
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স:-
আরও খবর

মাধ্যমিক শিক্ষায় ৩৩০০ কোটি টাকা দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক

নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই ছাত্র সিটিটিসি হেফাজতে

খুঁটি গেড়ে বসে বারবার বিতর্কে ভিসি ফরিদ

৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা

শিক্ষক নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশ পেলেন ২৭০৭৪ প্রার্থী

বুধবার শুরু একাদশে ভর্তির তৃতীয় ধাপের আবেদন

ঢাবিতে সুযোগ পেলেন হৃদয় সাকিব মোরসালিন ঋতুপর্ণাসহ ৪৯ খেলোয়াড়
আদর্শের সেই বই এবার কলকাতা নিতেও মানা

শর্ত মেনেও অবশেষে অমর একুশে বইমেলায় স্টল পায়নি প্রকাশনা সংস্থা 'আদর্শ'। গত রোববার বইমেলা পরিচালনা কমিটির সভায় স্টল বরাদ্দ না দেওয়ার পূর্ব সিদ্ধান্ত বহাল রাখা হয়। এবার কলকাতা বইমেলায় তাদের 'বাঙালির মিডিয়োক্রিটির সন্ধানে' বইটি প্রদর্শন ও বিক্রি না করতে আদর্শকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি।
এর আগে আদর্শ প্রকাশিত ফাহাম আব্দুস সালামের লেখা বইটি নীতিমালা অনুযায়ী প্রদর্শন ও বিক্রিতে আপত্তি তুলে স্টল বরাদ্দ দেওয়া হবে না জানানো হয়েছিল। আদর্শের স্টল বরাদ্দ বাতিলের প্রতিবাদে লেখক, প্রকাশক ও বিশিষ্টজন বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন। প্রকাশনাটির ৫৩ লেখক প্রকাশনা সংস্থাটিকে ১ ফেব্রুয়ারির আগেই স্টল বরাদ্দ দেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন। এর পর বইটি প্রদর্শন
ও বিক্রি না করার শর্তে স্টল বরাদ্দের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতে ২৪ জানুয়ারি বাংলা একাডেমির কাছে আবেদন করেন আদর্শের স্বত্বাধিকারী মাহাবুবুর রহমান। বাংলা একাডেমির প্রশাসন, মানবসম্পদ উন্নয়ন ও পরিকল্পনা বিভাগের পরিচালক এবং বইমেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব কে এম মুজাহিদুল ইসলামের সই করা চিঠিতে বলা হয়, রোববার বিকেলে কমিটির জরুরি সভায় মাহাবুবুর রহমানের ২৪ জানুয়ারির আবেদন উপস্থাপন করা হয়। সব দিক বিবেচনা করে আদর্শকে স্টল বরাদ্দ না দেওয়ার আগের সিদ্ধান্ত বহাল রাখা হয়েছে। সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, আদর্শ প্রকাশনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত বাংলা একাডেমি ইতোমধ্যে জানিয়ে দিয়েছে। নতুন করে এ নিয়ে কিছু বলতে চাই না। বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন,
নীতিমালা মেনেই আদর্শকে স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে এর বেশি বলতে চাননি তিনি। কলকাতা বইমেলায় নিষেধাজ্ঞার ক্ষোভ :অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী লেখক ও চিকিৎসাবিজ্ঞানী ফাহাম আব্দুস সালাম বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামাতা। আদর্শ থেকে প্রকাশিত তাঁর বই 'বাঙালির মিডিয়োক্রিটির সন্ধানে' কলকাতা বইমেলায় প্রদর্শন ও বিক্রি না করার অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি। এ বিষয়ে সমিতির অফিস নির্বাহী আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, এটি সমিতির সিদ্ধান্ত। চিঠির মাধ্যমে আদর্শকে তা জানানো হয়েছে। সমিতির সভাপতি আরিফুল ইসলাম ছোটন বলেন, সমিতির অনেক স্ট্যান্ডিং কমিটি রয়েছে। তেমনি বইমেলা এবং আন্তর্জাতিক বইমেলা নিয়েও কমিটি রয়েছে। তারাই সুপারিশ করে। বইমেলা পরিচালনা কমিটির প্রকাশক প্রতিনিধি ও
আগামী প্রকাশনীর প্রকাশক ওসমান গণি বলেন, আদর্শ নিয়ে এখন তিনি কোনো মন্তব্য করতে চান না। আদর্শের স্বত্বাধিকারী মাহাবুবুর রহমান বলেন, কী কারণে আমার প্রকাশক বন্ধুরা এমন চিঠি দিয়েছেন কিংবা দিতে বাধ্য হয়েছেন- আমার কাছে তা পরিস্কার নয়। তাঁদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলার সময় পাইনি। আমি বিশ্বাস করতে চাই- বাপুস তার সদস্যদের অধিকারের পক্ষে আছে ও থাকবে। এ বিষয়ে ফাহাম আব্দুস সালাম বলেন, চিন্তা কোনো বইমেলার স্টলে বন্দি থাকে না। আমার বইয়ে যদি কোনো মেরিট থাকে, পাঠক সেটা নেবে। আর আমার চিন্তার কোনো মূল্য যদি না থাকে; হাজার পুরস্কার বা নিষেধাজ্ঞা দিয়েও কোনো লাভ হবে না। আমার বইটি হারিয়ে যাবে। আমার নিজের
বই নিয়ে তেমন কোনোই হাহাকার নেই। কারণ আমি জানি, কোনো সরকার বা বাংলা একাডেমি এই বইয়ের কোনো ক্ষতি বা উপকার করতে পারবে না। কিন্তু এই পুরো ঘটনা স্পষ্ট করেছে- বাংলাদেশে ভিন্নমতের জায়গা কতটা সংকুচিত। আওয়ামী লীগের আমলে এর চেয়ে বেশি কিছু আশাও করা যায় না। আদর্শ প্রকাশনার প্রতি অবিচার করা হচ্ছে- মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমার একমাত্র দুঃখ, এই বইটির কারণে আদর্শ বহু লেখকের বই মেলায় আনতে পারছে না। আমি পাঠকদের অনুরোধ করব, তাঁরা যেন আমার বইটি না কিনে আদর্শ থেকে অন্তত অন্য যে কোনো লেখকের বই কেনেন। তিনি বলেন, প্রকাশনা শিল্পের সঙ্গে যাঁরা জড়িত, তাঁদের বেতন খুব বেশি না। তাঁদের
ওপর যে অবিচার হয়েছে, এটা আপনারা দয়া করে খেয়াল করুন। আমি অসংখ্য পাঠকের সহমর্মিতা পেয়েছি। সে জন্য আমি কৃতজ্ঞ। এ বিষয়ে ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, লেখকের স্বাধীনতা কিংবা মতপ্রকাশের স্বাধীনতা দুনিয়াজুড়ে স্বীকৃত বিষয়। বই বিক্রি বা প্রদর্শনে নিষেধাজ্ঞা দিলে সেটি মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় বাধা হিসেবেই দেখা হয়। কোনো লেখকের বইয়ের মতামত যদি কারও পছন্দ না হয়, তাহলে তার জবাব দিতে আরেকটি বই লেখা হতে পারে। কিন্তু বই প্রকাশের কারণে প্রকাশককে চাপে রাখা গণতান্ত্রিক পন্থা হতে পারে না। আবার পুস্তক ব্যবসায়ীরা তো কোনোভাবেই কোনো একটি বইয়ের বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা আনতে পারেন না। এসব স্বাভাবিক অবস্থা নয়। সংবিধান ও আইন বিশেষজ্ঞ ড. শাহ্দীন মালিক
বলেন, কর্তৃত্ববাদী সরকার মানেই বাকস্বাধীনতা ক্রমান্বয়ে সংকুচিত করা। যে বইটি আইন দ্বারা বাজেয়াপ্ত বা নিষেধাজ্ঞা হয়নি, তা বিক্রি বা প্রদর্শনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া যায় না। আইনও ক্রমান্বয়ে গৌণ হয়ে যাচ্ছে। এখন আশঙ্কা হচ্ছে, আগামী নির্বাচন আসার আগে সরকার এবং সরকারের সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলো এমন আরও পদক্ষেপ নিতে পারে।
ও বিক্রি না করার শর্তে স্টল বরাদ্দের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতে ২৪ জানুয়ারি বাংলা একাডেমির কাছে আবেদন করেন আদর্শের স্বত্বাধিকারী মাহাবুবুর রহমান। বাংলা একাডেমির প্রশাসন, মানবসম্পদ উন্নয়ন ও পরিকল্পনা বিভাগের পরিচালক এবং বইমেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব কে এম মুজাহিদুল ইসলামের সই করা চিঠিতে বলা হয়, রোববার বিকেলে কমিটির জরুরি সভায় মাহাবুবুর রহমানের ২৪ জানুয়ারির আবেদন উপস্থাপন করা হয়। সব দিক বিবেচনা করে আদর্শকে স্টল বরাদ্দ না দেওয়ার আগের সিদ্ধান্ত বহাল রাখা হয়েছে। সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, আদর্শ প্রকাশনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত বাংলা একাডেমি ইতোমধ্যে জানিয়ে দিয়েছে। নতুন করে এ নিয়ে কিছু বলতে চাই না। বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন,
নীতিমালা মেনেই আদর্শকে স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে এর বেশি বলতে চাননি তিনি। কলকাতা বইমেলায় নিষেধাজ্ঞার ক্ষোভ :অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী লেখক ও চিকিৎসাবিজ্ঞানী ফাহাম আব্দুস সালাম বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামাতা। আদর্শ থেকে প্রকাশিত তাঁর বই 'বাঙালির মিডিয়োক্রিটির সন্ধানে' কলকাতা বইমেলায় প্রদর্শন ও বিক্রি না করার অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি। এ বিষয়ে সমিতির অফিস নির্বাহী আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, এটি সমিতির সিদ্ধান্ত। চিঠির মাধ্যমে আদর্শকে তা জানানো হয়েছে। সমিতির সভাপতি আরিফুল ইসলাম ছোটন বলেন, সমিতির অনেক স্ট্যান্ডিং কমিটি রয়েছে। তেমনি বইমেলা এবং আন্তর্জাতিক বইমেলা নিয়েও কমিটি রয়েছে। তারাই সুপারিশ করে। বইমেলা পরিচালনা কমিটির প্রকাশক প্রতিনিধি ও
আগামী প্রকাশনীর প্রকাশক ওসমান গণি বলেন, আদর্শ নিয়ে এখন তিনি কোনো মন্তব্য করতে চান না। আদর্শের স্বত্বাধিকারী মাহাবুবুর রহমান বলেন, কী কারণে আমার প্রকাশক বন্ধুরা এমন চিঠি দিয়েছেন কিংবা দিতে বাধ্য হয়েছেন- আমার কাছে তা পরিস্কার নয়। তাঁদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলার সময় পাইনি। আমি বিশ্বাস করতে চাই- বাপুস তার সদস্যদের অধিকারের পক্ষে আছে ও থাকবে। এ বিষয়ে ফাহাম আব্দুস সালাম বলেন, চিন্তা কোনো বইমেলার স্টলে বন্দি থাকে না। আমার বইয়ে যদি কোনো মেরিট থাকে, পাঠক সেটা নেবে। আর আমার চিন্তার কোনো মূল্য যদি না থাকে; হাজার পুরস্কার বা নিষেধাজ্ঞা দিয়েও কোনো লাভ হবে না। আমার বইটি হারিয়ে যাবে। আমার নিজের
বই নিয়ে তেমন কোনোই হাহাকার নেই। কারণ আমি জানি, কোনো সরকার বা বাংলা একাডেমি এই বইয়ের কোনো ক্ষতি বা উপকার করতে পারবে না। কিন্তু এই পুরো ঘটনা স্পষ্ট করেছে- বাংলাদেশে ভিন্নমতের জায়গা কতটা সংকুচিত। আওয়ামী লীগের আমলে এর চেয়ে বেশি কিছু আশাও করা যায় না। আদর্শ প্রকাশনার প্রতি অবিচার করা হচ্ছে- মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমার একমাত্র দুঃখ, এই বইটির কারণে আদর্শ বহু লেখকের বই মেলায় আনতে পারছে না। আমি পাঠকদের অনুরোধ করব, তাঁরা যেন আমার বইটি না কিনে আদর্শ থেকে অন্তত অন্য যে কোনো লেখকের বই কেনেন। তিনি বলেন, প্রকাশনা শিল্পের সঙ্গে যাঁরা জড়িত, তাঁদের বেতন খুব বেশি না। তাঁদের
ওপর যে অবিচার হয়েছে, এটা আপনারা দয়া করে খেয়াল করুন। আমি অসংখ্য পাঠকের সহমর্মিতা পেয়েছি। সে জন্য আমি কৃতজ্ঞ। এ বিষয়ে ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, লেখকের স্বাধীনতা কিংবা মতপ্রকাশের স্বাধীনতা দুনিয়াজুড়ে স্বীকৃত বিষয়। বই বিক্রি বা প্রদর্শনে নিষেধাজ্ঞা দিলে সেটি মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় বাধা হিসেবেই দেখা হয়। কোনো লেখকের বইয়ের মতামত যদি কারও পছন্দ না হয়, তাহলে তার জবাব দিতে আরেকটি বই লেখা হতে পারে। কিন্তু বই প্রকাশের কারণে প্রকাশককে চাপে রাখা গণতান্ত্রিক পন্থা হতে পারে না। আবার পুস্তক ব্যবসায়ীরা তো কোনোভাবেই কোনো একটি বইয়ের বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা আনতে পারেন না। এসব স্বাভাবিক অবস্থা নয়। সংবিধান ও আইন বিশেষজ্ঞ ড. শাহ্দীন মালিক
বলেন, কর্তৃত্ববাদী সরকার মানেই বাকস্বাধীনতা ক্রমান্বয়ে সংকুচিত করা। যে বইটি আইন দ্বারা বাজেয়াপ্ত বা নিষেধাজ্ঞা হয়নি, তা বিক্রি বা প্রদর্শনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া যায় না। আইনও ক্রমান্বয়ে গৌণ হয়ে যাচ্ছে। এখন আশঙ্কা হচ্ছে, আগামী নির্বাচন আসার আগে সরকার এবং সরকারের সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলো এমন আরও পদক্ষেপ নিতে পারে।