জুনে ডেঙ্গু রোগীর রেকর্ড, জুলাই হতে পারে পিক সিজন – ইউ এস বাংলা নিউজ




জুনে ডেঙ্গু রোগীর রেকর্ড, জুলাই হতে পারে পিক সিজন

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ৩০ জুন, ২০২৫ | ৭:২০ 29 ভিউ
চলতি মাসে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বছরের মধ্যে শীর্ষে উঠেছে। চলতি বছর এ পর্যন্ত যত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে, তার ৫৬ শতাংশই এসেছে জুনে। জুনে রোগী বৃদ্ধির এই ধারা এ পর্যন্ত রেকর্ড। রোগতত্ত্ববিদেরা বলছেন, আগামী তিন থেকে চার মাস রোগীর সংখ্যা বাড়তে পারে। পিক সিজন হতে পারে জুলাই। বছরের শুরু থেকে হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী ভর্তির সংখ্যা ছিল এক শর কম। জুনে এসে ভর্তির সংখ্যা বাড়ে কয়েক গুণ। আর মোট আক্রান্তের ৩৯ শতাংশই ডেঙ্গুর কবলে পড়েছে গত দুই সপ্তাহে। একই সঙ্গে বেড়েছে চিকিৎসাধীন রোগীর মৃত্যুর সংখ্যা। বর্তমানে দৈনিক কয়েক শ মানুষ এডিস মশাবাহিত এ রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। চলতি বছর এ

পর্যন্ত মোট যে ৪২ জন চিকিৎসাধীন ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হয়েছে, তার ১৯ জনই মারা গেছে জুনে। পরিসংখ্যান বলছে, আগের বছরগুলোতে জুন মাসে এত বেশি রোগী দেখা যায়নি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বৃষ্টির মৌসুম শুরু হয়ে যাওয়ায় দৈনিক রোগী বৃদ্ধির সংখ্যা হাজারের ওপরে উঠতে পারে। এভাবে রোগী বাড়তে থাকলে স্বাভাবিকভাবে মৃত্যুও কয়েক গুণ বেড়ে যাবে। সরকারের ডেঙ্গুবিষয়ক তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, বছরের শুরু থেকে গতকাল রোববার পর্যন্ত সারা দেশের হাসপাতালগুলোতে ৯ হাজার ৮৬৭ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে। মাসভিত্তিক হিসাবে জানুয়ারিতে ১ হাজার ১৬১, ফেব্রুয়ারিতে ৩৭৪, মার্চে ৩৩৬, এপ্রিলে ৭০১ এবং মে মাসে ১ হাজার ৭৭৩ জন। আর শুধু জুন মাসে ৫ হাজার ৫২২

জন রোগী ভর্তি হয়েছে। সে হিসাবে মোট রোগীর ৫৬ শতাংশই আক্রান্ত হয়েছে জুনে। এ মাসের শেষ দুই সপ্তাহে হাসপাতালে রোগী এসেছে পৌনে ৪ হাজার, যা মোট রোগীর ৩৯ শতাংশ। রোগ বৃদ্ধির এ ধারা সামনের মাসগুলোতে আরও বেশি দেখা যেতে পারে বলে সতর্ক করেছেন কীটতত্ত্ব বিশেষজ্ঞরা। তারা জানান, ডেঙ্গুর যে চারটি ধরন রয়েছে, তার মধ্যে বর্তমানে ডেন-২ ও ডেন-৩-এর সংক্রমণ বেশি। তবে দেশে ডেঙ্গুর ধরনগুলো নিয়ে কোনো জিনগত গবেষণা নেই, ফলে এর মিউটেশন (রূপান্তর) হচ্ছে কি না, তা জানা যাচ্ছে না। রোগীর সংখ্যা ও মৃত্যু বৃদ্ধির জন্য পারিপার্শ্বিক অবস্থা, জলবায়ু পরিবর্তন, পরিবেশদূষণ এবং ব্যবস্থাপনা দায়ী বলে মন্তব্য করেন সংশ্লিষ্টরা। তাঁদের মতে, জুলাই মাসে

এডিস মশা বৃদ্ধির ফলে ডেঙ্গুও বৃদ্ধি পেতে পারে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ডেঙ্গুর একসময়ের একক কেন্দ্র রাজধানীতে চলতি বছর তুলনামূলকভাবে কম রোগী দেখা যাচ্ছে। মোট রোগীর ২২ শতাংশ চিকিৎসা নিয়েছে রাজধানীর হাসপাতালে। এখন সবচেয়ে বেশি রোগী বরিশাল বিভাগে। মোট ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে বিভাগটিতে। রোগীর সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কার বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়ার কথা বলেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর জন্য সারা দেশের হাসপাতালগুলোতে প্রয়োজনীয় সুবিধা নিশ্চিত করার বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্যসেবার দায়িত্বে থাকা সরকারি এই কর্তৃপক্ষ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকারের ডেঙ্গুবিষয়ক পরিসংখ্যান মূলত নির্ধারিত কিছু সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি। এর বাইরে সারা দেশে বহু হাসপাতালে রোগী থাকলেও তাদের তথ্য

নেওয়া হয় না। অনেকে আক্রান্ত হয়ে বাড়িতেই থাকছে, কেউ কেউ মারাও যাচ্ছে। এসব বিষয় দাপ্তরিক পর্যবেক্ষণের বাইরে থেকে যায়। শুধু হাসপাতালভিত্তিক তথ্যের আলোকে দ্রুত ছড়িয়ে পড়া রোগের ব্যবস্থাপনা করা যায় না বলে মন্তব্য করেছেন জনস্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠান পাবলিক হেলথ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট (ইলেক্ট) অধ্যাপক ডা. আবু জামিল ফয়সাল। তিনি বলেন, ডেঙ্গু রোগীর তথ্য শুধু কয়েকটি হাসপাতালভিত্তিক। ডেঙ্গুর জন্য যে পর্যায়ে রোগীর সার্ভিলেন্স প্রয়োজন, তা নেই। সব রোগীকেই পর্যবেক্ষণ করতে হবে। রোগ শনাক্ত হয়েছে, কিন্তু হাসপাতালে যারা আসেনি তাদের কী অবস্থা তা-ও জানতে হবে। এ ছাড়া ডেঙ্গুকে নিয়ন্ত্রণ করতে হলে জনসম্পৃক্ততা ও সচেতনতা বাড়াতেই হবে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
ইজারার টাকা তোলা নিয়ে জামায়াত-বিএনপি সংঘর্ষ, আহত ২ গত জুলাইয়ে জনতার পাশে দাঁড়ানো সেনার এই জুলাইয়ে গোপালগঞ্জে জনতার ওপর বর্বরতা, নির্বিচার গুলি-হত্যা এনসিপি’র ‘মুজিববাদ মূর্দাবাদ’ স্লোগানে গোপালগঞ্জে জনবিস্ফোরণ, বিক্ষোভে সেনার গুলি-নিহত ৪ আওয়ামী লীগের মিছিল থেকে ধরে নিয়ে বুট দিয়ে পিষে মারলো সেনাবাহিনী জামায়াত-শিবির এনসিপি প্রতিরোধে গোপালগঞ্জে গৃহবধূ-বৃদ্ধা-কিশোরীরাও রাজপথে এপিসিতে চড়ে গোপালগঞ্জে জনরোষ থেকে পালিয়ে বাঁচলেন এনসিপি নেতারা ইরানের এক হামলায় ইসরাইলের ৩০ বৈমানিক নিহত গোপালগঞ্জে কারফিউ জারি গোপালগঞ্জ রণক্ষেত্র, ১৪৪ ধারা জারি পলাতক ৮ আসামিকে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার মধ্যে পদত্যাগ করলেন জাতিসংঘের ফিলিস্তিন তদন্ত কমিশনের তিন সদস্য গাজায় ত্রাণ বিতরণকেন্দ্রে পদদলিত হয়ে নিহত ২১ ফিলিপাইনে রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়াচ্ছে এআই ও ভুয়া তথ্য যেভাবে কোলেস্টেরল কমাবেন ঐকমত্য না হওয়ায় সংসদের উচ্চকক্ষই বাদের চিন্তা সকল দায় ঢাকার ওপর চাপাতে চায় জাতিসংঘ ‘কোথায় থাকব, কে আশ্রয় দেবে জানি না’ সিরিজ জয়ে চোখ বাংলাদেশের চাকরি জীবনে একবার গুরুদণ্ড পেলে ওসি হতে পারবেন না পাহাড়ে ফলের নতুন ভান্ডার