উপদেষ্টা আসবেন বলে ২ কোটি টাকা গচ্চায় অস্থায়ী সংস্কার- চলে গেলেই তুলে নেবে সড়ক বিভাগ – ইউ এস বাংলা নিউজ




ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আপডেটঃ ৭ অক্টোবর, ২০২৫
     ১১:০১ অপরাহ্ণ

আরও খবর

উপদেষ্টা আসবেন বলে ২ কোটি টাকা গচ্চায় অস্থায়ী সংস্কার- চলে গেলেই তুলে নেবে সড়ক বিভাগ

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ৭ অক্টোবর, ২০২৫ | ১১:০১ 51 ভিউ
ঢাকা–সিলেট চার লেন মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ১২ কিলোমিটার অংশে উপদেষ্টার সফর উপলক্ষে তড়িঘড়ি করে অস্থায়ী সংস্কার কাজ শুরু করেছে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ। আজ ৭ই অক্টোবর, মঙ্গলবার টানা তৃতীয় দিনের মতো চলছে এই ‘দেখানো সংস্কার’। এতে ব্যয় হচ্ছে ২ কোটি টাকারও বেশি, কিন্তু স্থানীয়দের আশঙ্কা—সফর শেষ হলেই এসব ইট-বালু তুলে ফেলা হবে। এই হঠাৎ সংস্কারেই সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজট। আশুগঞ্জ থেকে বিশ্বরোড পর্যন্ত যানবাহনের সারি লেগে আছে কয়েক কিলোমিটারজুড়ে। চালক ও যাত্রীদের ভোগান্তির যেন শেষ নেই। সূত্র জানায়, ২০১৭ সালে একনেকে অনুমোদন পাওয়া এই ৫১ কিলোমিটার সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০২০ সালে ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এফকনস ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডের মাধ্যমে। কিন্তু করোনা

মহামারি, বালু সংকট ও রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে কাজ বারবার বন্ধ হয়ে যায়। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয় ২০২৫ সালের ৩১শে জুন, তবুও এখনো পুরোপুরি শেষ হয়নি প্রথম প্যাকেজের কাজ। বর্ষাকালে সড়কের আশুগঞ্জ–বিশ্বরোড অংশে বড় বড় গর্ত ও ক্ষতিগ্রস্ত অংশে যান চলাচল প্রায় অচল হয়ে পড়ে। অথচ দীর্ঘদিন কাজ না করে উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের পরিদর্শনের আগেই শুরু হয় এই অস্থায়ী সংস্কার। বিশ্বরোড গোলচত্বর এলাকায় সড়কের ওপর ১৫ ইঞ্চি উঁচু করে ইট বিছানো হচ্ছে, যা আরও যানজট তৈরি করছে। স্থানীয়রা বলছেন, এটি “দেখানোর সংস্কার”, যার ফল ভোগ করবে সাধারণ মানুষই। স্থানীয় বাসিন্দা রেজোয়ান মাহমুদ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “অতিথি আসবে বলে অস্থায়ীভাবে কাজ করা

হচ্ছে। কিন্তু আমাদের দরকার স্থায়ী সমাধান। আমরা শুনেছি, উপদেষ্টা চলে গেলে এসব ইট আবারও সরিয়ে নেওয়া হবে। এতে জনগণের কষ্ট বাড়বে, আর সরকারি টাকাও অপচয় হবে।” বাসচালক মো. মজনু মিয়া বলেন, “বিশ্বরোডের নাম শুনলেই আতঙ্ক লাগে। প্রতিদিন ঘন্টার পর ঘন্টা জ্যামে থাকতে হয়। একবারেই স্থায়ীভাবে রাস্তা ঠিক করা হোক—এইটাই চাই।” ব্রাহ্মণবাড়িয়া খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম জানান, “যানজট নিয়ন্ত্রণে দিনরাত কাজ করছি, কিন্তু পরিস্থিতি দিন দিন খারাপ হচ্ছে। স্থায়ী সংস্কার ছাড়া এই সমস্যা মেটার নয়।” অন্যদিকে প্রকল্প ব্যবস্থাপক শামীম আহমেদ বলেন, “এটি সাময়িক সংস্কার, যাতে মানুষ কিছুটা স্বস্তি পায়। কয়েক দিনের মধ্যেই চলমান কাজ শেষ হবে। স্থায়ী সংস্কার শুরু হলে এই অস্থায়ী

অংশ সরিয়ে নেওয়া হবে।” তবে সওজের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, “এই অস্থায়ী সংস্কারে খরচ হচ্ছে ২ কোটি টাকারও বেশি। কাজটি প্রকল্প ও সওজের যৌথ উদ্যোগে চলছে। স্থায়ী কাজ শুরু হলে ইট-বালু সব সরিয়ে নেওয়া হবে।” প্রতিদিন গড়ে চার বিভাগের ২১ জেলার অন্তত ২৫ হাজার যানবাহন চলাচল করে এই মহাসড়ক দিয়ে। অথচ বছরের পর বছর পেরিয়ে গেলেও প্রকল্পের কাজ শেষ না হওয়ায় এই গুরুত্বপূর্ণ সড়ক এখন যেন দুর্ভোগের প্রতীকে পরিণত হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
‘১৯৭১ সালের মার্চ মাস। “কত টাকা থাকলে কারও ৬৬৬ কোটি টাকা ট্যাক্স হয়? এই লোকটার এত টাকার উৎস কি?” –জননেত্রী শেখ হাসিনা পাকিস্তান সেনাবাহিনী থেকে শুরু করে তাদের দোসর রাজাকার জামাত শিবির গং, এদের সবগুলোই কমন শত্রু একজনই- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। পাকিস্তান ও ইউনুস সরকারের গোপন ঘনিষ্ঠতা,বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ঝুঁকিতে নোয়াখালীতে কবরস্থান থেকে ৫টি রাইফেল ও ১টি এলজি উদ্ধার পুলিশের নতুন পোশাক কেনাকাটায় অস্বচ্ছতার অভিযোগ ১১ মাসে ১৭০ ধর্ষণ মাগুরায় পেট্রোল বোমায় পুড়ল সাব-রেজিস্ট্রি ও ভূমি অফিস পেঁয়াজের ঝাঁজ ১৬০ টাকায়: কৃত্রিম সংকটে দিশেহারা ক্রেতা এশিয়ার রাজনৈতিক দাবার বোর্ডে ভারতই যখন ‘কিংমেকার’ দুই পা কেটে কৃষক হত্যা, ছুরিকাঘাতে যুবক খুন ইমরানের ‘আইডল’ বঙ্গবন্ধু ইমরান খানের মুখে প্রশংসা, পাক সেনাবাহিনীর চোখে বঙ্গবন্ধু ‘গদ্দার’ ‘ভারত টুকরো না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশে শান্তি আসবে না’: সাবেক জেনারেল আজমির বিস্ফোরক মন্তব্যে তোলপাড় কারাগারে ৭ম শ্রেণির ছেলে, পুলিশ হেফাজতে বাবার মৃত্যু: হ্নীলায় এক পরিবারের করুণ ট্র্যাজেডি ঘরে ঢুকে মুক্তিযোদ্ধা দম্পতিকে গলা কেটে হত্যা এক বছরেও প্রকাশ হয়নি উপদেষ্টাদের আয়–সম্পদের হিসাব স্বচ্ছতার প্রতিশ্রুতি মিললেও বাস্তবে অদৃশ্য, সরকারের জবাবদিহিতা নিয়ে ঘনীভূত প্রশ্ন ‘রোজা ও পূজা একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ’ মন্তব্যে শিশির মনিরের বিরুদ্ধে মামলা সৌদিতে জমে উঠেছে ‘রেড সি ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল’ ভারতের গোয়ার নাইটক্লাবে বড় অগ্নিকাণ্ড, নিহত ২৩ ভারতে থাকা না-থাকার সিদ্ধান্ত শেখ হাসিনার: এস জয়শঙ্কর