
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স:-
আরও খবর

অন্যদিকে দৌড়ে লাভ নেই, সময় শেষ: সরকারকে ফখরুল

আন্দোলন তীব্র গতিতে চূড়ান্ত পরিণতির দিকে যাচ্ছে: মির্জা ফখরুল

বিএনপি নির্বাচন করবে না, মানুষকে বাসে পুড়িয়ে মারবে : আইনমন্ত্রী

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন: তারাকান্দায় ১৪৪ ধারা জারি

গাজীপুরে যারা ডাবল রোল প্লে করেছে, তাদের তালিকা তৈরি হচ্ছে : মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী

প্রস্তাবিত বাজেটের সমালোচনা গৎবাঁধা : তথ্যমন্ত্রী

বিএনপি কোনো রাজনৈতিক দল নয় : কাদের সিদ্দিকী
আমার জীবনে বাবার শূন্যতা আছে

বাগেরহাটের কচুয়ায় শহীদ শেখ ফজলুল হক মনি কারিগরি কলেজ পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ। বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) তিনি কচুয়া উপজেলার টেংরাখালী গ্রামে অবস্থিত এই কলেজে যান।
এ সময় তার সাথে বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ তন্ময়, এ কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সাবেক সংসদ সদস্য মীর শওকাত আলী বাদশা, বিসিবির পরিচালক শেখ সোহেল, কচুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমা সরোয়ার, কচুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ সাইফুল ইসলাম, জেলা যুবলীগের সভাপতি সরদার নাসির উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মীর জায়েসী আশরাফি জেমসসহ দলীয় নেতাকর্মীরা ছিলেন।
কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা যুবলীগ চেয়ারম্যানকে স্বাগত জানান। বাবার নামের প্রতিষ্ঠানে এসে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ।
কলেজের শিক্ষক শিক্ষার্থী ও উপস্থিত নেতাকর্মীদের তিনি বলেন, বাবার নামে করা এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সত্যিই আমাকে উদ্বেলিত করেছে। এই প্রতিষ্ঠান আমাকে বিমোহিত করেছে। আমি আবেগে আপ্লুত বাদশা (বাগেরহাট-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মীর শওকাত আলী বাদশা) চাচাসহ আমার বাবার হাজার হাজার অনুসারী আছেন, যারা বাবাকে মনে রেখেছেন, এটা আমার জন্য গর্বের। আমার জীবনে বাবার শূন্যতা ছিল। কিন্তু আল্লাহতাআলা এক ধরনের পূরণ করারও সুযোগ দিয়েছন, বাবাকে তার নেতা কর্মীরা যে পরিমাণ ভালোবাসেন, এটা সত্যিই অবাক করা বিষয়।
এছাড়া ৬০এর দশকে বাবার সঙ্গে যারা কাজ করেছেন, যুদ্ধ করেছেন, আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন তারা অনেক সাহসী ছিলেন। গনতান্ত্রিক আন্দোলনে মুক্তিকামী বাঙালির স্বাধীনতার আন্দোলনে থেকে ৬২ সাল থেকে ৬৬ এর ৬ দফার প্রচার এবং প্রকাশের ক্ষেত্রে শেখ ফজলুল হক মনি যে অবদান রেখেছে সেটা তো আমরা ইতিহাসের পাতায় পড়েছি। আর এখন বাবার অনুসারীদের কাছ থেকে শুনতে পারি এ জন্য আমার খুব ভাল লাগে।
তিনি আরও বলেন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ মুজিব বাহিনী সবকিছু মিলিয়ে বাবার যে কাহিনী এবং ইতিহাস আমরা শুনতে পাই। বাদশা চাচার মত অনসারীদের কাছ থেকে বাবার সহযোদ্ধাদের কাছ থেকে এটা আমার জন্য সত্যিই একটা আনন্দের জায়গায, একটা বিশেষ অনুভূতির জায়গা । আসলে অনুভুতিটা বর্ননা করা কঠিন।
কলেজ সম্পর্কে যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, শহীদ শেখ ফজলুল হক মনি কারিগরি স্কুল এন্ড কলেজ এই এলাকাকে সমৃদ্ধ করবে। শিক্ষার মাধ্যমে আমরা আলোকিত প্রজন্ম পাব, যে আলোকিত প্রজন্মের স্বপ্ন দেখেছিল জাতির জনক বঙ্গবন্ধু।
এছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিষয়ে আমার একটা দূর্বলতা আছে। কারণ আমি নিজেই একজন শিক্ষক। শিক্ষার প্রসার ছাড়া প্রগতি আসে না শিক্ষার প্রসার ছাড়া আমরা অন্ধ জগতেই রয়ে যাই। এই এলাকার শিক্ষার প্রসারের জন্য আমরা সব ধরণের পদক্ষেপ গ্রহন করার আশ্বাস দেন যুবলীগের এই শীর্ষ নেতা।
পরে কলেজ প্রাঙ্গণে শেখ ফজলুল হক মনির মুরালের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ।