
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স:-
আরও খবর

ক্রেনের আঘাতে লাইনচ্যুত ট্রেন, ঢাকার সঙ্গে সারাদেশের যোগাযোগ বন্ধ

টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

ঢাকার সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ

৪১তম বিসিএসের নন-ক্যাডারে সুপারিশ পেলেন ৩১৬৪ জন

নির্বাচনে বিদেশী কোন চাপ নেই : ইসি আলমগীর

প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়ায় যাচ্ছেন বৃহস্পতিবার

দেশের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিকল্প নেই
এরশাদকে নিয়ে সংসদে বিরূপ মন্তব্যে হট্টগোল, অচলাবস্থা

প্রয়াত রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্যের জের ধরে সংসদে হট্টগোল করেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) এমপিরা। এ নিয়ে সংসদে কিছু সময়ের জন্য অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়। এ সময় সংসদের বৈঠক পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু নজিরবিহীন ঘটনার জন্ম দিয়ে জাপার একাধিক সদস্যকে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ দেন। এক পর্যায়ে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী তাঁর চেম্বার থেকে অধিবেশন কক্ষে ছুটে এসে পরিস্থিতি সামাল দেন।
সোমবার মাগরিবের বিরতির পর এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় লালমনিরহাট-১ আসনের এমপি এবং সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেনের বক্তব্যের জের ধরে জাপার সদস্যরা হইচই করে ওঠেন।
মোতাহার হোসেন
দাবি করেন, ২০১৪ সালে সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদ তাঁর কাছে নির্বাচনে পরাজিত হন এবং এরশাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। এ বক্তব্যের প্রতিবাদ জানাতে জাপার দুই সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ ও মসিউর রহমান রাঙ্গা মাইক ছাড়াই দাঁড়িয়ে যান। তখনও মোতাহার হোসেনের জন্য নির্ধারিত ১০ মিনিটের বক্তব্য শেষ হয়নি। জাপার দুই সদস্য এ সময় সংসদ থেকে ওয়াক আউটের হুমকি দিলে ডেপুটি স্পিকার খানিকটা ভড়কে যান। কার্যপ্রণালি বিধিতে সুযোগ না থাকার পরও তিনি মোতাহার হোসেনের বক্তব্য শেষ না হতেই জাপার দুই এমপিকে একে একে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ দেন। মোতাহার হোসেন আপত্তি জানিয়ে বলেন, 'আমার বক্তব্য শেষ না হতে আরেকজনকে কীভাবে ফ্লোর দেওয়া হচ্ছে।' মোতাহার
হোসেনের বক্তব্যের বিরোধিতা করে কাজী ফিরোজ রশীদ ও মসিউর রহমান রাঙ্গা দাবি করেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম সংসদ নির্বাচনে এরশাদ আসতে রাজি ছিলেন না। তিনি সিএমএইচে ভর্তি ছিলেন। ওই সময়ে বিএনপিসহ অন্য বিরোধী দলগুলো নির্বাচন বর্জন করছে। এরশাদকে দিয়ে জোর করে একাধিক আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ানো হয়েছিল। কারণ তখন জাপা ভোটে না এলে সরকার থাকে না। সংসদও হয় না। তিনি বলেন, এরশাদ কখনও ভোটে হারেননি। জেল থেকে একাধিকবার ৫টি আসনে নির্বাচনে অংশ নিয়ে জয়লাভ করেছেন। সুতরাং তাঁর (মোতাহার হোসেন) বক্তব্য এপপাঞ্চ করতে হবে। তাঁকে ক্ষমা চাইতে হবে। একই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বক্তব্য দেন মসিউর রহমান রাঙ্গা। এ সময় সরকারি
দলের সদস্যরা হইচই শুরু করলে রাঙ্গা তাঁদের উদ্দেশে বলেন, 'চিৎকারের দরকার নেই। আমরা সংসদ থেকে চলে যাব।' এক পর্যায়ে তাঁর মাইক বন্ধ হয়ে গেলে ডেপুটি স্পিকার সদস্যদের নিবৃত্ত করতে চেষ্টা করেন এবং জানান আপত্তিকর কিছু থাকলে এপপাঞ্চ করা হবে। এ পর্যায়ে মোতাহার হোসেনকে ফের ফ্লোর দেন ডেপুটি স্পিকার। এরই মধ্যে স্পিকারের চেম্বার থেকে তড়িঘড়ি করে অধিবেশন কক্ষে প্রবেশ করেন শিরীন শারমিন চৌধুরী। স্পিকারের আসনে বসেই তিনি জাপা এমপিদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করে বলেন, 'কাজী ফিরোজ রশীদ ও মসিউর রহমানের রাঙ্গা আপনারা বসেন। হাউসের একটি ডেকোরাম আছে। এখানে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আলোচনা হচ্ছে। এখানে একজন বক্তা তাঁর বক্তব্য রাখছেন। সেই বক্তব্যে আপত্তিকর
কিছু থাকলে সেটা আপনারা উত্থাপন করতে পারেন। কিন্তু এ জন্য আপনাদের অপেক্ষা করতে হবে। উনি (মোতাহার হোসেন) উনার বক্তব্য শেষ করবেন। আপনারা হাত তুলবেন। আমরা যখন মনে করব, আপনাদের সুযোগ দেওয়ার বিষয় আছে, আমরা সেই সুযোগ দেব। আপনাদের কথাও শোনা হবে। যদি এমন কোনো বিষয় থাকে, যেটা এপপাঞ্চের প্রয়োজনীয়তা আছে সেটা বিবেচনায় নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ারও সুযোগ আছে। কিন্তু মহামান্য রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আলোচনা চলমান থাকার সময় একজন বক্তা যখন বক্তব্য দিচ্ছেন, সেই বক্তব্য চলাকালে আপনি হাত তুলে আপত্তি করেছেন, সেটা ঠিক আছে। কিন্তু তার পর সেই মুহূর্তে পয়েন্ট অব অর্ডারে আলোচনা করা সমীচীন নয়। সেটা পরমুহূর্তে হতে পারে। এজেন্ডার মাঝখানে
নয়। কাজেই আমি আপনাদের কাছ থেকে সেই সহযোগিতা আশা করছি। আপনাদের বিষয়টিও শোনা হবে।' স্পিকার এর পর মোতাহার হোসেনকে বাকি বক্তব্য রাখার আহ্বান জানিয়ে নির্ধারিত সময়ে শেষ করতে বলেন। মোতাহার হোসেনের বক্তব্য শেষে ফের জাপার ওই দুই এমপিকে ফ্লোর দেন স্পিকার। তাঁরা একই বক্তব্য ফের তুলে ধরে মোতাহার হোসেনের বক্তব্যের ওই অংশ (এরশাদের জামানত বাজেয়াপ্ত) এপপাঞ্চ করার দাবি জানান। তখন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী রুলিংয়ে জানান, মোতাহার হোসেনের বক্তব্যে যদি কোনো তথ্যগত ত্রুটি থাকে, তাহলে সেটা বিবেচনা করে এবং পরীক্ষা করে এপপাঞ্চ করা হবে। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে ১৫৩টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন এমপিরা। বাকি আসনগুলোতে ভোট হয়। বিএনপিসহ বিরোধী
দলগুলো তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে ওই নির্বাচন বর্জন এবং নির্বাচনের দিনও অবরোধ কর্মসূচি পালন করে। ওই নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী মোতাহার হোসেন ১ লাখ ৭৯ হাজার ৮১৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। লাঙ্গল প্রতীকের এরশাদ ৫ হাজার ৩৮১ ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থানে থেকে জামানত হারান। তবে তিনি রংপুর-৩ আসনে জয়ী হন।
দাবি করেন, ২০১৪ সালে সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদ তাঁর কাছে নির্বাচনে পরাজিত হন এবং এরশাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। এ বক্তব্যের প্রতিবাদ জানাতে জাপার দুই সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ ও মসিউর রহমান রাঙ্গা মাইক ছাড়াই দাঁড়িয়ে যান। তখনও মোতাহার হোসেনের জন্য নির্ধারিত ১০ মিনিটের বক্তব্য শেষ হয়নি। জাপার দুই সদস্য এ সময় সংসদ থেকে ওয়াক আউটের হুমকি দিলে ডেপুটি স্পিকার খানিকটা ভড়কে যান। কার্যপ্রণালি বিধিতে সুযোগ না থাকার পরও তিনি মোতাহার হোসেনের বক্তব্য শেষ না হতেই জাপার দুই এমপিকে একে একে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ দেন। মোতাহার হোসেন আপত্তি জানিয়ে বলেন, 'আমার বক্তব্য শেষ না হতে আরেকজনকে কীভাবে ফ্লোর দেওয়া হচ্ছে।' মোতাহার
হোসেনের বক্তব্যের বিরোধিতা করে কাজী ফিরোজ রশীদ ও মসিউর রহমান রাঙ্গা দাবি করেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম সংসদ নির্বাচনে এরশাদ আসতে রাজি ছিলেন না। তিনি সিএমএইচে ভর্তি ছিলেন। ওই সময়ে বিএনপিসহ অন্য বিরোধী দলগুলো নির্বাচন বর্জন করছে। এরশাদকে দিয়ে জোর করে একাধিক আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ানো হয়েছিল। কারণ তখন জাপা ভোটে না এলে সরকার থাকে না। সংসদও হয় না। তিনি বলেন, এরশাদ কখনও ভোটে হারেননি। জেল থেকে একাধিকবার ৫টি আসনে নির্বাচনে অংশ নিয়ে জয়লাভ করেছেন। সুতরাং তাঁর (মোতাহার হোসেন) বক্তব্য এপপাঞ্চ করতে হবে। তাঁকে ক্ষমা চাইতে হবে। একই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বক্তব্য দেন মসিউর রহমান রাঙ্গা। এ সময় সরকারি
দলের সদস্যরা হইচই শুরু করলে রাঙ্গা তাঁদের উদ্দেশে বলেন, 'চিৎকারের দরকার নেই। আমরা সংসদ থেকে চলে যাব।' এক পর্যায়ে তাঁর মাইক বন্ধ হয়ে গেলে ডেপুটি স্পিকার সদস্যদের নিবৃত্ত করতে চেষ্টা করেন এবং জানান আপত্তিকর কিছু থাকলে এপপাঞ্চ করা হবে। এ পর্যায়ে মোতাহার হোসেনকে ফের ফ্লোর দেন ডেপুটি স্পিকার। এরই মধ্যে স্পিকারের চেম্বার থেকে তড়িঘড়ি করে অধিবেশন কক্ষে প্রবেশ করেন শিরীন শারমিন চৌধুরী। স্পিকারের আসনে বসেই তিনি জাপা এমপিদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করে বলেন, 'কাজী ফিরোজ রশীদ ও মসিউর রহমানের রাঙ্গা আপনারা বসেন। হাউসের একটি ডেকোরাম আছে। এখানে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আলোচনা হচ্ছে। এখানে একজন বক্তা তাঁর বক্তব্য রাখছেন। সেই বক্তব্যে আপত্তিকর
কিছু থাকলে সেটা আপনারা উত্থাপন করতে পারেন। কিন্তু এ জন্য আপনাদের অপেক্ষা করতে হবে। উনি (মোতাহার হোসেন) উনার বক্তব্য শেষ করবেন। আপনারা হাত তুলবেন। আমরা যখন মনে করব, আপনাদের সুযোগ দেওয়ার বিষয় আছে, আমরা সেই সুযোগ দেব। আপনাদের কথাও শোনা হবে। যদি এমন কোনো বিষয় থাকে, যেটা এপপাঞ্চের প্রয়োজনীয়তা আছে সেটা বিবেচনায় নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ারও সুযোগ আছে। কিন্তু মহামান্য রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আলোচনা চলমান থাকার সময় একজন বক্তা যখন বক্তব্য দিচ্ছেন, সেই বক্তব্য চলাকালে আপনি হাত তুলে আপত্তি করেছেন, সেটা ঠিক আছে। কিন্তু তার পর সেই মুহূর্তে পয়েন্ট অব অর্ডারে আলোচনা করা সমীচীন নয়। সেটা পরমুহূর্তে হতে পারে। এজেন্ডার মাঝখানে
নয়। কাজেই আমি আপনাদের কাছ থেকে সেই সহযোগিতা আশা করছি। আপনাদের বিষয়টিও শোনা হবে।' স্পিকার এর পর মোতাহার হোসেনকে বাকি বক্তব্য রাখার আহ্বান জানিয়ে নির্ধারিত সময়ে শেষ করতে বলেন। মোতাহার হোসেনের বক্তব্য শেষে ফের জাপার ওই দুই এমপিকে ফ্লোর দেন স্পিকার। তাঁরা একই বক্তব্য ফের তুলে ধরে মোতাহার হোসেনের বক্তব্যের ওই অংশ (এরশাদের জামানত বাজেয়াপ্ত) এপপাঞ্চ করার দাবি জানান। তখন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী রুলিংয়ে জানান, মোতাহার হোসেনের বক্তব্যে যদি কোনো তথ্যগত ত্রুটি থাকে, তাহলে সেটা বিবেচনা করে এবং পরীক্ষা করে এপপাঞ্চ করা হবে। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে ১৫৩টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন এমপিরা। বাকি আসনগুলোতে ভোট হয়। বিএনপিসহ বিরোধী
দলগুলো তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে ওই নির্বাচন বর্জন এবং নির্বাচনের দিনও অবরোধ কর্মসূচি পালন করে। ওই নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী মোতাহার হোসেন ১ লাখ ৭৯ হাজার ৮১৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। লাঙ্গল প্রতীকের এরশাদ ৫ হাজার ৩৮১ ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থানে থেকে জামানত হারান। তবে তিনি রংপুর-৩ আসনে জয়ী হন।