![](https://usbangla24.news/wp-content/themes/pitwmeganews/pitw-assets/pitw-image/user_default.png)
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স:-
আরও খবর
![](https://usbangla24.news/wp-content/uploads/2024/07/image-830806-1722044406.jpg)
চার দিনে খান ইউনিস ছেড়েছেন পৌনে ২ লাখ ফিলিস্তিনি
![](https://usbangla24.news/wp-content/uploads/2024/07/image-145920-1721900549-1.jpg)
বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ১ শতাংশের আয় এক দশকে ৪০ ট্রিলিয়ন বেড়েছে : অক্সফাম
![](https://usbangla24.news/wp-content/uploads/2024/07/image-830493-1721957827.jpg)
যেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে বাইডেন–নেতানিয়াহুর বৈঠকে
![](https://usbangla24.news/wp-content/uploads/2024/07/image-830324-1721924262.jpg)
খামেনির ফতোয়া বাস্তবায়নের জন্য রুশদির ওপর হামলা: যুক্তরাষ্ট্র
![](https://usbangla24.news/wp-content/uploads/2024/07/image-830320-1721923741-1.jpg)
নেতানিয়াহুর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় যা বলল ইরান
![](https://usbangla24.news/wp-content/uploads/2024/07/image-830289-1721918896.jpg)
ইমরান খানের দলের সেই ‘নিলি পরী’ গ্রেফতার
![](https://usbangla24.news/wp-content/uploads/2024/07/image-830261-1721912690.jpg)
এবার অক্সফোর্ডের চ্যান্সেলর পদে লড়বেন কারাবন্দি ইমরান খান
গ্রেফতারি পরোয়ানা পুতিন ও যুদ্ধের ওপর যে প্রভাব পড়তে পারে
![](https://usbangla24.news/wp-content/uploads/2023/03/image-656031-1679173962.jpg)
বিশ্বের অন্যতম শক্তিধর দেশ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)।
রাশিয়া বলছে, যেহেতু তারা আইসিসির এখতিয়ার স্বীকার করে না, তাই এই পরোয়ানার কোনো গুরুত্বই নেই। তবে আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক ও বিশ্বনেতারা মনে করছেন, এর কিছু সুদূরপ্রসারী প্রভাব রয়েছে, যা পড়বে পুতিনের ওপর এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধেও। পুতিনঘনিষ্ঠদের জন্যও এটি ‘সুস্পষ্ট বার্তা’ বলছেন কেউ কেউ।
এদিকে এই পরোয়ানাকে ‘যৌক্তিক’ এবং এর ‘শক্তিশালী তাৎপর্য’ রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মতে, এটি ‘ঐতিহাসিক’ ঘটনা। পোল্যান্ড সরকারের মুখপাত্র পিয়র মুলার বলেছেন, এই পরোয়ানা ‘অন্যদের জন্যও বার্তা’। খবর বিবিসি, এএফপি, রয়টার্সসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের।
রাশিয়ায় বর্তমানে পুতিনের
একচ্ছত্র আধিপত্য। এর অর্থ, আইসিসির হাতে পুতিনকে রাশিয়া তুলে দেবে না। তিনি যতক্ষণ রাশিয়ায় আছেন, ততক্ষণ যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে তার কিছুই হবে না। কিন্তু তিনি যদি রাশিয়া ছাড়েন, তাহলে তিনি গ্রেফতারের মুখোমুখি হতেও পারেন। এ কারণে পুতিনকে তার রাষ্ট্রীয় সফরগুলোয় কিছুটা বিধিনিষেধ আনতে হতে পারে। বর্তমানে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা থাকায় এবং যেসব দেশে তাকে গ্রেফতার করা হতে পারে, সেসব দেশে যাবেন না পুতিন। ইইউর পররাষ্ট্রবিষয়ক দূত জোসেপ বোরেল বলেছেন, এই পরোয়ানা রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিদের জন্য সংকট তৈরি করবে। তিনি কোনো দেশ ভ্রমণ করলে গ্রেফতার হওয়ার ঝুঁকি থাকবে। এই ঝুঁকি থেকে তিনি রেহাই পাবেন না। এর আগে ২০০৯ সালে দক্ষিণ সুদানের সাবেক প্রেসিডেন্ট ওমর আল-বশিরের
বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত। পরোয়ানা সত্ত্বেও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গেছেন তিনি। কিন্তু কূটনৈতিক বিষয়টি বিবেচনা করে কোনো দেশ তাকে গ্রেফতার করেনি। সুদানও আইসিসির রোম সনদে স্বাক্ষরকারী দেশ নয়। ২০১৯ সালে ওমর সুদানে গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন। পরের বছর দেশটির সরকার তাকে আইসিসিতে বিচারের জন্য পাঠাতে রাজি হয়। ফলে রাশিয়ায় যতদিন ক্ষমতার পালাবদল না হচ্ছে, ততদিন আইসিসির ওই পরোয়ানার তেমন কোনো প্রভাব পড়বে না। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরুর পর থেকে ইউক্রেনীয় শিশুদের অপহরণ ও বেআইনিভাবে তাদের দেশান্তর করার জন্য পুতিনের ওপর যুদ্ধাপরাধের দায় বর্তায় বলে মনে করে আইসিসি। একই অভিযোগে রাশিয়ার শিশুবিষয়ক কমিশনার মারিয়া আলেক্সিয়েভনা
এলভোভা-বেলোভার বিরুদ্ধেও পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। এ পরোয়ানার কারণে চলমান ইউক্রেন যুদ্ধে সরাসরি কোনো প্রভাব হয়তো পড়বে না। তবে পরোক্ষভাবে কিছু প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। অনেকে মনে করছেন, পুতিনের ওপর এই পরোয়ানা তার ঘনিষ্ঠ লোকদের জন্যও একটি বার্তা। পুতিন এ পরোয়ানার কোনো তোয়াক্কা না করলেও পদস্থ রুশ জেনারেলরা ভবিষ্যতে আইসিসির সম্ভাব্য বিচারের মুখোমুখি হওয়ার আশঙ্কায় থাকবেন। এ কারণে যুদ্ধে নৃশংসতা চালানোর ক্ষেত্রে তারা মনোবল হারাতে পারেন। আইসিসির রোম সনদে শুধু রাশিয়াই নয়; যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ভারতসহ বেশ কয়েকটি বৃহৎ ও উদীয়মান শক্তি অনুসমর্থন দেয়নি। সনদের বিধান অনুসারে সদস্য দেশগুলো আদালতের অনুরোধ ও আদেশ বাস্তবায়নে সহযোগিতা করতে দায়বদ্ধ। কেননা আইসিসি কিংবা জাতিসংঘের নিজস্ব কোনো
বাহিনী নেই, যারা ওই আদেশ প্রতিপালন করবে। আইসিসির আদেশের পরিণতিতে প্রেসিডেন্ট পুতিনের পাশ্চাত্যের কোনো দেশে ভ্রমণ হয়তো সম্ভব হবে না। শুক্রবার হোয়াইট হাউজে সাংবাদিকদের বাইডেন বলেন, ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা যৌক্তিক কাজ। এর অত্যন্ত শক্তিশালী তাৎপর্য রয়েছে। পোল্যান্ড সরকারের মুখপাত্র পিয়র মুলার বলেছেন, এটা আইসিসির গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। ইউক্রেনে বর্বর হামলার সঙ্গে যারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত, এটা তাদের প্রতি বার্তা। পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, এটি একটি ঐতিহাসিক উদ্যোগ। এর মধ্য দিয়ে ঐতিহাসিক দায়িত্বের সূচনা ঘটবে। চেক প্রজাতন্ত্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিপাভস্কি বলেন, পুতিন নিঃসন্দেহে যুদ্ধাপরাধের জন্য দায়ী। তাকে বিচারের আওতায় আনতে
হবে।
একচ্ছত্র আধিপত্য। এর অর্থ, আইসিসির হাতে পুতিনকে রাশিয়া তুলে দেবে না। তিনি যতক্ষণ রাশিয়ায় আছেন, ততক্ষণ যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে তার কিছুই হবে না। কিন্তু তিনি যদি রাশিয়া ছাড়েন, তাহলে তিনি গ্রেফতারের মুখোমুখি হতেও পারেন। এ কারণে পুতিনকে তার রাষ্ট্রীয় সফরগুলোয় কিছুটা বিধিনিষেধ আনতে হতে পারে। বর্তমানে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা থাকায় এবং যেসব দেশে তাকে গ্রেফতার করা হতে পারে, সেসব দেশে যাবেন না পুতিন। ইইউর পররাষ্ট্রবিষয়ক দূত জোসেপ বোরেল বলেছেন, এই পরোয়ানা রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিদের জন্য সংকট তৈরি করবে। তিনি কোনো দেশ ভ্রমণ করলে গ্রেফতার হওয়ার ঝুঁকি থাকবে। এই ঝুঁকি থেকে তিনি রেহাই পাবেন না। এর আগে ২০০৯ সালে দক্ষিণ সুদানের সাবেক প্রেসিডেন্ট ওমর আল-বশিরের
বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত। পরোয়ানা সত্ত্বেও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গেছেন তিনি। কিন্তু কূটনৈতিক বিষয়টি বিবেচনা করে কোনো দেশ তাকে গ্রেফতার করেনি। সুদানও আইসিসির রোম সনদে স্বাক্ষরকারী দেশ নয়। ২০১৯ সালে ওমর সুদানে গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন। পরের বছর দেশটির সরকার তাকে আইসিসিতে বিচারের জন্য পাঠাতে রাজি হয়। ফলে রাশিয়ায় যতদিন ক্ষমতার পালাবদল না হচ্ছে, ততদিন আইসিসির ওই পরোয়ানার তেমন কোনো প্রভাব পড়বে না। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরুর পর থেকে ইউক্রেনীয় শিশুদের অপহরণ ও বেআইনিভাবে তাদের দেশান্তর করার জন্য পুতিনের ওপর যুদ্ধাপরাধের দায় বর্তায় বলে মনে করে আইসিসি। একই অভিযোগে রাশিয়ার শিশুবিষয়ক কমিশনার মারিয়া আলেক্সিয়েভনা
এলভোভা-বেলোভার বিরুদ্ধেও পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। এ পরোয়ানার কারণে চলমান ইউক্রেন যুদ্ধে সরাসরি কোনো প্রভাব হয়তো পড়বে না। তবে পরোক্ষভাবে কিছু প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। অনেকে মনে করছেন, পুতিনের ওপর এই পরোয়ানা তার ঘনিষ্ঠ লোকদের জন্যও একটি বার্তা। পুতিন এ পরোয়ানার কোনো তোয়াক্কা না করলেও পদস্থ রুশ জেনারেলরা ভবিষ্যতে আইসিসির সম্ভাব্য বিচারের মুখোমুখি হওয়ার আশঙ্কায় থাকবেন। এ কারণে যুদ্ধে নৃশংসতা চালানোর ক্ষেত্রে তারা মনোবল হারাতে পারেন। আইসিসির রোম সনদে শুধু রাশিয়াই নয়; যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ভারতসহ বেশ কয়েকটি বৃহৎ ও উদীয়মান শক্তি অনুসমর্থন দেয়নি। সনদের বিধান অনুসারে সদস্য দেশগুলো আদালতের অনুরোধ ও আদেশ বাস্তবায়নে সহযোগিতা করতে দায়বদ্ধ। কেননা আইসিসি কিংবা জাতিসংঘের নিজস্ব কোনো
বাহিনী নেই, যারা ওই আদেশ প্রতিপালন করবে। আইসিসির আদেশের পরিণতিতে প্রেসিডেন্ট পুতিনের পাশ্চাত্যের কোনো দেশে ভ্রমণ হয়তো সম্ভব হবে না। শুক্রবার হোয়াইট হাউজে সাংবাদিকদের বাইডেন বলেন, ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা যৌক্তিক কাজ। এর অত্যন্ত শক্তিশালী তাৎপর্য রয়েছে। পোল্যান্ড সরকারের মুখপাত্র পিয়র মুলার বলেছেন, এটা আইসিসির গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। ইউক্রেনে বর্বর হামলার সঙ্গে যারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত, এটা তাদের প্রতি বার্তা। পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, এটি একটি ঐতিহাসিক উদ্যোগ। এর মধ্য দিয়ে ঐতিহাসিক দায়িত্বের সূচনা ঘটবে। চেক প্রজাতন্ত্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিপাভস্কি বলেন, পুতিন নিঃসন্দেহে যুদ্ধাপরাধের জন্য দায়ী। তাকে বিচারের আওতায় আনতে
হবে।