![](https://usbangla24.news/wp-content/themes/pitwmeganews/pitw-assets/pitw-image/user_default.png)
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স:-
আরও খবর
![](https://usbangla24.news/wp-content/uploads/2024/07/image-830807-1722045278.jpg)
কারফিউ তুলে নেওয়ার বিষয়ে যা জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
![](https://usbangla24.news/wp-content/uploads/2024/07/image-830804-1722035034.jpg)
দেশে আর কতদিন কারফিউ থাকবে?
![](https://usbangla24.news/wp-content/uploads/2024/07/image-830660-1722027699.jpg)
গ্রেফতার আতঙ্কে ঘরছাড়া বহু সাধারণ শিক্ষার্থী
![](https://usbangla24.news/wp-content/uploads/2024/07/image-830666-1722027518.jpg)
জনজীবন স্বাভাবিক হলে কারফিউ প্রত্যাহার: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
![](https://usbangla24.news/wp-content/uploads/2024/07/image-830659-1722027328.jpg)
কারা অধিদপ্তরে জরুরি সিকিউরিটি সেল
![](https://usbangla24.news/wp-content/uploads/2024/07/image-830661-1722026747.jpg)
সীমিত আকারে চলছে দূরপাল্লার বাস, যাত্রী কম
![](https://usbangla24.news/wp-content/uploads/2024/07/image-830641-1722015054.jpg)
ডিবি হেফাজতে কোটা আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক
আলোচনায় আমন্ত্রণ জানিয়ে বিএনপিকে ইসির চিঠি
![](https://usbangla24.news/wp-content/uploads/2023/03/Untitled-1-samakal-641d1999890d8.jpg)
দেশে বিনামূল্যে দেওয়া হয় যক্ষ্মার (টিবি) চিকিৎসা। সঠিকভাবে ওষুধ সেবনে রোগী পুরোপুরি সুস্থ হয়। সরকারের নানা উদ্যোগে গত এক দশকে যক্ষ্মা রোগে মৃত্যুর সংখ্যা নেমে এসেছে অর্ধেকে। তবে সঠিকভাবে রোগ নির্ণয় না হওয়ায় শিশুদের যক্ষ্মা মোকাবিলা এখনও চ্যালেঞ্জিং। শিশু মৃত্যু রোধে তাদের যক্ষ্মা নির্ণয় ও চিকিৎসা ব্যবস্থা আরও সহজ করার আহ্বান চিকিৎসকদের।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সর্বশেষ যক্ষ্মা প্রতিবেদন বলছে, শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বড়দের চেয়ে কম। তা ছাড়া শিশুদের বড় একটি অংশ অপুষ্টিতে ভোগে। এ কারণে বাংলাদেশের শিশুরা যক্ষ্মায় আক্রান্ত হওয়ার মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে। দেশে অনুমানিক শিশু যক্ষ্মা রোগী অন্তত ৩৫ হাজার। সাধারণত শিশুরা বড়দের কাছ থেকে সংক্রমিত হয়। মূলত ফুসফুস
ও ফুসফুসের বাইরে দুই ধরনের যক্ষ্মায় শিশুরা আক্রান্ত হয়। তবে বর্তমানে ফুসফুসের বাইরে যক্ষ্মায় শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। দেশে কত সংখ্যক রোগী বাড়ছে– এর সঠিক তথ্য না থাকলেও শিশু যক্ষ্মা রোগী সেবা বাড়ছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। এ পটভূমিতে আজ শুক্রবার সরকারি-বেসরকারি নানা আয়োজনে পালন করা হচ্ছে বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস। রোগটির ক্ষতিকর দিক, বিশেষ করে স্বাস্থ্য, সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিণতি সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে প্রতিবছর দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। এবারের প্রতিপাদ্য– ‘হ্যাঁ, আমরা যক্ষ্মা নির্মূল করতে পারি’। জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির হিসাব অনুযায়ী, ২০২২ সালে যক্ষ্মার উপসর্গ আছে এমন প্রায় ২৯ লাখ মানুষের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ কারণে ১০ বছরে প্রায় ২২ লাখ
মানুষের জীবন বাঁচানো গেছে। এতে নতুন করে ২ লাখ ৬২ হাজার ৭৩১ জন যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের অ্যাজমা সেন্টারের তত্ত্বাবধায়ক অধ্যাপক ডা. কামরুজ্জামান বলেন, শিশুদের যক্ষ্মা নির্ণয় ও চিকিৎসা দেওয়া কঠিন। তারা যক্ষ্মা পরীক্ষার জন্য কফ দিতে পারে না। এ ছাড়া সমাজে প্রচলিত ধারণা আছে– শিশুদের যক্ষ্মা হয় না। ফলে দিন দিন শিশু যক্ষ্মা রোগী বাড়ছে। আবার যক্ষ্মা ধরা পড়ার পর চিকিৎসা শুরুর মাসখানেকের মধ্যে তাদের স্বাস্থ্যের সার্বিক উন্নতি ঘটে। এ সময় অভিভাবকরা সুস্থ হয়ে গেছে মনে করে চিকিৎসা বন্ধ করে দেন। এমনকি ফলোআপে নেন না, এটাও চ্যালেঞ্জ। ডা. কামরুজ্জামান আরও বলেন, শুরুতে টিবি ডিটেক্ট না
করলে বাচ্চার পরে নিউমোনিয়া ডেভেলপ করে, শিশুর ওজন কমে ম্যালনিউট্রিশনে ভোগে। ওষুধ প্রতিরোধী যক্ষ্মা বা ব্রেইন যক্ষ্মা ডেভেলপ করলে বেশিরভাগ শিশু মারা যায়। শিশুর যক্ষ্মার লক্ষণ দুই সপ্তাহের বেশি কাশি ও জ্বর বা কোনো একটি হলেও তার টিবি সাসপেক্ট করতে হবে। এ ছাড়া ওজন কমে যাচ্ছে, অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়ার পরও নিউমোনিয়ার উন্নতি হচ্ছে না– এমনটা হলে যক্ষ্মার পরীক্ষা করতে হবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। ডা. কামরুজ্জামান বলেন, শিশুদের যক্ষ্মার ঝুঁকি বেশি, কারণ তাদের ইমিউনিটি কম। যক্ষ্মা সাধারণত পরিবারের সদস্যদের মাধ্যমে ছড়ায়। পরিবারের কেউ যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়, তাদের মাধ্যমে শিশুরা আক্রান্ত হয়। ধুলার কারণেও অনেক শিশু আক্রান্ত হয়। হাঁচি-কাশিতে ছড়ায়। চিকিৎসকরা বলছেন, শিশুদের যক্ষ্মা
দেরিতে শনাক্ত হওয়ার কারণ হলো, বড়দের ক্ষেত্রে সাধারণত ফুসফুসের যক্ষ্মা বেশি হয়। ফুসফুসের বাইরে যে যক্ষ্মা রয়েছে, সেগুলো শিশুদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। শিশুদের ফুসফুসে যক্ষ্মা হলে জ্বর, কাশি অন্য অসুখের মতো মনে হয়। মা-বাবা হয়তো একটু প্যারাসিটামল দিয়ে দেন এবং প্রায়ই চিকিৎসকের কাছে যেতে দেরি করেন। বড়রা সহজেই তাদের অসুস্থতার বিষয়ে বলতে পারে, কফ ফেলতে পারে, কফের সঙ্গে রক্ত গেলে সেটা বলতে পারে। এসব কারণে বড়দের যক্ষ্মা নির্ণয় করা সহজ। বড়দের চেয়ে শিশুদের যক্ষ্মা শনাক্ত করা কঠিন বলে জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর ডা. মো. মাহফুজার রহমান সরকার। তিনি বলেন, শিশুরা বড়দের মতো পরীক্ষার জন্য কফ দিতে পারে না। যে
কারণ অনেক সময় শনাক্তের বাইরে থেকে যাচ্ছে তারা। এ বিষয়ে অভিভাবকদের আরও সচেতন হতে হবে। শিশুর দুই সপ্তাহের বেশি কাশি থাকলে অবশ্যই পরীক্ষা করতে হবে। এখন আধুনিক পদ্ধতিতে শিশুদের যক্ষ্মা শনাক্ত করা হচ্ছে। দেশের জেলা-উপজেলার মেডিকেল হাসপাতালসহ ৫০০টির বেশি কেন্দ্রে এ পরীক্ষা চালু রয়েছে।
ও ফুসফুসের বাইরে দুই ধরনের যক্ষ্মায় শিশুরা আক্রান্ত হয়। তবে বর্তমানে ফুসফুসের বাইরে যক্ষ্মায় শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। দেশে কত সংখ্যক রোগী বাড়ছে– এর সঠিক তথ্য না থাকলেও শিশু যক্ষ্মা রোগী সেবা বাড়ছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। এ পটভূমিতে আজ শুক্রবার সরকারি-বেসরকারি নানা আয়োজনে পালন করা হচ্ছে বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস। রোগটির ক্ষতিকর দিক, বিশেষ করে স্বাস্থ্য, সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিণতি সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে প্রতিবছর দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। এবারের প্রতিপাদ্য– ‘হ্যাঁ, আমরা যক্ষ্মা নির্মূল করতে পারি’। জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির হিসাব অনুযায়ী, ২০২২ সালে যক্ষ্মার উপসর্গ আছে এমন প্রায় ২৯ লাখ মানুষের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ কারণে ১০ বছরে প্রায় ২২ লাখ
মানুষের জীবন বাঁচানো গেছে। এতে নতুন করে ২ লাখ ৬২ হাজার ৭৩১ জন যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের অ্যাজমা সেন্টারের তত্ত্বাবধায়ক অধ্যাপক ডা. কামরুজ্জামান বলেন, শিশুদের যক্ষ্মা নির্ণয় ও চিকিৎসা দেওয়া কঠিন। তারা যক্ষ্মা পরীক্ষার জন্য কফ দিতে পারে না। এ ছাড়া সমাজে প্রচলিত ধারণা আছে– শিশুদের যক্ষ্মা হয় না। ফলে দিন দিন শিশু যক্ষ্মা রোগী বাড়ছে। আবার যক্ষ্মা ধরা পড়ার পর চিকিৎসা শুরুর মাসখানেকের মধ্যে তাদের স্বাস্থ্যের সার্বিক উন্নতি ঘটে। এ সময় অভিভাবকরা সুস্থ হয়ে গেছে মনে করে চিকিৎসা বন্ধ করে দেন। এমনকি ফলোআপে নেন না, এটাও চ্যালেঞ্জ। ডা. কামরুজ্জামান আরও বলেন, শুরুতে টিবি ডিটেক্ট না
করলে বাচ্চার পরে নিউমোনিয়া ডেভেলপ করে, শিশুর ওজন কমে ম্যালনিউট্রিশনে ভোগে। ওষুধ প্রতিরোধী যক্ষ্মা বা ব্রেইন যক্ষ্মা ডেভেলপ করলে বেশিরভাগ শিশু মারা যায়। শিশুর যক্ষ্মার লক্ষণ দুই সপ্তাহের বেশি কাশি ও জ্বর বা কোনো একটি হলেও তার টিবি সাসপেক্ট করতে হবে। এ ছাড়া ওজন কমে যাচ্ছে, অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়ার পরও নিউমোনিয়ার উন্নতি হচ্ছে না– এমনটা হলে যক্ষ্মার পরীক্ষা করতে হবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। ডা. কামরুজ্জামান বলেন, শিশুদের যক্ষ্মার ঝুঁকি বেশি, কারণ তাদের ইমিউনিটি কম। যক্ষ্মা সাধারণত পরিবারের সদস্যদের মাধ্যমে ছড়ায়। পরিবারের কেউ যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়, তাদের মাধ্যমে শিশুরা আক্রান্ত হয়। ধুলার কারণেও অনেক শিশু আক্রান্ত হয়। হাঁচি-কাশিতে ছড়ায়। চিকিৎসকরা বলছেন, শিশুদের যক্ষ্মা
দেরিতে শনাক্ত হওয়ার কারণ হলো, বড়দের ক্ষেত্রে সাধারণত ফুসফুসের যক্ষ্মা বেশি হয়। ফুসফুসের বাইরে যে যক্ষ্মা রয়েছে, সেগুলো শিশুদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। শিশুদের ফুসফুসে যক্ষ্মা হলে জ্বর, কাশি অন্য অসুখের মতো মনে হয়। মা-বাবা হয়তো একটু প্যারাসিটামল দিয়ে দেন এবং প্রায়ই চিকিৎসকের কাছে যেতে দেরি করেন। বড়রা সহজেই তাদের অসুস্থতার বিষয়ে বলতে পারে, কফ ফেলতে পারে, কফের সঙ্গে রক্ত গেলে সেটা বলতে পারে। এসব কারণে বড়দের যক্ষ্মা নির্ণয় করা সহজ। বড়দের চেয়ে শিশুদের যক্ষ্মা শনাক্ত করা কঠিন বলে জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর ডা. মো. মাহফুজার রহমান সরকার। তিনি বলেন, শিশুরা বড়দের মতো পরীক্ষার জন্য কফ দিতে পারে না। যে
কারণ অনেক সময় শনাক্তের বাইরে থেকে যাচ্ছে তারা। এ বিষয়ে অভিভাবকদের আরও সচেতন হতে হবে। শিশুর দুই সপ্তাহের বেশি কাশি থাকলে অবশ্যই পরীক্ষা করতে হবে। এখন আধুনিক পদ্ধতিতে শিশুদের যক্ষ্মা শনাক্ত করা হচ্ছে। দেশের জেলা-উপজেলার মেডিকেল হাসপাতালসহ ৫০০টির বেশি কেন্দ্রে এ পরীক্ষা চালু রয়েছে।