![](https://usbangla24.news/wp-content/themes/pitwmeganews/pitw-assets/pitw-image/user_default.png)
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স:-
‘ট্যাবু ভাঙলেন পরীমণি– এই খবরটি আমাকে সাহসী করেছে’
![](https://usbangla24.news/wp-content/uploads/2023/04/porimoni1-samakal-6432d3975eb03.jpg)
পরীমণি। ঢাকাই ছবির আলোচিত চিত্রনায়িকা। শিগগিরই মুক্তি পেতে যাচ্ছে তাঁর অভিনীত ছবি ‘মা’। এই ছবি নিয়ে প্রত্যাশা, বিরতি ভেঙে চলচ্চিত্রে ফেরা ও অন্যান্য প্রসঙ্গে কথা হয় তাঁর সঙ্গে–
আপনার ‘মা’ ছবিটি তো মুক্তির ঘোষণা এলো, ছবিটি নিয়ে প্রত্যাশার কেমন?
আগামী ২৯ মে মা দিবস উপলক্ষে সিনেমাটি মুক্তি পাবে। অনেক দিন পর এ সিনেমার মধ্য দিয়ে বড় পর্দায় ফিরছি। তাই আলাদা এক ধরনের ভালো লাগা কাজ করছে। মনেপ্রাণে চাই, সিনেমাটি সব শ্রেণির দর্শক দেখুক। অনেক পরিশ্রম আর যত্ন নিয়ে কোনো কাজ করার পর এটাই থাকে বড় চাওয়া। তা ছাড়া, এই সিনেমার কথা মনে হলেই আবেগী স্রোতে ভেসে যাই। অন্য রকম টান অনুভব
করি। ছবিটি নিয়ে এতো আবেগের কারণ কী? ‘মা’ সিনেমার জার্নি জীবনের স্মরণীয় এক অধ্যায়। এর শুটিং থেকে শুরু করে কাজের প্রতিটি মুহূর্ত স্মৃতি হয়ে আছে। যখন এই সিনেমার শুটিং শুরু করি, তখন আমি চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা। ছেলে রাজ্যকে গর্ভে রেখেই দিন-রাত শুটিং করেছি। শুটিংয়ের জন্য বনানীর বাসা থেকে গাজীপুর যাওয়ার পথে ভয়ে ভয়ে থাকতাম। ভাবতাম, শুটিংয়ে তো অনেকে আমাকে দেখবে; কিন্তু রাস্তায় যদি কিছু হয়ে যায়, কে টেককেয়ার করবে? যদিও কখনও পথে সমস্যায় পড়িনি। কিন্তু শুটিংয়ে গিয়ে দেখা যেত, একটু পরপরই আমি অসুস্থ হয়ে পড়ছি। বমিও হতো প্রচুর। পরিচালক তো ধরেই নিয়েছিলেন, আমার জন্যই এ সিনেমার কাজ সময়মতো শেষ করা যাবে না।
কিন্তু সবার সহযোগিতায় সময়মতো কাজ শেষ করতে পেরেছি। পরিচালককে আর দুশ্চিন্তায় থাকতে হয়নি। এখন এ সিনেমা আমার ছেলে রাজ্যকে কোলে নিয়ে দেখব– এটা ভাবতেই অন্য রকম ভালো লাগায় মন ভরে যাচ্ছে। মা হওয়ার অনেক আগেই এ ছবিতে যখন চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন, মায়ের ভূমিকায় অভিনয় জন্য কীভাবে প্রস্তুতি নিয়েছিলেন? অভিনেত্রী থেকে পরিপূর্ণ শিল্পী হতে চাইলে সব ধরনের চরিত্রে অভিনয়ের সাহস থাকতে হবে। আমি সেই সাহস নিয়েই কাজ করার চেষ্টা করি। তাই সন্তানের প্রতি একজন মায়ের যে আবেগ-অনভূতি, আশা-আকাঙ্ক্ষা কাজ করে, তা ভালোভাবে জেনে আত্মস্থ করার চেষ্টা করেছি। এরপর ‘মা’ ছবির শুটিংয়ের জন্য ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছি। মায়ের ভূমিকায় অভিনয় করলে নায়িকার ইমেজের ক্ষতি হতে পারে– এটা
কখনও মনে হয়েছিল? মা ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পর একটা খবর আমার চেখে পড়ে, 'ট্যাবু ভাঙলন পরীমণি'। এটা আমার খুবই পছন্দ হয়েছে, কাজে সাহস জুগিয়েছে। নায়িকারা মায়ের ভূমিকায় অভিনয় করলে তাঁদের আবেদন কমে যাবে– এমন কথায় আমি বিশ্বাসী নই। অবশ্য ‘মা’ সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পর অনেকেই প্রশংসা করেছিল, এত তাড়াতাড়ি এমন চরিত্র বেছে নেওয়ার জন্য। তাঁদের সেই প্রশংসাও আমাকে অভিনয়ে প্ররণা জুগিয়েছে। কিছুদিন আগে হুট করেই গ্রামে ছুটলেন। কারণ কী? অনেক দিন ধরেই যেতে মন চাইছিল। নানা কারণে যাওয় হচ্ছিল না। কোভিডের পর জীবনে নানা অভিজ্ঞতার মুখে পড়লাম। জেলে যাওয়া, মামলা আদালতে ছুটাছুটি, বিয়ে করলাম, মা হলাম। সব কিছুর পর অবশেষে চার বছর
পর গ্রামে যাওয়া হল। কাউকে না বলেই হুট করেই গ্রামে যাই। না বললেও গ্রামের সবাই হেরিকপ্টারের আওয়াজ শুনেই বুঝে যায় আমিই গিয়েছি। হেলিকপ্টারের আওয়াজ শুনেই তারা কিভাবে বুঝল আপনিই গিয়েছেন? আরে ওই পথে আমি ছাড়া তেমন কেউ হেলিকপ্টার পথে যায় না। তাই সবাই ধরেই নেয় আমিই গিয়েছি হয়তো। আর আত্মীদের মধ্যে একটা অদ্ভুত বিষয় কাজ করে, কাছের কেউ বাড়ি ফিরতে চাইলে তাদের মন বুঝে ফেলে। হেলিকপ্টার থেকে নামার পর সবাই কিভাবে অভ্যর্থনা দিলেন... হেলিকপ্টার থেকে নামার পরই হৃদয়ে এক প্রকার প্রশান্তিতে ভরে উঠে। যেখানে আমি বড় হয়েছি সেখানে এবার আমার ছোট্ট সন্তান নিয়ে নিয়ে গেলাম। সে শান্তির কথা বলে বোঝানো সম্ভব নয়।
হেলিকপ্টার থেকে নামার পর মানুষের ভিড়ে এগোতেই পারছিলাম না। রাজও গিয়ে গিয়েছিলেন? হেলিকপ্টারে আমি রাজ্য আর নানা গিয়েছিলাম। রাজ পরে গিয়েছিল গাড়ি নিয়ে। শুনে অবাক হবেন রাজ বরিশাল গিয়ে একমুহুর্তও বসেনি। টইটই করে ঘুরে বেড়িয়েছে। ব্যাগভর্তি করে মাছ ও বিভিন্ন বাজার করেছে। প্রায় দুই সপ্তাহর মত গ্রামে ছিলাম এই ক'দিন গ্রামের সবার ভালোবাসায় মুগ্ধ হয়েছি। আমাকে, রাজ্যকে দেখার জন্য সবাই ছুটে আসছেন,আমাদের দোয়া করছেন।
করি। ছবিটি নিয়ে এতো আবেগের কারণ কী? ‘মা’ সিনেমার জার্নি জীবনের স্মরণীয় এক অধ্যায়। এর শুটিং থেকে শুরু করে কাজের প্রতিটি মুহূর্ত স্মৃতি হয়ে আছে। যখন এই সিনেমার শুটিং শুরু করি, তখন আমি চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা। ছেলে রাজ্যকে গর্ভে রেখেই দিন-রাত শুটিং করেছি। শুটিংয়ের জন্য বনানীর বাসা থেকে গাজীপুর যাওয়ার পথে ভয়ে ভয়ে থাকতাম। ভাবতাম, শুটিংয়ে তো অনেকে আমাকে দেখবে; কিন্তু রাস্তায় যদি কিছু হয়ে যায়, কে টেককেয়ার করবে? যদিও কখনও পথে সমস্যায় পড়িনি। কিন্তু শুটিংয়ে গিয়ে দেখা যেত, একটু পরপরই আমি অসুস্থ হয়ে পড়ছি। বমিও হতো প্রচুর। পরিচালক তো ধরেই নিয়েছিলেন, আমার জন্যই এ সিনেমার কাজ সময়মতো শেষ করা যাবে না।
কিন্তু সবার সহযোগিতায় সময়মতো কাজ শেষ করতে পেরেছি। পরিচালককে আর দুশ্চিন্তায় থাকতে হয়নি। এখন এ সিনেমা আমার ছেলে রাজ্যকে কোলে নিয়ে দেখব– এটা ভাবতেই অন্য রকম ভালো লাগায় মন ভরে যাচ্ছে। মা হওয়ার অনেক আগেই এ ছবিতে যখন চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন, মায়ের ভূমিকায় অভিনয় জন্য কীভাবে প্রস্তুতি নিয়েছিলেন? অভিনেত্রী থেকে পরিপূর্ণ শিল্পী হতে চাইলে সব ধরনের চরিত্রে অভিনয়ের সাহস থাকতে হবে। আমি সেই সাহস নিয়েই কাজ করার চেষ্টা করি। তাই সন্তানের প্রতি একজন মায়ের যে আবেগ-অনভূতি, আশা-আকাঙ্ক্ষা কাজ করে, তা ভালোভাবে জেনে আত্মস্থ করার চেষ্টা করেছি। এরপর ‘মা’ ছবির শুটিংয়ের জন্য ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছি। মায়ের ভূমিকায় অভিনয় করলে নায়িকার ইমেজের ক্ষতি হতে পারে– এটা
কখনও মনে হয়েছিল? মা ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পর একটা খবর আমার চেখে পড়ে, 'ট্যাবু ভাঙলন পরীমণি'। এটা আমার খুবই পছন্দ হয়েছে, কাজে সাহস জুগিয়েছে। নায়িকারা মায়ের ভূমিকায় অভিনয় করলে তাঁদের আবেদন কমে যাবে– এমন কথায় আমি বিশ্বাসী নই। অবশ্য ‘মা’ সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পর অনেকেই প্রশংসা করেছিল, এত তাড়াতাড়ি এমন চরিত্র বেছে নেওয়ার জন্য। তাঁদের সেই প্রশংসাও আমাকে অভিনয়ে প্ররণা জুগিয়েছে। কিছুদিন আগে হুট করেই গ্রামে ছুটলেন। কারণ কী? অনেক দিন ধরেই যেতে মন চাইছিল। নানা কারণে যাওয় হচ্ছিল না। কোভিডের পর জীবনে নানা অভিজ্ঞতার মুখে পড়লাম। জেলে যাওয়া, মামলা আদালতে ছুটাছুটি, বিয়ে করলাম, মা হলাম। সব কিছুর পর অবশেষে চার বছর
পর গ্রামে যাওয়া হল। কাউকে না বলেই হুট করেই গ্রামে যাই। না বললেও গ্রামের সবাই হেরিকপ্টারের আওয়াজ শুনেই বুঝে যায় আমিই গিয়েছি। হেলিকপ্টারের আওয়াজ শুনেই তারা কিভাবে বুঝল আপনিই গিয়েছেন? আরে ওই পথে আমি ছাড়া তেমন কেউ হেলিকপ্টার পথে যায় না। তাই সবাই ধরেই নেয় আমিই গিয়েছি হয়তো। আর আত্মীদের মধ্যে একটা অদ্ভুত বিষয় কাজ করে, কাছের কেউ বাড়ি ফিরতে চাইলে তাদের মন বুঝে ফেলে। হেলিকপ্টার থেকে নামার পর সবাই কিভাবে অভ্যর্থনা দিলেন... হেলিকপ্টার থেকে নামার পরই হৃদয়ে এক প্রকার প্রশান্তিতে ভরে উঠে। যেখানে আমি বড় হয়েছি সেখানে এবার আমার ছোট্ট সন্তান নিয়ে নিয়ে গেলাম। সে শান্তির কথা বলে বোঝানো সম্ভব নয়।
হেলিকপ্টার থেকে নামার পর মানুষের ভিড়ে এগোতেই পারছিলাম না। রাজও গিয়ে গিয়েছিলেন? হেলিকপ্টারে আমি রাজ্য আর নানা গিয়েছিলাম। রাজ পরে গিয়েছিল গাড়ি নিয়ে। শুনে অবাক হবেন রাজ বরিশাল গিয়ে একমুহুর্তও বসেনি। টইটই করে ঘুরে বেড়িয়েছে। ব্যাগভর্তি করে মাছ ও বিভিন্ন বাজার করেছে। প্রায় দুই সপ্তাহর মত গ্রামে ছিলাম এই ক'দিন গ্রামের সবার ভালোবাসায় মুগ্ধ হয়েছি। আমাকে, রাজ্যকে দেখার জন্য সবাই ছুটে আসছেন,আমাদের দোয়া করছেন।