ছোট ও মাঝারি শিল্পে কমছে বিদেশি বিনিয়োগ

ছোট ও মাঝারি শিল্পে কমছে বিদেশি বিনিয়োগ

ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স:-
আপডেটঃ ১৩ জানুয়ারি, ২০২৩ | ৮:৩৪
বাংলাদেশে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগের (এফডিআই) মধ্যে বিকল্প অর্থায়ন বা ভেঞ্চার ক্যাপিটালের অংশ কমে যাচ্ছে। গত ১০ বছরে উৎপাদন ও বাণিজ্য দুই খাতেই এই বিনিয়োগ কমেছে। এর মধ্যে বাণিজ্য খাতে ৬২টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান সর্বনিম্নে। উৎপাদন খাতে বিনিয়োগের তালিকায় নিচের দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে বাংলাদেশ। আর জিডিপির হিসাবে বাংলাদেশ নবম অবস্থানে। বুধবার রাতে প্রকাশিত আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের (আইএমএফ) এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। ২০০০, ২০১০ ও ২০২০ সালের মধ্যে গড় তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে আইএমএফ। এতে ৬২টি দেশের তথ্য দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, এফডিআইয়ের একটি বড় অংশ হচ্ছে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল বা বিকল্প অর্থায়ন। বিশেষ করে ছোট ও মাঝারি শিল্পে এ ধরনের এফডিআই বেশি হচ্ছে। অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় এ ধরনের বিনিয়োগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। একই সঙ্গে নতুন নতুন কর্মসংস্থানেও এ ধরনের পুঁজির বড় ভূমিকা রয়েছে। বিশ্বব্যাপী এ ধরনের বিনিয়োগ বাড়লেও বাংলাদেশে কমছে। ছোট ও মাঝারি শিল্পে বিনিয়োগ বাড়াতে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর প্রতি আহবান জানিয়েছে সংস্থাটি। তারা বলেছে, এ ধরনের বিনিয়োগ বেশি হলে অভ্যন্তরীণ চাহিদা যেমন বাড়বে, তেমনি অর্থনীতিও টেকসই হবে। বৈশ্বিক মন্দায় বিশ্ব যখন আক্রান্ত, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড স্থবির, তখন আইএমএফ এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করল। প্রতিবেদনে বলা হয়, এফডিআইয়ের মধ্যে বাণিজ্য খাতে বিকল্প অর্থায়ন কমেছে। এ খাতে ২০০০ থেকে ২০১০ সালে বিনিয়োগ কমেছে। ২০১০ থেকে ২০২০ সালেও কমেছে বিনিয়োগ। অর্থাৎ ২০০০ সাল থেকেই এ খাতে বিনিয়োগ কম হচ্ছে। এ খাতে বাংলাদেশের ওপর রয়েছে পাকিস্তান, নেপাল, শ্রীলংকা, ভারত, ভুটান, মালদ্বীপ। পাকিস্তানে ২০১০ সালের তুলনায় ২০২০ সালে বিনিয়োগ কমেছে। তবে ২০০০ সালের তুলনায় ২০১০ সালে বেড়েছিল। নেপাল, ভারত ও ভুটানে ছোট ও মাঝারি শিল্পে বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে। বাংলাদেশে এসব খাতে বিনিয়োগ আকর্ষণের যথাযথ উদ্যোগ নেই। নীতিমালাও সহজ নয়। যে কারণে এসব খাতে বিদেশি বিনিয়োগ আসছে না। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, উৎপাদন খাতের বিকল্প বিনিয়োগে বাংলাদেশের অবস্থান সর্বনিম্ন দিক থেকে দ্বিতীয়। পাকিস্তান সর্বনিম্নে। এ খাতে ২০১০ সালের তুলনায় ২০২০ সালে বাংলাদেশে বিনিয়োগ বেড়েছে। এ খাতে বাংলাদেশের ওপর আছে শ্রীলংকা, ভুটান, ভারত, নেপাল, মালদ্বীপ। দুই সূচকেরই শীর্ষে অবস্থান করছে লুক্সেমবার্গ। জিডিপির হিসাব বিকল্প অর্থায়নে বাংলাদেশের অবস্থান সর্বনিম্ন দিক থেকে নবম স্থানে। সর্বনিম্ন অবস্থানে আছে মরক্কো। তাদের বিনিয়োগ নেতিবাচক। এ সূচকে ভুটান নেপালের ওপরে রয়েছে বাংলাদেশ। সর্বনিম্ন দিক থেকে ভুটান দ্বিতীয় অবস্থানে এবং নেপাল ষষ্ঠ অবস্থানে। বাংলাদেশের ওপরে রয়েছে শ্রীলংকা, ভারত, মিয়ানমার, মালদ্বীপ। এদিকে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারে বাংলাদেশ এগোলেও শীর্ষ ৩৯ দেশের তালিকায় নেই । দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে শুধু ভারতের নাম রয়েছে।
ট্যাগ:

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
পরিকল্পিত নগর গড়ার প্রতিশ্রুতি খোকনের জন্মদিনে কুকুরকে ২১ লাখ টাকার বাড়ি উপহার ‘হাসির স্কুলে’ ভর্তি হচ্ছেন জাপানিরা ৭৫৫ বছরের পুরোনো মসজিদ ফের চালু ‘হোমগ্রোন’ ফর্মুলা চায় যুক্তরাষ্ট্র বিদেশে বসেই নিয়ন্ত্রণ আন্ডারওয়ার্ল্ড ওয়ারীতে গ্যাসলাইনে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৬ ইউনিট বে-ক্রসিং অনুমতিবিহীন লাইটারে অনীহা আমদানিকারকদের ৩১৪ প্রকল্প শেষ করাই চ্যালেঞ্জ ইচ্ছাকৃত কর ফাঁকিতে সর্বোচ্চ ৫ বছর দণ্ড দাবদাহে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে অন্তঃসত্ত্বা নারী ও শিশুরা, ঘরে থাকার পরামর্শ পাঁচ দিনের মধ্যে সারাদেশে আবহাওয়া অধিদপ্তরের বৃষ্টির পূর্বাভাস গ্রেফতার এড়াতে আদালতে পিটিশন বুশরা বিবির লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে বিএনপি’র হারিকেন মিছিল প্রচারে সরব নৌকা ঢিলেঢালা লাঙ্গল গোলাপ হাতপাখা জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় আলোচনা চাই ভোটের হাওয়া বইছে জাতীয় পার্টিতে নাচোলে জিয়াউর রহমানের শাহাদতবার্ষিকী পালিত এ মাসের মধ্যেই বিদ্যুত সমস্যার সমাধান: সংসদে প্রতিমন্ত্রী অজয়ের কারণে আজও অবিবাহিত টাবু!