দেশে ফিরতে চায় জাপানি মায়ের বড় মেয়ে

দেশে ফিরতে চায় জাপানি মায়ের বড় মেয়ে

ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স:-
আপডেটঃ ১৭ জানুয়ারি, ২০২৩ | ১২:০৭
জাপানি মা নাকানো এরিকো ও বাংলাদেশি বাবা ইমরান শরীফ দম্পতির বড় মেয়ে জেসমিন মালিকা জাপান ফিরে যাওয়ার আকুতি জানিয়েছে। সোমবার সুপ্রিম কোর্টের এনেক্স ভবনের সামনে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে শিশুটি এ আকুতি জানায়। জেসমিন মালিকা বলেন, আমার স্কুল জাপানে, আমার সংস্কৃতি জাপানে, আমার বন্ধু-বান্ধব জাপানে, আমার সবকিছু জাপানে। আমি এখানে কীভাবে থাকব? আমি সেখানে যেতে চাই। জেসমিন মালিকা আরও বলেন, আমাকে বলা হয়েছিল যে আমরা আমেরিকায় যাব। কিন্তু আমরা আমেরিকায় যেতে পারব না। ২ বছর ধরে আমরা এখানে আছি। তিনি বলেন, আমাকে ভুল বুঝানো হয়েছিল। আমার মায়ের বিষয়ে আমাকে ভুল তথ্য দেওয়া হয়েছিল। আমি নির্ভরযোগ্য রিসার্চ করেছি। আমি সব জানতে পেরেছি। এসময় জেসমিন মালিকার সঙ্গে তার মা এরিকো নাকানো ও আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির উপস্থিত ছিলেন। এরিকো নাকানো বলেন, ১৩ ফেব্রsয়ারি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট পারিবারিক আদালতকে ৩ (তিন) মাসের মধ্যে মামলাটি শেষ করার নির্দেশ দেন। কিন্তু ইমরান বিলম্ব করছে। এটি প্রায় এক বছর হয়ে গেছে। এখনও বিচার চলছে। তাই আমার মা ও তৃতীয় মেয়ে সোনিয়ার সঙ্গে দেখা করা দরকার। এখানে আমার অবর্তমানে মেয়েদের দেখাশোনার জন্য আমার কেউ নেই। এমতাবস্থায় তাদের সঙ্গে নিয়ে আমার মুমূর্ষু মাকে দেখতে যেতে চেয়েছিলাম। তিনি বলেন, ইমরান আমার ব্যক্তিগত জীবন সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণের জন্য বেশ কিছু গুপ্তচর, গোয়েন্দা নিযুক্ত করেছে। এমনকি আমরা কাছাকাছি শপিং মলেও যেতে পারি না। বিষয়টি আমি থানা ও পারিবারিক আদালতকে জানালেও তারা কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করেনি। ইমরান আমার ড্রাইভার, অনুবাদক, বন্ধু ও আইনজীবীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার অভিযোগ দায়ের করেছে। এমনকি আমার বাসার রিয়েল এস্টেট ম্যানেজারকে হুমকি দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, ইমরান মেয়েকে আদালত কর্তৃক নির্ধারিত সময় ও স্থানের বাইরে নিয়ে গিয়ে ক্রমাগত আদালতের আদেশ অমান্য করেছে। এমনকি বেশ কয়েকবার আমাকে প্রকাশ্যে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিতও করেছে। ভিসা কর্তৃপক্ষ আমাকে সহযোগিতা করেনি। তারা মূলত আমার ভিসা প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত করার চেষ্টা করে এবং অপ্রয়োজনে বিভিন্ন প্রমাণপত্র দেখতে চায়। ২৪ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দুই শিশু জেসমিন মালিকা ও লাইলা লিনাকে নিয়ে জাপানে যেতে চেয়েছিলেন তাদের মা এরিকো নাকানো। পরে তাদের হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন থেকে ফেরত পাঠানো হয়। এ সময় বাবা ইমরান শরীফ লাইলা লিনাকে তার হেফাজতে নিয়ে যান। বর্তমানে গুলশানের বাসায় তারা অবস্থান করছেন। এদিকে ২৬ ডিসেম্বর হাইকোর্টের এনেক্স ভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলনে শিশুদের বাবা ইমরান শরীফ আদালতের মাধ্যমে বিষয়টির ফয়সালার দাবি জানান। পারিবারিক কলহের জের ধরে দুই শিশুকে নিয়ে ২০২১ সালে দেশে আসেন তাদের বাংলাদেশি বাবা ইমরান শরীফ। পরে শিশুদের জিম্মা নিয়ে জাপানি মা হাইকোর্টে আবেদন করেন। যা আপিল বিভাগের আদেশ অনুযায়ী পারিবারিক আদালতে নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে। এদিকে জাপানে থাকা তার তৃতীয় ছোট কন্যা শিশুকে হাজির করানোর ও দেখা করার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে আরেকটি রিট দায়ের করেছেন শিশুদের বাবা ইমরান শরীফ। যা এখনও নিষ্পত্তি হয়নি। জাপানের নাগরিক এরিকো ও বাংলাদেশি বংশোদ্ভ‚ত ইমরানের ২০০৮ সালের ১১ জুলাই বিয়ে হয়। তাদের তিন মেয়ে সন্তান রয়েছে। ২০২১ সালের ১৮ জানুয়ারি এরিকোর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন ইমরান। এরপর ২০২১ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি দুই মেয়েকে (বড় ও মেজ) নিয়ে বাংলাদেশে চলে আসেন তিনি।
ট্যাগ:

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
বিএনপি ভোটে নাও আসতে পারে, এবার তাদের কৌশল ভিন্ন অধিকার গৌণ হয়ে গেছে পাকিস্তান মডেলই টিকে আছে বড় জাতির কাছে সম্মান পেলাম না গুগল ডুডলে স্বাধীনতা দিবস যত নামি বিশ্ববিদ্যালয় তত বেশি টিউশন ফি সংলাপের চিঠি সরকারের নতুন কৌশল পুলিশি বাধায় ব্যাহত সুলভ মূল্যে বিক্রি কার্যক্রম কলার হালি ৬০, লেবু ৭০ টাকা স্বাধীনতা দিবসে বীর শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা ব্রয়লার মুরগির দাম নিয়ে প্রতারণা রোজাদারের হৃদয়ে ঝরে রহমতের বৃষ্টি অমানিশা কাটিয়ে লাল সূর্য বঙ্গবন্ধুর গোপন মিশন যেদিন শুরু পিকে’র প্রতারণার জালে প্রভাবশালীরাও বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিবৃত্ত বেলারুশে পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েনের ঘোষণা পুতিনের হোয়াইট হাউসে আন্তর্জাতিক বিতর্ক প্রতিযোগিতায় সেরা বিতার্কিক কে এই রাকিব? অব্যবহৃত ডাটা ও টকটাইম ফেরতের দাবি শাহবাজ সরকারের দমনপীড়নকে কাশ্মীরের নির্যাতনের সঙ্গে তুলনা ইমরান খানের