রাস্তায় জ্যামের কারণে পাবলিকের অবস্থা চরমে! ঘণ্টার পর ঘণ্টা জ্যামে বসে থাকতে হয়। জ্যামে বসে বসেই জ্যাম নিয়ে ভেবেছেন বিচ্ছুর নিয়মিত লেখক সোহানুর রহমান অনন্ত, এঁকেছেন কাওছার মাহমুদ বাসেই হতে পারে অফিস ইন্টারভিউয়ের কথা বলে আমারে বাসে উঠায়া আনলেন কেন? চাকরি দেওয়ার নামে কোনো উলটা-পালটা মতলব আছে নাকি? জ্যামের অজুহাতে অনেকেই ঠিক টাইমে অফিসে আসে না। তাই বুদ্ধি করে বাসেই অফিস খুলে ফেলেছি। জ্যামে থাকলেও টেনশন নাই! ডেলিভারি কবে জানে না কেউ ফাইজলামি করেন! আমি কখন ভাঙ্গুডটকম থেকে সানগ্লাস অর্ডার দিলাম? আপনি ভুল ঠিকানায় আসছেন। সানগ্লাস আপনার ফাদার পেমেন্ট দিয়ে অর্ডার করছিলেন। আমি জ্যামে পড়েছিলাম। তিনি তো মারা গেছেন, উত্তরসূরি হিসাবে তাই আপনার হাতেই দিতাছি। বাসে ভিআইপি

জ্যাম সিট বাসের মাঝখানের সিটে টিভি, আবার সিটগুলোও সুন্দর! আমরা সামনের মানুষরা কি গাঙে ভাইসা আইছি! ওগুলো হলো ভিআইপি জ্যাম সিট! ভাড়া বেশি তবে জ্যামে বসে টিভি দেখা ফ্রি! বালিশও আছে। গতকাল তো একজন ঘুম চোখে বালিশসহ জানালা দিয়া লাফ দিছিল! জ্যামে ব্যবসার ফন্দি ফিকির কী মিয়া, তরমুজের জুস বিক্রি করতাছো। কইতাছো খাইলেই কলিজা ঠান্ডা! মাছি যে বইসা আছে সেইটা খেয়াল করছো? আপনার যেমন গরম লাগে, মাছিরও তো গরম লাগে। তাগো টাকা-পয়সা নাই দেইখা ফিরায়া দিমু এমন মানুষ আমি না। বস যখন প্রতিবেশী কী করে জানলেন আমাকে কুত্তায় দৌড়ানি দিছিল! অফিসে আসার জন্য কখন বের হই সেটাও দেখছি জানেন। ফলো করেন নাকি? আমি আপনার এলাকাতেই বাসা নিছি। একই

রাস্তায় অফিসে আসলে সুবিধা আছে। জ্যামের কথা তো অফিসের বসরা আবার বিশ্বাস করতে চায় না। জ্যামে বসে এমন লেখক হতেও পারে এত নাম থাকতে ‘বাস পদ্য’ নামে বই বের করলেন! কবিতা কি সব লোকাল আর সিটিং বাস নিয়ে নাকি? নাহ হে প্রকাশক সাহেব, এইসব কবিতা আমি জ্যামের সময় বাসে বসে লিখেছি তো তাই বইয়ের নাম দিয়ে দিলাম ‘বাস পদ্য’।