
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স:-
আরও খবর

অগ্নিপরীক্ষায় বিএনপি, শঙ্কা নতুন ‘উকিল’

মির্জা ফখরুলের বক্তব্য ভূতের মুখে রাম নাম: ওবায়দুল কাদের

ইসির চিঠির জবাবে যা বলল বিএনপি

বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসলে দুর্নীতিকে ঘৃণা করতে হবে: সেতুমন্ত্রী

বিএনপির আন্দোলন ঢাকঢোল পিটিয়ে শুরু, পেনপেনানিতে শেষ: ওবায়দুল কাদের

দেশে নয়, সংকট বিএনপিতে: তথ্যমন্ত্রী

যতই নির্যাতন করুক, ক্ষমতায় থাকতে পারবে না: ফারুক
ঢাকায় বিএনপির গণমিছিলের নতুন তারিখ ঘোষণা

সরকারের পদত্যাগ ও নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারসহ বিভিন্ন দাবিতে আগামী ৩০ ডিসেম্বর ঢাকায় গণমিছিলের কর্মসূচি দিয়েছে বিএনপি।
শনিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
এর আগে পূর্বঘোষিত গণমিছিল কর্মসূচি ছিল ২৪ ডিসেম্বর। এদিন আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন থাকায় কর্মসূচি পিছিয়ে নতুন করে এ কর্মসূচির তারিখ নির্ধারণ করা হলো। তবে অন্যান্য মহানগর ও জেলায় ২৪ ডিসেম্বরে ঘোষিত গণমিছিলের কর্মসূচি ঠিক থাকবে দলটির।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, বিএনপি সংঘাত চায় না, শান্তিপূর্ণ উপায়ে গণতান্ত্রিক পন্থায় সংকটের সমাধান চায়। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জাতীয় সম্মেলনের জন্য বিএনপির গণমিছিলের কর্মসূচির তারিখ পরিবর্তনের প্রত্যাশা করেছেন। তারিখ পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়েছেন। সেজন্য আমরা দলের পক্ষ থেকে রাজনৈতিক আচরণ করতে চাই। বিএনপি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ২৪ ডিসেম্বর ঢাকায় গণমিছিল করবে না। তবে সারা দেশের জেলা ও মহানগরে সেদিন (২৪ ডিসেম্বর) গণমিছিলের কর্মসূচি হবে।
ঢাকায় ৩০ ডিসেম্বর গণমিছিলের কর্মসূচির নতুন তারিখ দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, অনির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে আমাদের যে আন্দোলন, যথাযথ নির্বাচনের দাবি আদায়ের যে লড়াই, সেজন্য জনগণকে ৩০ ডিসেম্বর স্মরণ করিয়ে দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, ২০১৮ সালের এই দিনে বর্তমান সরকার দিনের ভোট রাতে করে ক্ষমতায় এসেছে। গণমিছিল ঢাকায় কোথায় হবে তার স্থান পরে জানানো হবে বলে জানান নজরুল ইসলাম খান।
২৪ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এই সম্মেলন হবে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। আওয়ামী লীগের সম্মেলন বিএনপিকে দাওয়াত দেওয়া হলে তারা যাবেন কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘রাজনীতিতে যদি বলে কোনো শব্দ নেই। যদি দাওয়াত দেওয়া হয়, এ বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, কেন্দ্রীয় নেতা মীর নেওয়াজ, কাজী রওনকুল ইসলাম টিপু, তাইফুল ইসলাম টিপু উপস্থিত ছিলেন।