কোভিড ফান্ডে প্রতারণা : নিউইয়র্কে ১৭ জন গ্রেফতার

ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স:-
প্রকাশিতঃ ১৫ ডিসেম্বর, ২০২২
১২:০৭ পূর্বাহ্ণ

কোভিড ফান্ডে প্রতারণা : নিউইয়র্কে ১৭ জন গ্রেফতার

ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স:-
আপডেটঃ ১৫ ডিসেম্বর, ২০২২ | ১২:০৭
কোভিড-১৯ বা করোনাকালীন ত্রাণ তহবিল থেকে প্রতারণা করে ১৫ লাখ ডলার হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে নিউইয়র্কের ১৭ জন সিটি ও রাজ্য কর্মীকে গ্রেফতার করার কথা জানিয়েছে ফেডারেল প্রসিকিউটররা। তবে গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের নাম প্রকাশ করা হয়নি। তাদের বেশির ভাগকে গ্রেফতার করা হয় গত বুধবার। তাদের বিরুদ্ধে প্রতারণা, প্রতারণার ষড়যন্ত্র করাসহ কয়েকটি অভিযোগ আনা হয়েছে। করোনাভাইরাসের ভয়াবহ সময়ে অসহায় মানুষের অর্থ লোপাট করে তারা বিলাসবহুল আইটেম কিনেছে, জুয়া খেলেছে। প্রতারক হিসেবে গ্রেফতার হওয়াদের মধ্যে নিউইয়র্ক পুলিশের (এনওয়াইপিডি) অর্ধডজন সদস্য, এমটিএ ও শিক্ষা বিভাগের কয়েকজন কর্মী রয়েছে। আটকদের মধ্যে ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে তারা ইকোনমিক ইনজুরি ডিস্যাস্টার লোন প্রোগ্রামের আওতায় স্মল বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ঋণ নিতে জালিয়াতির আশ্রয় নেওয়ার ষড়যন্ত্র করেছিলেন। তাদের মধ্যে পাঁচজন হলেন এনওয়াইপিডির। অন্যরা এমটিএ এবং এনওয়াইসি হিউম্যান রিসোর্স অ্যাডমিনেস্ট্রেশনে কর্মরত ছিলেন। প্রতারকরা হেয়ার অ্যান্ড নেইল সেলুনসহ নানা ধরনের ব্যবসা পরিচালনা করার দাবি করে ঋণের জন্য আবেদন করেছিলেন বলে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তদের কয়েকজন তহবিল পাওয়ার পর ঘুষও দিয়েছিল বলে জানা গেছে। অপর ১০ জনের বিরুদ্ধে এসবিএর ইআইডিএল প্রোগ্রাম এবং এর পেচেক প্রটেকশন কর্মসূচির আওতায় প্রতারণার ঋণ পাওয়ার আবেদন করেছিল। এদের মধ্যে তিন জন নিউইয়র্ক সিটি শিক্ষা বিভাগ, দুই জন নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগ, দুই জন নিউইয়র্ক সিটি কারেকশন বিভাগ, এক জন নিউইয়র্ক সিটি পরিবহন বিভাগ, এক জন নিউইয়র্ক সিটি চাইল্ড এডমিনিস্ট্রেশনে কর্মরত ছিলেন। সরকার পক্ষের আইনজীবীরা জানান, পুরো ২০২০ সালজুড়ে প্রতারকরা নিজেদের নামে আবেদন দাখিল করে জানায় যে তারা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক। তাদের অনেকে আবেদনে জানায়, তারা তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ছয় অঙ্কের রাজস্ব আয় করে। বাস্তবে এসব প্রতিষ্ঠানের কোনো অস্তিত্ব ছিল না। আবার কেউ কেউ তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কর্মী নিয়োগ করা রয়েছে বলেও জানিয়েছিল। বাস্তবে কোনো কর্মীই ছিল না। অনেকে প্রতারণার মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থ জুয়া ও ক্যাসিনো, ব্যক্তিগত স্টক বিনিয়োগ, হোম ফার্নিচার, ইলেকট্রনিক্স ও বিলাসবহুল পোশাকে ব্যয় করেছে। সব মিলিয়ে তারা প্রতারণা করে ১৫ লাখ ডলার হাতিয়ে নিয়েছে এসবিএ এবং আরো কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে। তবে তারা আরো লাখ লাখ ডলার হাতিয়ে নেওয়ার চিন্তা করেছিল বলে সরকারি আইনজীবীরা জানিয়েছেন। নিউইয়র্ক সাউদার্ন ডিস্ট্রিক্টের ইউএস অ্যাটর্নি ড্যামিয়েন উইলিয়ামস গ্রেফতারের কথা ঘোষণা করে জানান, ছোট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সহায়তার জন্য বরাদ্দ করা তহবিল লোপাট করে তারা বড় ধরনের অপরাধ করেছেন।
ট্যাগ:

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
বিএনপি ভোটে নাও আসতে পারে, এবার তাদের কৌশল ভিন্ন অধিকার গৌণ হয়ে গেছে পাকিস্তান মডেলই টিকে আছে বড় জাতির কাছে সম্মান পেলাম না গুগল ডুডলে স্বাধীনতা দিবস যত নামি বিশ্ববিদ্যালয় তত বেশি টিউশন ফি সংলাপের চিঠি সরকারের নতুন কৌশল পুলিশি বাধায় ব্যাহত সুলভ মূল্যে বিক্রি কার্যক্রম কলার হালি ৬০, লেবু ৭০ টাকা স্বাধীনতা দিবসে বীর শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা ব্রয়লার মুরগির দাম নিয়ে প্রতারণা রোজাদারের হৃদয়ে ঝরে রহমতের বৃষ্টি অমানিশা কাটিয়ে লাল সূর্য বঙ্গবন্ধুর গোপন মিশন যেদিন শুরু পিকে’র প্রতারণার জালে প্রভাবশালীরাও বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিবৃত্ত বেলারুশে পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েনের ঘোষণা পুতিনের হোয়াইট হাউসে আন্তর্জাতিক বিতর্ক প্রতিযোগিতায় সেরা বিতার্কিক কে এই রাকিব? অব্যবহৃত ডাটা ও টকটাইম ফেরতের দাবি শাহবাজ সরকারের দমনপীড়নকে কাশ্মীরের নির্যাতনের সঙ্গে তুলনা ইমরান খানের