এক বছরে কর্মক্ষেত্রে হতাহতের সংখ্যা বেড়েছে

এক বছরে কর্মক্ষেত্রে হতাহতের সংখ্যা বেড়েছে

ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স:-
আপডেটঃ ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ | ৫:০৯
দেশে ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ কর্মক্ষেত্রে হতাহতের সংখ্যা বেড়েছে বলে জানিয়েছে ওশি (অক্যুপেশনাল সেফটি, হেলথ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট) ফাউন্ডেশন। এ বছর মোট হতাহত হয়েছেন ১ হাজার ১৯৫ শ্রমিক, যার মধ্যে নিহত ৯৬৭ জন এবং আহত ২২৮ জন। শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য দেয় ওশি ফাউন্ডেশন। প্রতিবছরের মতো ২০২২ সালেও তারা কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনার প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংস্থার পরিচালক মো. আলম হোসেন। সঞ্চালনা করেন প্রকল্প সমন্বয়ক এমএম কবীর মামুন। লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, ওশি ফাউন্ডেশনের পরিবীক্ষণের আওতায় ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সারা দেশে দুর্ঘটনায় প্রাতিষ্ঠানিক খাতে ২৪৬ এবং অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে ৯৪৯ শ্রমিক হতাহতের শিকার হয়েছেন। গত বছর হতাহত হয়েছেন এক হাজার ৮৯ জন। ২০২২ সালে কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় হতাহতের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক খাতে মৃত্যুবরণ করেছেন ১৫২ জন এবং আহত হয়েছেন ৯৪ জন। আর অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে মৃত্যুবরণ করেছেন ৮১৫ জন এবং আহত হয়েছেন ১৩৪ জন। প্রাতিষ্ঠানিক খাতে ৯৬৭ নিহতের মধ্যে নারী শ্রমিক ২৪ ও পুরুষ শ্রমিক ৯৪৩ জন। আর অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে আহত হয়েছেন ২৮ নারী এবং ১৯০ পুরুষ শ্রমিক। এ বছর প্রাতিষ্ঠানিক খাতে সবচেয়ে বেশি নিহত হয়েছেন পরিবহণ শ্রমিক। হতাহতের সংখ্যা ৪৭৬, যার মধ্যে ৪২৫ জন নিহত এবং ৫১ জন আহত হয়েছেন। যা মোট হতাহতের ৪০ শতাংশ। হতাহতের দিক দিয়ে পরিবহণ খাতের পরই রয়েছে সেবা খাত। এ খাতে ২৭০ শ্রমিক হতাহতের শিকার হয়েছেন, যার মধ্যে ২১১ জন মৃত্যুবরণ করেছেন আর ৫৯ জন আহত হয়েছেন, যা মোট হতাহতের ২৩ শতাংশ। সেবামূলক খাতের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে ওয়ার্কশপ, গ্যাস, বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, হোটেল বা রেস্টুরেন্ট, সরকারি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মী প্রভৃতি। কৃষি খাতে মোট ১৩৯ জন শ্রমিক হতাহত হয়েছেন, যার মধ্যে ১২৪ জন মৃত্যুবরণ করেছেন, আর ১৫ জন আহত হয়েছেন। যা মোট হতাহতের ১২ শতাংশ। এ বছর নির্মাণ খাতে মোট ১৩৪ জন শ্রমিক বিভিন্ন দুর্ঘটনায় হতাহত হয়েছেন, যার মধ্যে ১০৫ জন নিহত এবং ২৯ জন আহত হয়েছেন। যা মোট হতাহতের ১১ শতাংশ। আর ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে মোট হতাহতের সংখ্যা ১০০ জন। যার মধ্যে ৬৭ জন নিহত এবং ৩৩ জন আহত যা মোট হতাহতের ১৮ শতাংশ। তৈরি পোশাক শিল্প খাতে মোট ৫৪ জন হতাহতের শিকার হন। এর মধ্যে ২৮ জন মৃত্যুবরণ করেন এবং ২৬ জন আহত হন, যা মোট হতাহতের ৪ শতাংশ। আর জাহাজ ভাঙা শিল্পে হতাহতের সংখ্যা মোট ২২ জন, যার মধ্যে নিহত ৭ এবং আহত ১৫ জন- যা মোট হতাহতের ২ শতাংশ।
ট্যাগ:

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
ন্যাটোর সদস্যপদের বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত চায় ইউক্রেন: জেলেনস্কি যুক্তরাষ্ট্র থেকে মোদির উদ্দেশে যা বললেন রাহুল পিএসজি ছেড়ে সৌদি আরব যাচ্ছেন মেসি সংকটে ঘুরে দাঁড়ানোর বাজেট: কাদের প্রস্তাবিত বাজেট ‘স্মার্ট লুটপাটের’: আমির খসরু দাদুকে হারিয়ে আলিয়ার আবেগঘন পোস্ট নেশায় বুঁদ কিম জং উন, ওজন বেড়ে ১৪০ কেজি! জার্মানিতে চারটি রুশ কনস্যুলেট বন্ধের সিদ্ধান্ত ইমরান খানকে মাইনাসে কোরেশি-ফাওয়াদ বৈঠক জিয়া বহুদলীয় গণতন্ত্রের বাগান রচনা করেছিলেন: নজরুল ইসলাম খান সরকারি চাকরিতে ৪ লাখ ৮৯ হাজার ৯৭৬ পদ ফাঁকা এলপি গ্যাসের দাম কমল বাজেট বক্তৃতা করছেন অর্থমন্ত্রী মন্ত্রিসভায় বাজেট প্রস্তাব অনুমোদন রাশিয়ার ছোড়া ১০ ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসের দাবি ইউক্রেনের পাকিস্তানে ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহত ৫ ইউক্রেনে নতুন যে দায়িত্ব পাচ্ছেন চেচেন সেনারা ঠকব না, দেশের মানুষকে আমরা ঠকাব না: অর্থমন্ত্রী ইউক্রেনে আরও ৩০০ মিলিয়ন ডলারের অস্ত্র পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র আমি গরিবের সন্তান, জানি গরিব হওয়া কতটা কষ্টের: অর্থমন্ত্রী