদ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জলবায়ুর বিরূপ প্রভাবে বিশ্বে খাদ্যশস্যের উৎপাদন কমেছে। এদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলমান আছে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত চাল রপ্তানির ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। ফলে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বাজারে চাল ও
গমের দাম আরও বাড়তে পারে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দেশে যাতে সংকট না হয়, সেজন্যই মজুত নিশ্চিত করতে চায়। খাদ্য অধিদপ্তর সূত্র জানায়, চলতি বোরো মৌসুমে অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে ১৬ লাখ ৫০ হাজার টন ধান ও চাল কেনার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। ৭ মে থেকে শুরু হওয়া সংগ্রহ অভিযান আজ পর্যন্ত অব্যাহত আছে। শুক্রবার থেকে আরও ১৪ দিন ধান, চাল ও গম সংগ্রহ অব্যাহত থাকবে। এ বছর প্রতি কেজি ধানের ক্রয়মূল্য নির্ধারণ করা হয় ৩০ টাকা। প্রতি কেজি সিদ্ধ চালের মূল্য নির্ধারণ করা হয় ৪৪ ও গম ৩৫ টাকা। এছাড়া এ বছর ৬ লাখ টন গম এবং ৫ লাখ টন চাল আমদানির
বাজেট বরাদ্দ আছে। দুটি আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে ইতোমধ্যে ১ লাখ টন গম আনার প্রক্রিয়া চলছে। পর্যায়ক্রমে আরও দরপত্র আহ্বান করা হবে। অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে আরও ২ লাখ টন চাল সংগ্রহ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। দেশের বাজারে চাল পাওয়া যাওয়ার পরও কেন বিদেশ থেকে ৬ লাখ টন চাল আমদানির বাজেটে রাখা হলো- এমন প্রশ্নের জবাবে খাদ্যসচিব বলেন, দেশে পর্যাপ্ত চাল উৎপাদন হয়। কোনো ধরনের সংকটও নেই। তবে বাজার অস্থির করতে একশ্রেণির মানুষ তৎপর থাকে। তাদের অপতৎপরতা রুখতেই আমরা আমদানির জন্য বরাদ্দ রাখি। আনেক সময় বিদেশ থেকে আনা লাগে, আবার অনেক সময় লাগে না। আমদানির সুযোগ না রাখলে যে কোনো সময়
বাজার অস্থির হয়ে উঠতে পারে। তাছাড়া উৎপাদনও অনেক সময় কম হয়। সেসময় সংকট থাকে। তিনি আরও বলেন, ‘গম আমদানি করেই চাহিদা মেটাতে হয়। আমাদের গমের ফসল তেমন নেই বললেই চলে। বিভিন্ন বাহিনীকে রেশন দিতে হয়। ওএমএসে আটা বিক্রি করতে হয়। সুতরাং গম আমদানি করতেই হবে।’ খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এ বছর ভারত, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামে উৎপাদন কম হয়েছে। এতে বিশ্ববাজারে চালের দাম ঊর্ধ্বমুখী। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ববাজারে গমের দামও ঊর্ধ্বমুখী। এ অবস্থায় বোরো মৌসুমে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে সর্বোচ্চ পরিমাণ চাল সংগ্রহে তৎপর সরকার। ইতোমধ্যে বিভিন্ন বাহিনী নিয়ন্ত্রণকারী মন্ত্রণালয়ের কাছে দুই মাসের রেশন অগ্রিম নিতে চিঠি দিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। যাতে গুদামে
জায়গা খালি হয় এবং মজুত বাড়ানো যায়। খাদ্য পরিস্থিতি নিয়ে সাবেক কৃষিসচিব আনোয়ার ফারুক বলেন, বিশ্বের সব দেশ খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে উৎপাদন ও মজুতে মনোযোগ দিয়েছে। আমাদেরও সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। নিজের চাহিদা পূরণ ছাড়া কেউ খাদ্য রপ্তানি করবে না- এমন সিদ্ধান্ত বিভিন্ন দেশের সরকারের। সরকারকে খাদ্য নিরাপত্তাসংক্রান্ত সব বিষয়ে খোঁজখবর রাখার পরামর্শ দেন এই বিশেষজ্ঞ।